ঘুম থেকে উঠেই রোমিও বুঝতে পারলো আজও গেছে

রাস্তায় নেমেই খেয়াল করলো, লুবনা এদিকেই আসছে রিকশা নিয়ে ....
লুবনা উড়ন্ত চুলগুলো ঠিক করতে করতে বলল, কই যাচ্ছ রোমিও ...
~ এই তো যাচ্ছি ক্যাম্পাসের দিকে ....তুমি কই যাচ্ছ ..
- আমিও ঐ দিকেই যাচ্ছি .... তুমি ইচ্ছা করলে আমার সাথে যেতে পারো ..
~ রোমিও আর না করতে পারল না, লাফিয়ে রিকশায় উঠে গেলো ...
রোমিও পাশের সিটে বসেছে দেখে লুবনার মনের ভেতরের ললিপপটা নিমেষেই ফেটে গেলো


লুবনা যে ওকে পছন্দ করে তা রোমিও বেশ ভাল করেই জানে ... তাই ওর এক্সট্রা ভাবগুলো রিকশার পেডেলের সাথে সাথে বাড়তেই লাগলো

গোল চত্বর ক্রস করার সময় রোমিও খেয়াল করলো প্রিয়া, টিনা আর অনু ফুটপাত দিয়ে হেটে হেটে এদিকেই আসছে .... ওদের একসাথে দেখে রোমিওর মাথায় যেন আকাশ ভেংগে পড়লো আর লুবনাকে ভুংভাং বুঝানো শুরু করলো :!> .... লুবনা কিছু বুঝে উঠার আগেই ও রিকশা থামিয়ে নেমে পড়লো....
লুবনার রিকশা চলে যাওয়ার পর don't care style


রোমিওর চোখে চোখ পড়া মাত্রই প্রিয়া বলল, কি রে কি খবর তোর .. আজকাল তো তোর দেখা পাওয়াই দায় ....
~ Hi priya ...... কি বলিস! আমার দেখা পাস না মানে তোর চোখ অন্ধ হয়ে গেলো নাকি



এই কথা শুনে টিনা আর অনুর মনে যেন আগুন ধরে গেলো


রোমিও মনে মনে ভাবল যাক ঢিলটা জায়গা মত লেগেছে

নাস্তা সেরে চা খেতে খেতে ওর মোবাইলটা বেজে উঠলো .... মোবাইলটা পকেট থেকে বের করে স্ক্রিনে চোখ পড়তেই খেয়াল করলো জান্টুস-৫ কল করছে

স্বাভাবিক ভাবে ফোনটা রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে রিমকি বলে উঠলো কিরে তোর জন্য আজকেও সিট রাখলাম আর তুই ক্লাশেই আসলি না .... আর আগেও একবার কল দিলাম ধরলি না ব্যাপার কি ....
~ আর বলিস না ঘুম থেকেই উঠতে পারি নি .... (মনে মনে ভাবলো, তোদের ফোনের জ্বালায় তো রাতে ঘুমাতেই পারি না উঠবো কি করে

- ও তাই বল ... তা কখন আসবি ....
~ তুই কোথায়... আমি আসছি ( এমনভাবে বলল যেন এখান থেকে কেটে পড়লেই বাচে

- আমি ক্লাশের সামনের মাঠেই বসে আছি .....
~ OK ...তুই wait কর্ আমি এক্ষুনি আসছি .....
ফোনটা কেটে দিয়ে প্রিয়া কে বলল তুই আস্তে আস্তে চা খেতে থাক্..... ক্লাশে যেন কি ঝামেলা হয়েছে আমার এখনি যেতে হবে

(চলবে)
(কারও লাইফের সাথে মিলে গেলে লেখক দা্য়ী নয় ...

উৎসর্গ : আমার প্রিয় ব্লগার আশিক মাসুম ভাই (যিনি আমার নিক নিয়ে সুন্দর একটি অনুকাব্য করে দিয়েছেন, যা বর্তমানে আমার প্রোফাইল স্ট্যাটাস )