সৈয়দ শামসুল হক নেই। পঞ্চাশের দশকের দীপ্যমান নক্ষত্রটি ঝরে গেল। নিজেকে বড় একা মনে হয়।
সৈয়দ হক সত্যিই ছিলেন সব্যসাচী লেখক। কবিতা, গল্প, গান, চিত্রনাট্য, নাটক—সব কিছুতেই সৈয়দ হক-এর প্রতিভার স্বাক্ষর অম্লান। তাঁর ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’, ‘নূরলদীনের সারা জীবন’—বাংলা নাট্য সাহিত্যে অমর অবদান। সমসাময়িক রাজনৈতিক আবেগকে কিভাবে চিরায়ত সাহিত্যের রসে রসায়িত করা যায়, এই দুই নাটকেই শামসুল হক তার প্রমাণ রেখেছেন। মানুষের অধিকার, মনের কথা, নীতিনির্ধারকদের কাছে তিনি তুলে ধরেছেন। তাঁর কবিতাও ধারালো, আধুনিকতায় ঝকঝকে। তাঁর কবিতা হৃদয়গ্রাহ্য, সংবেদনশীল এবং তাঁর শব্দ চয়ন ও ভাষাতে রয়েছে উত্তরাধুনিকতার ছাপ। মানুষ তার মনের কথাটি খুঁজে পায় তাঁর লেখায়।
সংক্ষিপ্ত তথ্য:
নাম : সৈয়দ শামসুল হক
জন্ম : ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৩৫
মৃত্যু : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
বাবা : সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন
মা : হালিমা খাতুন
স্ত্রী : আনোয়ারা সৈয়দ হক
ছেলেমেয়ে : এক ছেলে, এক মেয়ে
পৈতৃক বাড়ি : কুড়িগ্রাম
পড়াশোনা : ১৯৫০ সালে কুড়িগ্রাম থেকে ম্যাট্রিক পাস। ১৯৫২ সালে ভর্তি হন জগন্নাথ কলেজে। কলেজ পাসের পর ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে।
উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ : বৈশাখে রচিত পংক্তিমালা, পরানের গহীন ভিতর, অগ্নি ও জলের কবিতা, ধ্বংসস্তূপে কবি ও নগর।
উল্লেখযোগ্য উপন্যাস : সীমানা ছাড়িয়ে, নীল দংশন, বৃষ্টি ও বিদ্রোহীগণ, বনবালা কিছু টাকা ধার নিয়েছিল, নিষিদ্ধ লোবান, খেলারাম খেলে যা, বালিকার চন্দ্রযান।
উল্লেখযোগ্য কাব্যনাটক : পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়, গণনায়ক, নূরলদীনের সারা জীবন।
উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ : রক্তগোলাপ, আনন্দের মৃত্যু, জলেশ্বরীর গল্পগুলো।
উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধগ্রন্থ : হৃৎকলমের টানে, মার্জিনে মন্তব্য।
পুরস্কার : বাংলা একাডেমি (১৯৬৬),
আদমজী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৯), একুশে পদক (১৯৮৪)।
সূত্র: কালের কন্ঠ