খাজা মাইনুদ্দীন চিশতি (রঃ) মাজার জেয়ারতের পর দিন জয়পুর যাওয়ার কথা ছিলো আমাদের কিন্তু কুম্ভকর্ণের সেই বিখ্যাত হাঁচি শুরু হলো। যা এক বার শুরু হলে শ'খানেক দেওয়া নাহলে থামেনা। আর এতে বেচারা বিছানায় পড়ে থাকে। কি আর করা বেচারা থাকলো বিছানায় আর আমি এমনি কিছুখন এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ালাম।
পরদিন গেলাম আনা সাগর ও দৌলতবাগ দেখতে। দৌলতবাগের গেট দিয়ে না ঢুকে আনা সাগরের কাছে গিয়ে রিক্সা থামালাম। বাগের কিছু সামান্য নমুনা ছাড়া আর কিছুই নেই।
এই সেই বিখ্যাত আনা সাগর বা লেক।
রাজস্থানের পাহাড়ী অঞ্চল আজমিরে পানির অভাব ছিলো বরাবর। উচ্চশ্রেনী ও ব্রাহ্মনদের জন্য মহারাজা পৃথ্বিরাজ চৌহান এই লেক তৈরী করেছিলেন।
লেকের পাড় এমনি শ্বেতপাথরে বাধানো।
আর সুরোম্য প্রাসাধ সাদৃশ্য ছোট ছোট কুঠিরিতে সাজানো। যেগুলো এখন ছিন্নমুল মানুষের দিবানিদ্রার স্থল।
কবুতরের ঝাঁক গম খাওয়ায় ব্যাস্ত!
আনা সাগর দেখার পর রওনা হলাম আকবরী কিলা দেখতে। পথের ধারে স্বর্ণ মহল পড়লো। বাইরে থেকেই দেখলাম। গরমে কাহিল হয়ে ভেতরে যেতে আর ইচ্ছে করেনি।
আকবরী কিলা আসলে ছোট খাট একটি যাদুঘর। যার কয়েকটি ঘরে সে আমলের কিছু নিদর্শন আছে। বাকি সব দরজা বন্ধ।
প্রধান ফটক পার হয়েই হাতের ডান দিকে এই ছোট কামানটি নজরে পড়লো।
এখানেও অসংখ্য কাঠবেড়ালি চোখে পড়লো।
যাদুঘরে রক্ষিত সম্রাট আকবরের ছবি।
পাহাড়ের উপর আজমির শহর!
সেই সময়ের পানির মটকা!
আকবরী যুগের অস্ত্র-শস্ত্র!
অসংখ্য পুরোনো মুর্তির সংগ্রহও আছে সেখানে। আছে পেইন্টিং!
আপাতত এই পর্যন্তই থাক! আগামীতে অন্য কোনো জায়গায় নিয়ে যাবো আপনাদের।
*** ভুল করে আকবরী কিলার জায়গায় হুমায়ুন লিখেছিলাম। আমার রানা আপু ভুলটা ধরিয়ে দেয়াতে ঠিক করে নিলাম। এত্তো গুলা ধন্যবাদ আপু!