তিনি কোন দেবদূত ছিলেন না
ছিলেন না কোন প্রবল ক্ষমতাধর ব্যক্তি
আমি একজন আমান আলীর কথা বলছি
যিনি কিনা বাংলার সূর্য সন্তান।
আমি একাত্তরের রণাঙ্গনের গল্প বলতে আসিনি
বলবোনা দেশভাগের সময় দেড় কোটি মানুষের উদ্বাস্তু হবার গল্প
জোড় করে ধর্মান্তরিত করার গল্প।
একজন আমান আলী ভুল করে ঢুকে পড়েছিল হায়েনার নির্লজ্জ সমাবেশে
যে সমাবেশ পরিচালিত হয় ইবলিশ আর শয়তানের প্ররোচনায়
যে সমাবেশে স্বাধীনতা উত্তর প্রজন্ম লাথি মেরে মেরে সমাবেশ হতে বের করে দেয় রাস্তায়-
একজন মুক্তিযোদ্ধাকে!যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাওয়ার সামাণ্য কারণে।
শার্দুল মন আমাদের তাই ভুলে যাই আমান আলীদের কথা
ভুলে যাই পূর্ণিমা আর রিতার কথা
ভুলে যাই কত কিছু।
অবশ্য এমন অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে চিনি যারা বিক্রি করে দিয়েছে
তাদের অর্জন হায়েনাদের কাছে
বিক্রি করে দিয়েছে বীর উত্তম খেতাব ইবলিশের কাছে
বিক্রি করে দিয়েছে ঈমান,নীতি আদর্শ শয়তানের কাছে।
আজ তাই শুনি
শয়তান আর দেবদূত এক সাথে ঘর করে
আজ তাই শুনি পাকিস্থানী প্রেতাত্মা বাংলাদেশের নাগরিক
আজ তাই গর্ব করে তারা বলে-
যুদ্ধাপরাধীদের দলেও অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছে।
৩০/১১/২০১৮