সম্প্রতি নারীর অধিকার নিয়ে ব্লগে একাধিক পোস্ট এসেছে। এ মাসেই এসেছে অনেকগুলো। ব্লগের সূচনালগ্ন থেকে এ বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। হওয়ার প্রয়োজনও রয়েছে ব্যাপক। তবে বর্তমান কতেক ব্লগার (লেখক)দের অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, নিজেদের পোস্টের মাধ্যমেই তারা নারীদের অধিকার পুরোপুরি ফিরিয়ে দিয়েছেন। অথচ, তাদের পূর্বের লেখায় অনুসন্ধান করলে পাওয়া যায়, নারীর প্রতি তাদের লালিত পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব।
অনেকে আবার ধর্মীয় আলোকে নারীকে সম্মান দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। সে কারণে তারা লাঞ্চিত করে দায়ী করেছেন নিজেদেরই পূর্বপুরুষদের শিক্ষকদের। সেটা যদিও ব্যক্তিগত ব্যাপার, তবে এতেও রয়েছে কৌশল। এতে করে তারা বিশেষ কোন এক ধর্মীয় গ্রন্থের শুদ্ধতা ও সেই ধর্মের প্রতি প্রেম দেখিয়ে ছেড়েছেন। এদের একজনের পূর্বের একাধিক লেখায় রয়েছে নারীর প্রতি রবীন্দ্র মনোভাব।
বাইবেল, কুরআন ও মহাভারত সহ বিশ্বের সকল ধর্মীয় গ্রন্থ এবং পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা নারীকে দুর্বল হিসেবে প্রমাণ করতে অমরন চেষ্টা করেছে। এবং তারা সফলতাও অর্জন করেছে। আমি আজও ফাস্ট-ওয়ার্ল্ডের মেয়েদের মধ্যে এই আতঙ্ক দেখতে পাই। অথচ পুরো বিশ্বে ওরা দাবী করছে, 'এখানে নারীরা সম্পূর্ণ স্বাধীন ও স্বয়ংসম্পূর্ণ।'
অন্য বিষয় নিয়ে কিছু না বললেও, নারীদের ব্যাপারে নিশ্চিত ভাবে বলা যায়, নারীর অধিকারের বিষয়ে সব ধর্ম ও সমাজ ব্যবস্থার চিন্তাভাবনা অভিন্ন। একই মুদ্রার উলটো পীঠ। আপনি নারীদের অধিকারের ব্যাপারে কখনো কোন ধর্মের সিদ্ধান্তকে যথার্থ বলতে পারবেন না। যখন আপনি কোন ধর্মের সিদ্ধান্তকে যথার্থ জ্ঞান করবেন, তখন ধরে নিবেন আপনি সেই ধর্ম সম্পর্কে ভ্রমে ডুবন্ত রয়েছেন।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুলাই, ২০২২ ভোর ৫:৫১