তুর্কী-পাকি ভাই-ভাই—একদড়িতে ফাঁসি চাই।
সাইয়িদ রফিকুল হক
নিজের বিবিধ শয়তানী, দুষ্কর্ম ও ক্রমাগত ধৃষ্টতাপ্রদর্শনের মধ্য দিয়ে তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোগান-শয়তান ইতোমধ্যে বিশ্বের বুকে একটা ‘বেআদব’ ও ‘শয়তান’ হিসাবে নিজের আসন পাকাপোক্ত করেছে। আর কয়েক বছর যাবৎ তার এই ধৃষ্টতা ও শয়তানী ক্রমেই বেড়ে চলেছে। তার মতো একটা পামর এখন বিশ্বের বুকে খুঁজে পাওয়া সত্যিই দুষ্কর। তবুও এই পাঁঠার কোনো লজ্জাশরম নাই। সে আগের মতো আমাদের দেশের একাত্তরের চিহ্নিত-যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে একের-পর-এক আবোলতাবোল, আলতুফালতু, আজেবাজে ও ধৃষ্টতাপূর্ণ শয়তানী কথাবার্তা বলেই চলেছে। আর এই শয়তানটার অবস্থা এখন একটা দড়িছেঁড়া ষাঁড়ের মতো।
১৯৭১ সালে, যে-কয়েকটি রাষ্ট্র বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের তথা স্বাধীনতাসংগ্রামের সরাসরি বিরোধিতা করেছিলো তুরস্ক তাদের মধ্যে অন্যতম। এখনও তারা পাকিস্তানের দোসর হয়ে তাদের আগের জিদ, দাম্ভিকতা, আক্রোশ ও ব্যক্তিগত শত্রুতা বজায় রেখেছে। তুর্কীরা বরাবরই ভণ্ড। এদের চরিত্র চেঙ্গিস-হালাকু-চরিত্রের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়—বরং কোনো-কোনো-ক্ষেত্রে এরা আরও বেশি নৃশংস। এদের ভয়াবহ দুর্বৃত্তায়নের একমাত্র তুলনা চলে বন্য-পাকিস্তানীদের সঙ্গে। তুর্কীরা পাকিস্তানদের যেন বৈমাত্রেয় ভাই! আর এখন তারা আপন ভাইয়ের চেয়েও বেশি ঘনিষ্ঠ। তাই, এই দুই অপশক্তি আমাদের রাষ্ট্র: বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখার জন্য এখন প্রতিনিয়ত নানারকম শয়তানীকর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। এর একটি হলো: তুর্কী-পাকিদের জমজ-ভাই একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি থেকে বাঁচানোর জন্য তারা আমাদের দেশের ভিতরে দেশবিরোধীঅপশক্তির সমন্বয়ে একটি অস্থিতিশীলপরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।
তুর্কীরা এখনও আগের মতো শয়তানের পূজারী, আর মানবতার শত্রু। এদের ধর্মবোধ পাকিস্তানীদের মতোই। মুখে-মুখে শুধু কিছুক্ষণ ইসলাম-ইসলাম করা। আর ভিতরে সবরকমের শয়তানীই চলছে। এরা আমাদের চিরকালীন শত্রুরাষ্ট্র পাকিস্তানের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে বাংলাদেশের স্বার্থপরিপন্থীঅপকাণ্ডে নিয়োজিত। কথায় আছে: রতনে রতন চেনে, গাধায় চেনে মূলা, আর শূয়রে চেনে কচু। তুর্কীরা কচু খুঁজে পেয়েছে—তারা পাকিস্তানীমানকচু খেয়ে এখন একেবারে আধাপাগল। আর তাই, পাকিস্তানের সঙ্গে সুরমিলিয়ে তারা বাংলাদেশবিরোধী শয়তানীকর্মকাণ্ড ও বক্তব্য প্রদান করছে।
তুরস্ক পাকিস্তানকে চিনেছে। আর চিনেছে বাংলাদেশের একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের। এদের সবসময় ভালো লাগে শয়তান আর শয়তানী! তাই, এরা বাংলাদেশরাষ্ট্রের পক্ষে না থেকে রাষ্ট্রের ‘বর্জ্য’ একাত্তরের চিহ্নিত-যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়ে ষড়যন্ত্র-শয়তানী করেই চলেছে।
একটা এরদোগান-শয়তান থেমে নেই। সে এখনও তার শয়তানী চালিয়ে যাচ্ছে। আর তাই, সে অতিসম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন-নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে তার ক্ষোভপ্রকাশ করেছে। তার কথা হলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন-নেতৃবৃন্দ কেন আমাদের দেশের বাতিল মাল ‘নিজামী’র মৃত্যুদণ্ড-কার্যকরের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ কিংবা সমালোচনা করেনি। সে এখানে পরাজিত হয়েছে। ইউরোপ তার পক্ষে কথা বলেনি। তারপরও সে থামেনি। বরং সে তার শয়তানীচেহারাটা নগ্নভাবেপ্রকাশ করে গত রবিবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে। এখানে, সম্পূর্ণ নির্লজ্জের মতো আবারও কথা বলে এরদোগান-শয়তান। ইউরোপীয় ইউনিয়ন-নেতৃবৃন্দকে উত্তেজিত করার জন্য সে বলেছে:
‘‘আপনারা (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) যদি রাজনৈতিকভাবে মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী হন—তাহলে, (আমাদের আব্বাহুজুর) মতিউর রহমান নিজামী—যিনি কয়েকদিন আগে (বাংলাদেশে) শহীদ হয়েছেন, তার মৃত্যুদণ্ড-কার্যকরের বিষয়ে কেন এখনও চুপ করে আছেন?”
সে সবার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করে বলেছে: “আপনারা কি ইউরোপ থেকে কিছু শুনেছেন?...না। তাহলে, এটাকে কি দ্বৈতনীতি বলে না?”
একজন এরদোগান এভাবেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসসৃষ্টি করে চলেছে। কিন্তু এই শয়তানকে থামাতে হবে। সে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দকে আমাদের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে পাকিস্তানের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছে।
অপরদিকে শয়তানরাষ্ট্র-পাকিস্তানের হোমরাচোমরারা তো আমাদের দেশের যুদ্ধাপরাধ নিয়ে জাতিসংঘে যেতে চাচ্ছে! শয়তান আর কাকে বলে! তাই, এই দুই শয়তান (তুরস্ক ও পাকিস্তানকে) একদড়িতে ফাঁসির ব্যবস্থাগ্রহণ করতে হবে।
সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
১৭/০৫/২০১৬
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:০০