আজ ঈদ, চারদিকে আনন্দ উৎসব চলছে। এর শব্দ পাচ্ছি, গন্ধ পাচ্ছি। ব্লগে, ফেবুতেও দেখছি প্রায় সবাই অনুপস্থিত। চলুক উৎসব, মেতে থাক সবাই আনন্দে! সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা!
পূজোর উৎসব শেষে শুরু হয়েছে এই ঈদ উৎসব। এক নাগাড়ে ৮ দিনের ছুটি পেয়েছি। এত লম্বা ছুটি মনে হয় আমি আমার কর্মজীবনে আর পাইনি। আজ ছুটির ষষ্ট দিন। বাকি আর দুই। তারপর সেই আগের মতই সবকিছু।
উৎসবের আঁচ আমার বাসায় শুরু হয়েছিল সেই মহালয়া থেকে, দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা দিয়ে, আর সেটা শেষ হওয়ার কথা ছিল দশমীতেই। কিন্তু আজও সেটা আমার বাসায় চলছে। রূপা, মুরগী রোষ্ট আর পোলাও রান্না করেছে দুপুরে। সকালেও সে ক্ষীরের পায়েসের সাথে ফুলকো লুচি মিশিয়ে একটা স্পেশাল রেসিপি বানিয়ে আমাদের খাইয়েছি। আমরা বাবা-মেয়ে মিলে সেটা গো গ্রাসে খেয়েছি। দুপুরেও খাবো। মাংস পোলাও!
সুতপা, মাঝে মাঝে ল্যাপটপের দখল নিতে আসছে। মাঝে মাঝে এটা নিয়ে আমার সাথে সে বিবাদে জড়াচ্ছে। কখনো আমি জিতছি, কখনো সে। আমি আমার প্রিয় গান শুনতে চাচ্ছি, সে তারটা। এই নিয়ে বাপে-ঝিয়ে কাড়াকাড়ি! ওর মায়ের অবস্থা শীল পাটার মসল্লার মত!
আমি আমার কিছু লেখা ফেবু নোটে নিয়ে রাখছি, কয়েকটাকে এডিট করলাম। আমার লেখার আর্কাইভ দেখে আমি নিজেই অবাক! ভাবলাম, মাত্র এক-দেড় বছরে ভালই তো লিখেছি। আমার মত একটা কুঁড়েকে দিয়ে যে লেখালেখি করা সম্ভব তা কখনো ভাবিনি। রাফলি হিসেব করে দেখলাম, ইতিমধ্যে প্রায় ৫০-৬০ হাজার শব্দ লিখে ফেলেছি বিভিন্ন ব্লগে-ফেবুতে। খারাপ না! নিজের পারফর্মেন্সে নিজেই মুগ্ধ! অথচ আমি পরীক্ষার হল ছাড়া মনোযোগ দিয়ে কিছু লিখিনি কখনো। ভাবতে ভালই লাগছে!
আর ব্লগের অভিজ্ঞতা? সেটা মিঠেকড়া। "কড়া" বাদ দিয়ে "মিঠের"টাই আগে বলি, অনেকেই ভাল বলেছে। ধন্যবাদ তাদের। সাথে "কড়া" খাওয়ানোদের জন্য সুপার লাইক! তারা আমার ভুল ধরিয়ে দিয়েছে, করেছে আমাকে অভিজ্ঞ।
কিছু পেতে হলে কিছু হারাতে হয়! কথাটা কিন্তু সত্য। আমি ব্লগে-ফেবুতে আসক্ত হওয়ার পরে আমার বন্ধুবান্ধবদের সাথে পারস্পরিক যোগাযোগ কমে যাচ্ছে। যে সুকান্তকে বাড়ি থেকে সকালে বের হতে হলে রাতে কখন ফিরবে তার নিশ্চয়তা মা'কে দিয়ে বাসা থেকে বের হতে হত। আজ সে বেশীর ভাগ অবসর সময় বাসাতেই কাঁটায়। বিষয়টা কিন্তু চিন্তার, অবশ্যই চিন্তার!
১৬/১০/২০১৩