জীবনের একটাই লক্ষ ডাক্তার হওয়া।জীবনের প্রতিটি স্তর কেটেছে প্রতিযোগিতায়।গল্পটা একটি মেধাবী ছেলের ধীরে ধীরে বিপথে যাওয়ার গল্প।
রানা আমাদের ছোট ভাই।যার হাসি মাখা কচি মুখে বিসন্নতার ছায়া।চোখে অনেক কথার ঝুরি ।কথাগুলো কান্নার অনেক যন্ত্রনার।নিষ্পাপ অসহায় চোখ বলে কি দোষ ছিল আমার।আমিও তো বাঁচতে চেয়েছি তোমাদের মত করে সুন্দর আলোর ভুবনে।তবে কেন নেমে এল অন্ধকার।সে এখন হাসে সে গান গায়।একটু ভাল থাকার আশায়।কিন্তু হাসি গুলো নিমেশেই মিশেছে দুঃখ সাগরে। নিজে না পড়ে তার প্রিয় মানুষের জন্য রাত জেগে এসাইনমেন্ট করা।যখন তখন যেকোনো প্রয়োজনে ক্লাস ফাকি দিয়ে তার কাজে যাওয়া।ধীরেধীরে ক্লাস ফার্স্ট বয়টি লাস্ট সিরিয়ালে যাওয়া। ভালবাসার মানুষটার জন্য নিজে ভার্সিটি এক্সাম না দিয়ে তাকে নিয়ে ভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া। নিজের স্বপ্নগুলো গলা টিপে হত্যা করল তার ভালবাসার স্বপ্ন পূরণের জন্য।সে ভুলেই গেছে তার নিজের জীবন।কারন সে তার জীবনটা অনেক আগেই তাকে দিয়ে ফেলছে।তার সুখেই সে সুখী।যারা সত্যিকার ভালবাসে তারা মানসিক রোগী ছাড়া আর কিছু না।যখন ভালবাসার মানুষ চলে যায় তার মস্তিষ্ক শুন্য হয়ে যায়।সব হারিয়ে সে বেঁচে থাকার জন্য একটু অক্সিজেন পায় না।রানা সব হারিয়ে শুধু চেয়েছিল একটু ভালবাসা।কিন্তু বিনিময়ে সে পেয়েছে অবজ্ঞা।কারন মেয়েটি এখন ভার্সিটি তে পড়ে।সে এখন বলে তোমার সাথে আমার যায় না।আমি ডাক্তার ছেলের সাথে প্রেম করব।
আমি তীব্র নিন্দা করি সেই সব প্রেমিক দের যারা স্বার্থের জন্য দেহের স্বাদ মিটানোর জন্য ভালবাসে।
পবিত্র ভালবাসাকে অপবিত্র করে এই মেয়েটি সব মেয়ে জাতিকে শুধু ছোটই করেনি সে একটি নিঃস্বাপ জীবনকে মেরে ফেলছে।
এটি অপরাধ।মারাত্মক অপরাধ।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪০