বিবর্তনের ধারায় হয়ত কিছুদিনের মধ্যেই
লম্বা লম্বা দাঁত বেড়িয়ে আসবে আমাদের,
বড় ঘন পশমে শরীর ঢেকে যাবে,
নখ দিয়েই ছিড়ে খেতে পারবো অসহায়ের কাঁচা মাংস।
হাতে লেগে থাকা রক্তের দাগ
চেটে খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলবো।
পশুর চেহারায় পাশবিকতা ;
মেনে নেয়া সহজ হবে।
ভদ্র বেশী নেকড়ে আমরা,
সুযোগ পেলে মায়ের আচলও
কামড়ে ছিড়তে পারি।
পোশাকের নিচে লুকিয়ে রাখি
হিংস্রতার সম্ভাব্য সবকটা রূপ।
বৈশাখী উৎসবে, কিংবা বাসে যাত্রীর ভীড়ে
সে পোশাক আপনাআপনি খুলে যায়,
কোন এক তনুকে নির্জনে দেখলেই
দাঁতগুলো কেন জানো বড় হয়ে যায়।
তাজা মাংসের গন্ধ নাকে আসতেই,
হোক সে শিশু কিংবা বৃদ্ধার,
নখের আগায় শিরশির করে ওঠে।
আমাদের কোন মা-বোন-মেয়ে নেই,
আছে বড় বাপ, ক্ষমতা আর
ধামাচাপা দেয়ার যথেষ্ট উপকরণ।
বাংলা তোমাদের কে হয়? মা তো নয়!!!
এই তনুই বা কে? বোন নাকি!!!
আমাদের পৈশাচিক অট্টহাসি তোমাদের বিবেককে কি বলে যায়,
"মনুষ্যত্ব, তুমি ছুটি কাটিয়ে ফিরবে কবে?"???
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:১২