somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভ্রমন যখন চন্দ্রনাথে

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

'আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম' গানটার মতো এখন মনে হয় আসলেই আগের দিনগুলো ছিল অসাধারণ। সেই সব দিনে কি সুন্দর ঘুরাঘুরির একটা চল ছিল। একটা আলাদা রকমের মজা ছিল। কিন্তু এখন যেন আর কিছুই পাই না।

আসল কথায় আসি ভাই। আমি সেই সময়ে পড়তাম ক্লাস সিক্সে। আমার আরেক বন্ধুকে রাজি করালাম আমরা চন্দ্রনাথ পাহাড়ে যাবই। যেই কথা সেই কাজ। কিন্তু বাসা থেকে কোন মতেই পারমিসন নাই। পড়ে গেলাম চিন্তায়। পাশে দাড়াল আমার বড় ভাই। ঠিক হল সবাই মিলে পরদিন সকালেই রওনা হব।

এখন পড়ি দ্বাদশ শ্রেণিতে। অনেক ক্লাস উপরে। তাই বুদ্ধি লোপ পেয়েছে। বয়স হয়েছে। সবকিছু মনে থাকে না। তবে হ্যাঁ ভাই সেই দিনটা তো স্পেশাল। সেটার কথা খুব ভালো করেই মনে আছে।



আমাদের বাসা ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের পাশে। বাসা থেকে সীতাকুণ্ড মোটামোটি দূরই। সেখান থেকে সীতাকুন্ড যাওয়াটাও কষ্টের। তবে একটা বাস পেয়ে গেলাম। নাম উত্তরা। এটা লোকাল বাস। ভাড়া সম্ভবত বিশ টাকা নিয়েছিল। যাওয়ার সময় এক লোকের সাথে দেখা হয়েছিল। তিনি আমাকে বলছেন 'কোথায় যাও?' আমি বললাম 'সীতাকুন্ড যাব। চন্দ্রনাথ পাহাড়ে'। লোকটার সোজা সাপ্টা উত্তর। পারবে না। এটা অনেক উঁচু। আমি দমলাম না। অবশেষে গেলাম সীতাকুন্ডে সকাল সাড়ে নয়টায়। বড় ভাই বলল কিছু খাওয়া দরকার। যেই কথা সেই কাজ। চা পরটা খেয়ে চন্দ্রনাথের রাস্তা ধরলাম। যাওয়ার পথে কিনে নিলাম কিছু পাওরুটি কলা। অসাধারণ কিছু মন্দির চোখে পড়ল। আর চোখে পড়ল অনেক হিন্দু বাড়ি। দেখেই বোঝা যায় বাড়িগুলো অনেক আগের। আস্তে আস্তে পাহাড়ের দিকে যাওয়া শুরু করলাম। পাহাড়ের নিচেই শ্মশান। দেখেই ভৌতিক ভৌতিক লাগে। অবশেষে চোখের সামনে চন্দ্রনাথ। অফ কি অনুভূতি!



তবে উঠলে গেলে মনে হল খালি উঠছি তো উঠছি। থামাথামি নাই। কিছুদূর যাওয়ার পর একটা মন্দির চোখে পড়ল। আর দেখলাম কিছু বানর। বিদেশি কিছু লোক দেখলাম নেমে আসছে। বুকটা গর্বে ভরে উঠল। কিছুদূর যাওয়ার পর একটা চায়ের দোকান দেখলাম। এতো উপরে দোকান থেকে তো আমি থ! তাতে আবার চা খাচ্ছে কিছু পুলিশ। এর পরে আবার এক নাগাড়ে উঠা। যখন প্রায় পাহাড়ের ৩ ভাগের দুইভাগ উঠেছি তখন আর পা চলে না। কিছু কলা পাওরুটি খেলাম। আর সাথে পেলাম আরেক তিন জনের একটি গ্রুপকে। তাদেরকেও ভাগ দিলাম। এক ঘন্টা ওখানে কাটিয়ে এবার বাকি রাস্তা। একেবারে চলে এসেছি প্রায় সেই মুহূর্তে দেখলাম আরেকটা চায়ের দোকান। আকারে ছোট। যেখানে আমাদের উঠতেই খবর হয়ে যায় সেখানে কিভাবে তিনি এতো উপড়ে উঠে চা বিক্রি করেন ভাবলে অবাক হয়ে যাই। যাই হোক উপড়ে উঠলাম। মজাও করলাম। কাটালাম তিন চার ঘন্টা। আর দূরের সাগর, জাহাজের সৌন্দর্য মনে যেন রঙ লাগিয়ে দিচ্ছিল। পাহাড় থেকে নামার পথে তিনজনেই মিলে ধরলাম গান। ছোট ঝরনায় ছবি তুললাম কিছু।



এই ছিল সেই দিনের কিছু কথা। আজ আর পারছি না। এখানেই না হয় থাক।

সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৮
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শীঘ্রই হাসিনার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৮


পেক্ষার প্রহর শেষ। আর দুই থেকে তিন মাস বাকি। বিশ্ব মানবতার কন্যা, বিশ্ব নেত্রী, মমতাময়ী জননী, শেখ মুজিবের সুয়োগ্য কন্যা, আপোসহীন নেত্রী হযরত শেখ হাসিনা শীগ্রই ক্ষমতার নরম তুলতুলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাছে থেকে আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬

আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

২০০১ সালের কথা। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটা আন্তর্জাতিক দরপত্রে অংশ গ্রহণ করে আমার কোম্পানি টেকনিক্যাল অফারে উত্তীর্ণ হয়ে কমার্শিয়াল অফারেও লোয়েস্ট হয়েছে। সেকেন্ড লোয়েস্টের সাথে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সংস্কারের জন্য টাকার অভাব হবে না, ড. ইউনূসকে ইইউ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এবং সফররত এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক পাওলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নারী বুকের খাতায় লিখে রাখে তার জয়ী হওয়ার গল্প (জীবন গদ্য)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩২



বুকে উচ্ছাস নিয়ে বাঁচতে গিয়ে দেখি! চারদিকে কাঁটায় ঘেরা পথ, হাঁটতে গেলেই বাঁধা, চলতে গেলেই হোঁচট, নারীদের ইচ্ছেগুলো ডিমের ভিতর কুসুম যেমন! কেউ ভেঙ্গে দিয়ে স্বপ্ন, মন ঢেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×