তোমাকে ভেবে যখন একটি কবিতা লিখি
এর প্রতিটি শব্দ জীবন্ত রাখার চেষ্টায় থাকি
যেন নিথর দেহে
রুহ ফুঁকে দেয়ার মতো গোপন কার্য
যা কেবল আমিই জানি।
এরপর ভেতরে যে একটা সুখ অনুভূতির জন্ম হয়
মনে হয় গোটা জগৎ আমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি
স্নিগ্ধ শান্ত জলাশয়ের উপর
চাঁদ যেমন ঠায় দাঁড়িয়ে
একটার পর একটা মেঘের দেয়াল সরায়
আমিও তেমনি সমস্ত দু:খ সরাতে সরাতে
তোমাকে নিয়ে সুন্দর জীবন যাপনের ছবি আঁকি
তোমার প্রতিমা গড়ি
ডাগরডোগর দুটি আঁখি
নিখুঁত মুখশ্রী
সুডৌল স্তন
যেন পুজোর দেবী।
জানো,
এ শহরে প্রেম নেই
প্রাণ নেই
কি এক অসুখে সবাই মরে গেছি
যার কোন দাওয়াই কারো কাছেই নেই
রিক্সার পেছনে যে চিত্রকর্ম
যাতে থাকে বেশীরভাগ সিনেমার
নায়ক নায়িকার হাস্য উজ্জ্বল মুখ
ওরকম একটা ছবি তোমার আমার হোক
এ ভেবে ভেবে কত যে রাত গেল
দিন গেল
আশ্চর্য কিছুই হলো না।
ইদানীং একই দৃশ্য বারবার দেখি
তোমার শাড়িতে কেমন দাপাদাপি করছে উপচে পড়া সাগরের ঢেউ
ঢেউয়ের কাছাকাছি আমি
অথচ তোমায় ধরতে পারি না।
দ্যাখো ,
কেমন হেঁটে যাচ্ছি বার্ধক্যের দিকে
তোমায় কাছে টানা হলো না
ভর দুপুরে দুয়ারে খিল দেয়া
খুব দ্রুত দুই চার চুমু
মৈথুন কিছুই যে হলো না
না হতে হতে সবকিছু কেমন সুতার কুন্ডলীর মতো
আলমারিতে উঠে জট লেগে গেছে
একটু এদিক সেদিক হলেই এখন লংকা কান্ড !
আমার প্রস্তাবটি মন্দ নয়
ভালোবাসলে
ভালোবাসার মতো বাসো
লাভ লসের হিসেব কেন এতো ?
তোমাকে আমি একটা নদী ভেবে
ভেলা ভাসাই
ডুব দেই
কেমন লখিন্দরের মতো ভাসতে ভাসতে
পাশ বদলাই।
আসলে আমি তো
অযত্নে বেড়ে উঠা শাপলা ফুল
যার সারাজনম জলেই কেটে গেলো
ডাঙ্গায় উঠা হলো না
জুটলো না কোথাও
ইঞ্চিখানেক বিশেষ তেমন ঠাঁই।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪৯