একজন বিবেকবান সাধারণ ব্যক্তিও জানেন, ডিজিটাল নিরাপত্তার নামে মানুষের বাকস্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার মতো মৌলিক অধিকার হরণের সুযোগ সৃষ্টির আইন হচ্ছে আমাদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। আইন প্রণয়ন ও সংশোধনের নামে বর্ধন পরবর্তী সময়ে জনগণের রোষ প্রকাশই এর স্পষ্ট উদাহরণ। ব্লগ ও স্যোশাল মিডিয়া তখন এই জঘন্য আত্মঘাতী ও অগণতান্ত্রিক আইনটির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল কিন্তু রাজনৈতিক অপশক্তির কাছে সেটা সাময়িক নিদ্রিত হয়েছে, তবে এখনো জনগণের মাঝে ঐ ক্ষোভ রয়েগেছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র হিসেবে এই মানুষটাকে আমি একটু বেশি ভালবাসতাম। সত্যিকার অর্থে উনার মাকেও এতটুকু ভালবাসি না যথটুকু উনাকে ভালবাসি। শেখ হাসিনা বাঙালির অপরাজনীতি থেকে পুত্রকে রক্ষা করতে ইউনাইটেড্ স্টেইট্স্ অফ্ আমেরিকা ঘুরিয়ে ভারতে পড়ালেখা করান। আর একারণেই দেশের সাধারণ মানুষ সজীবের প্রতি একটু বেশি আস্থাশীল। হয়ত উন্নত দেশের আবহাওয়া একজন বাঙালিকে কিছুটা পবিত্র রাজনীতির জ্ঞান দেবে। কিন্তু সম্প্রতি উনি নিজেই নিজেকে জনগণের বিপরীতে দাঁড় করিয়ে নিচ্ছেন।
"জনগণের গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন:" জয়। বুঝলাম বাংলাদেশে অবস্থানরত বাঙালি রাজনীতিবিদরা একটু বেশি চাপে থাকেন বলে মাঝেমধ্যে পাগলামি মার্কা কথাবার্তা বলেন। কিন্তু সজীব ওয়াজেদ সর্বশেষ ইউনাইটেড্ স্টেইট্স্ অফ্ আমেরিকায় অবস্থান করে ওখানকার জনগণের স্বাধীনতা দেখে একটুও কী শিখছেন না। তাঁর উচিত ছিল জনগণের সাথে থাকা, তা না করে তিনি আরো দিনদিন অপরাজনীতিতে ডুবছেন। উনার বুঝা উচিৎ ছিল, এই আত্মঘাতী ও অগণতান্ত্রিক আইনটি আমাদের পরাধীন সাংবাদিকদেরকে একপ্রকার শিকল পড়িয়ে দিয়েছে।
সজীব ওয়াজেদ বলেন, 'যে সব সাংবাদিক ও সম্পাদকের মিথ্যা সংবাদ ছাপানোর উদ্দেশ্য নেই, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ নিয়ে তাদের ভয়ের কিছু নেই। কারণ, আইনটি জনগণের তথ্য ও গোপনীয়তা সুরক্ষার জন্য প্রণীত হয়েছে।' [link|view this link
অথচ বাস্তবতা হচ্ছে, এই আইনটি সাংবাদিকতার জন্য তথ্য সংগ্রহ করা ও প্রকাশ করা দুটিই দুরূহ হয়ে উঠেছে এবং এটি আসলে দুর্নীতিকেই সুরক্ষা দিচ্ছে। বস্তুতই স্বাধীন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে মারাত্মক অন্তরায় এ আইনটি কারণ এখানে সাংবাদিকতাকে গুপ্তচরবৃত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
দেখুন, যদি এদের মত আমাদের সাংবাদিকরা কিছুটা স্বাধীন থাকতো, তবে বাঙালি ও বেবাঙালিদের চিহ্নিত করতে বেশিক্ষণ লাগতো না।
ছবি, ভিডিও : ইন্টারনেট
সাহায্যার্থে : বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:০২