একটা অসহায় শিশু একদল হিংস্র মানবরুপি হায়েনার কবলে পড়ে শুধু বাচার জন্য বিলাপ করে দু চোখের যে জল ঝরিয়েছে তা দেখে দেশবাসী তথা বিশ্ববাসী হতবাক! হত্যাকারীরা শুধু নির্মম ভাবে হত্যাকরে ক্ষান্ত হয়নি। সকল নির্য্যাতনের ভিডিও চিত্র তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে , ইউটিউবে ছড়িয়ে দিয়েছে। যা শিষ্টাচারের সব মাত্রা লঙ্ঘন করেছে। এমন হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখে এলাকাবাসি সহ সকল মানুষ ক্ষুব্ধ। সকলেই চাইছে হত্যাকারিদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি। ইতোমধ্যে হত্যাকারিদের মধ্যে মুহিত নামের একজন গ্রেফতার হয়ে পুলিশের রিমান্ডে আছে । আর এক প্রধান হত্যাকারী কাম্ রুল সউদি আরবের জেদ্দায় জনতার হাতে ধরা পড়ে সৌদি পুলিশের হেফাজতে আছে।তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় । শিশু রাজনের লাশের ময়নাতদন্তে দেহে ৬৪টি আঘাতের চিহ্ন পেয়েছে পুলিশ। রিপোর্টে মস্তিষ্কে রক্ত ক্ষরনের কথাও বলা হয়েছে। দ্রুত বিচার কার্য শুরু হওয়ায় সরকারের প্রতি সকলে আস্থাশীল । শিশু হত্যার এই নজীর যেন আর কোন শিশুকে অন্তিম শয্যায় ঠেলে না দেয়। একটি অপমৃত্যু যেন কোনভাবেই বহু অপমৃত্যুকে উৎসাহিত না করে । শিশু রাজন এখন কবরের নীরব অন্ধকারে অঘোরে ঘুমাচ্ছে । মা বাবার শত বিলাপে সে আর কোনদিন জাগবে না। এখন তার হত্যা কারীদের কঠিন বিচারের অপেক্ষায় সকলে । প্রধানমন্ত্রী দেশে সুশাসনের যে নির্দেশনা
দিয়েছেন , রাজনের হত্যার সেই বিচার প্রচলিত আইনেই সম্ভব। দরিদ্র পরিবারের সন্তান বলে এ খুনের বিচার যেন কখনো ধামাচাপা না পড়ে। সিলেটের সাধারন জনগন
প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দিয়ে দিয়েছে। আমরা এ মর্মান্তিক হত্যার সুষ্ঠ বিচার চাই ।একই সাথে শিশু রাজনের আত্মার শান্তি ও মাগফেরাত কামনা করি । শোক সন্তপ্ত পরিবারকে সমবেদনা জানাই ।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৩৬