কয়েক দিন আগে ভিকারুন্নেসার পরিমলের খবর শুনে দেশের সব স্কুলের শিক্ষকদের মাঝে পরিমলের মত কাজ না করার ভয় জন্মাবে -এটি আশা ছিল আর দশজনের মত আমার ও । কিন্তু না আজকে খবরের কাগজে দেখলাম আবার ফিরে এসেছে পরিমলের ভূত নতুন ভাবে , নতুন শক্তিতে ।
খবরটি আসলে সত্যি । আমিনবাজার মফিদ-ই-আম স্কুল অ্যান্ড কলেজে ছাত্রীসংখ্যা প্রায় দুই হাজার । এদের বাবারা অনেকেই কসাই, ড্রাইভার, হেলপার, মুচি, মাঝি, সবজি বিক্রেতা । তাদের কাছে শিক্ষকদের নির্যাতনের কথা বললে তারা মনে করেন সমাজের লোক জানলে তার মেয়েটির বিয়ে হবে না।
চরিত্রহীনা হওয়ার অভিযোগে সমাজে মুখ দেখাতে পারবে না। সামাজিক গঞ্জনা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করবে। তাই অভিভাবকেরা প্রতিবাদ না করে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেন।
অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী জনৈক শিক্ষক তার শরীর স্পর্শ করলে চিৎকার করে জানিয়ে দেয় শিক্ষক, শিক্ষিকা ও ছাত্রীদের। তার অভিভাবক অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ করেও প্রতিকার পাননি। ছাত্রীরা যখন শিক্ষিকাদের বলল, ‘আপনারা কিছু বলছেন না কেন’? তারা বললেন, ‘আমরা পারি না। কারণ আমরাও রেহাই পাই না’।
কয়েক মাস যেতে না যেতেই ঘটল নারী নির্যাতনের একটি মর্মান্তিক ঘটনা। স্কুলের আয়ার ওপর আরেক শিক্ষকের নির্যাতন। আয়া পদে যোগদানের পর তাকে বলা হলো স্বামীকে তালাক না দিলে চাকরি এমপিওভুক্ত হবে না। তাকে অনির্দিষ্টকালের ছুটি দিয়ে গ্রামে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ছোট্ট মেয়েটিকে বুকে নিয়ে, স্বামীকে তালাক দিয়ে ফিরে এসে যোগদান করলে তার চাকরি এমপিওভুক্ত হয়। আজ যদি ছাত্রী নির্যাতনের উপযুক্ত বিচার হতো, তাহলে অলক স্যার সাহস পেত না।
উপযুক্ত বিচার না হলে কুশিক্ষকদের মাত্রা বেড়ে যাবে। নারীরা হয়ে পড়বে তাদের হাতের খেলনা। আর তাই আজকে তাদের বিচারের দাবি সার্বজনীন ।
ছাত্রীদের দাবিটি খুবি সাধারন । আর সেটি হচ্ছে , "মাননীয় মন্ত্রী, পরিমলদের মতো কুশিক্ষকের উপযুক্ত বিচার করে আপনার মহত্ত্বের প্রমাণ দিয়েছেন। আপনার সন্তানের মতো আমাদের কচি মুখগুলোর দিকে তাকান, রক্ষা করুন আমাদেরকে।"
পরিশেষে ব্লগার ভাইদের প্রতি আকুল আবেদন, আসুন না আমার এই ছোট বোনগুলুর প্রতি এই অত্যাচারের সমাধান চেয়ে আমরা নিজেদের মুখ সরব করি । তাদের এই দৃশ্যপট পরিবর্তন করার দায়িত্ত নিয়ে আরেকবার দেখাই যে আমরা এখন ও মানুষ ।
হটাও জানোয়ার , হটাও ক্লেশ
ঈভ-টিজার দের দিন শেষ ।
সম্পূর্ণ খবরটি পরতে এইখানে ক্লিক করুন ।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুন, ২০১২ সকাল ১১:১৪