অনেকদিন হলো বন্ধুদের সাথে আর আড্ডা মারি না, অনেক বছর হলো সেই সোনালি বিকেলে সাগর পারে বসে সুর্যদয় দেখা হয় না, সেই যে ছোটবেলায়- ফুটবল নিয়ে স্মৃতিবিজরিত স্কুল মাঠে আর যাওয়া হয় না। অনেক তো বয়স হলো, সেই সোনালি বিকেলগুলো আর ভুলতে পারি না। আমার সেই বাল্যকালের বন্ধু রিফাৎ প্রাইমারি স্কুলে যে আমাকে ছাড়া টিফিনই খেত না তাকেও খুব মনে পড়ে, খুব। কোথায় যে গেল দিনগুলো? স্মৃতিগুলো যেন অনেক ঝাপ্সা। সত্যি প্রাইমারি স্কুলের জীবনটা খুব মজার ছিল। আমার আজো মনে আছে কুত কুত খেলা, গা ছোয়ান্তি, বউ চুরি আরো কি কি নাম ঠিক এখন মনে আসছে না সেই খেলা খেলতাম আমরা। ছেলা-মেয়ে হাত ধরাধরি করে। কিন্তু এখন, সেসব এখন অতীত। চতুর্থ শ্রেণী থাকা অবস্থায় আমি গ্রামের বাড়ি বেড়াতে গেছি, অচেনা পথ, অচেনা মানুষ রাস্তা গেলাম ভুলে। গন্তব্য আর খুঁজে পাই না। এদিকে আবার আমাকে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়ে গেছে। সেই ঘটনা যখন আমার মা এসে ক্লাসের সব বন্ধু-বান্ধবির মাকে বলল থকন সবার যে কি হাসাহাসি। লজ্জায় তো আমার মুখ লাল। ক্লাস সিক্স সেভেনেও তো কত স্মৃতি। সেসব এখন খালি মনে পড়ে। এভাবেই হয়তবা বুড়ো হব। নিজের নাতি-নাত্নিদের গল্প শোনাব। আমরা কত আনন্দ করেছি, তোমাদের মত যান্ত্রিক জীবনযাপনে আমরা অভ্যস্ত ছিলাম না। তারা শুনে হাসবে, পৃথিবীটা এরকমই। মানুষকে কখনো কাঁদায়, কখনো হাসায়,
পড়ে রয় স্মৃতি
মনেরি পাতায়…