আমার ঘরের মেঝেতে যে এক চিলতে রোদ পড়ে
দিনের শুরুতে
আমি তা গায়ে মেখে নেই একটা বিছানা পেতে
আবার যখন বৃষ্টিজল খুব করে ভিজিয়ে দেয়
এ শহর
আমার জানালার কাঁচ ঘোলা তখন
আমি হাত বাড়িয়ে বৃষ্টি কে ছুঁয়ে দেখি
মাঝেমধ্যে ভিজতে চলে যাই
আমাকে প্রেমের কথা জিজ্ঞেস করলে
আমি অকপটে একজন নারীর কথা বলতে পারি
যাকে কখনো দেখিনি
শুধু তার কন্ঠস্বরকে চিনি
সেই কন্ঠস্বর সদা মরফিনের মতো কাজ করে
আবার কখনো গভীর ঘুম থেকে তুলে নিয়ে যায় বহুদূর কোন এক গ্রামের কাছে
যেখানে দোলনায় ঝুলে কোন কিশোরী
আঙুল চেটে কদবেল খাচ্ছে
ফসলের গায়ে বিকেলের নরম রোদ লেগে আছে
নদীর কলকল ধ্বনি
কিষানের পরিশ্রান্ত মুখে জগত ভুলিয়ে দেয়া হাসি।
যদি আমাকে প্রশ্ন করো
আমি কোন ধর্মে বিশ্বাসী?
অথবা আমি কি মুসলিম?
বা অন্য ধর্মের?
আমার সোজা উত্তর আমি মানুষ
দোষ গুন দুটোতে সমান ভরপুর
কারণ ধর্মের কোথাও কিছু মানবে
কিছু ছাড়বে
অমন সুযোগ দেয়া নেই
আমি সুবিধাজনক অবস্থায় থাকি
সে অর্থে একজন অধার্মিক বলতে পারো
তবে স্রষ্টাকে অস্বীকার করার মতো সাহসী নই।
তোমাদের প্রত্যাখ্যান
আমাকে বিচলিত করে না
তোমাদের ঘৃণা এবং আদর মাখা কথা
কিছুই আমার আমিকে ভাবিয়ে তোলে না
এ জলের মতন পরিষ্কার
আমার কাছে জীবন মানে
ব্যতিক্রম এবং অতি সুন্দর
কবিতার অতল গহ্বর।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১২