দু-একটা সাদা মিথ্যা (অন্যের জন্য ক্ষতিকর নয় এমন মিথ্যা) বলার মাধ্যমে যদি জীবনটাকে অনেক সহজ ও নির্ঝঞ্ঝাট করা যায়, তাতে দোষের কী?_এমনটাই ভাবেন ব্রিটিশরা। এ তথ্য সম্প্রতি পরিচালিত এক জরিপের। এতে জানা গেছে, ব্রিটেনের লোকজন প্রতিদিন গড়ে তিনটি মিথ্যা বলেন। জরিপে দেখা যায়, কোথায় থাকেন, কী করেন, কত ঘণ্টা কাজ করেন, বাসায় কী ধরনের কাজ করেন বা করেন না_এমন সব বিষয়ে গুল মারাকে ব্রিটিশ প্রাপ্তবয়স্করা দোষের মনে করেন না। ডেইলি এঙ্প্রেসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
জরিপটি চালায় টোয়েন্টিথ সেঞ্চুরি ফঙ্ হোম এন্টারটেইনমেন্ট। এতে অংশ নেয় তিন হাজার নারী-পুরুষ। তাঁদের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি লোক বলেছেন, তাঁরা কাজের ভারে ব্যাপক ব্যস্ততার কথা জানান সহকর্মী, বন্ধু, বসসহ সঙ্গীদের। দৈনন্দিন জীবনের জটিলতা এড়ানোর জন্যই তাঁরা এসব মিথ্যার আশ্রয় নেন বলে গবেষণায় বলা হয়েছে।
জরিপে বলা হয়, শতকরা ২০ ভাগ লোক তাঁদের বেতন-ভাতা সম্পর্কে অন্যের কাছে সত্য বলেন না। আবার স্টক মার্কেটে ব্যবসা করে অর্থ কামাচ্ছেন এমন গুলও মারেন শতকরা ২০ ভাগ লোক। সব সময়ই কর্মক্ষেত্র থেকে ছুটি-ছাঁটা নেওয়ার জন্য অসুস্থতার মিথ্যা অজুহাত দাখিল করেন প্রতি ১০ জনের চারজন। আর ১০ জনের একজন স্বীকার করেছেন, আত্মীয়ের মৃত্যু হয়েছে_ এমনটা বলে এ সুযোগ নেন তাঁরা। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে, আগের সঙ্গীটির সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে বলতে গিয়ে বেশির ভাগ পুরুষই বলেন, সেটা তেমন একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল না। নারীরা তাঁদের তুলনায় আরো একধাপ এগিয়ে। তাঁদের বেশির ভাগই ঘনিষ্ঠতার কথা অস্বীকার করেন।
জরিপে অংশ নেওয়া এক-চতুর্থাংশ লোক স্বীকার করেছেন, তাঁরা চাকরির আবেদনপত্রে অভিজ্ঞতার মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। আর কাজের যোগ্যতাকে অতিরঞ্জিত করে উপস্থাপন করেছেন বলে জানান ১০ জনের একজন। এক-পঞ্চমাংশ স্বীকার করেছেন, তাঁরা ফেইসবুক ও টুইটারের মতো সামাজিক নেটওয়ার্ক ওয়েবসাইটে নিজেদের স্ট্যাটাস বাড়িয়ে লিখেছেন। আর সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন বলে স্বীকার করেন এক-চতুর্থাংশ লোক। ওই মুখপাত্র বলেন, 'দুই-তৃতীয়াংশ লোক মনে করেন মিথ্যা বলায় তাঁরা খুব একটা পারদর্শী নন। তার পরও তাঁরা মিথ্যা বলা চালিয়ে যাচ্ছেন এই আশায় যে তাতে জীবন যদি কিছুটা সহজ হয়।' তিনি আরো বলেন, 'এটা দুশ্চিন্তার যে বেশির ভাগ মানুষই অন্যদের তুলনায় তাদের ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে বেশি মিথ্যা বলে।'
সূত্র : ডেইলি মেইল।