স্বাধীন বাংলা দেশের নাগরিক এই পরিচয়ে আমরা গর্ব বোধ করি । যে মহান নেতার আপোষহীন নেতৃত্বে বহু ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে আমরা এই দুর্লভ অর্জন মহান স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস লাভ করেছি , পেয়েছি লাল -সবুজ পতাকা আর সার্বভৌম, মুক্ত রাষ্ট্রীয় ভূখণ্ড। তিনি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জীবনভর বাঙালি জাতি ও আপন মাতৃ ভুমির জন্য লড়াই সংগ্রাম করে ,বারবার কারা বন্দী থেকেও যিনি শত্রুর সঙ্গে আপোষ করেননি , শত্রুরা হাজার ষড়যন্ত্র করেও দেশের মানুষের ভালবাসা আর সৃষ্টিকর্তার অসীম করুনায় যে মহান মানুষ্ কে হত্যা করতে পারেনি , স্বাধীন দেশে ফিরে আসার পরে নিজ হাতে গড়া দল আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ,কাছের মানুষ, ঘৃনিত, বেইমান মোস্তাক গং দের ষড়যন্ত্র থেকে আমরা তাঁকে বাচিয়ে রাখতে পারিনি । কিন্তু সেই মর্মান্তিক হত্যা কান্ডের পরে ৩রা নভেম্বর ইংরাজী ১৯৭৫ সালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বঙ্গবন্ধু কে হত্যার পরে খুনি মোস্তাক চক্রের সরকারে যোগ দিতে অস্বীকার করার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা লাভের অন্যতম রুপকার ব্যারিস্টার তাজউদ্দীন আহমেদ সহ ৪ নেতাকে বন্দী অবস্থায় নির্মম্ ভাবে হত্যা করা হয় । যা ইতিহাসের আর এক কলঙ্কিত অধ্যায়ের সৃষ্টি করে । তারপরেও দেশ প্রেমিক জনগন বঙ্গবন্ধু যে কিছু অন্ধ ভক্ত ও অনুসারী সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন এ ঘটনার পরে সেই উপলব্ধি করে আজও সান্তনা খোঁজে । মোস্তাকেরমত মীর জাফর দের বিশ্বাস করে যে ভুল জাতির পিতা করে ছিলেন সেজন্য জাতিকে বহু বছর নতুন নেতৃত্ব খুঁজে পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল। দলের নেতা –কর্মী , সমর্থকদের ক্ষমতাসীন্ দের হাতে অবর্ননীয় অত্যাচারের মাসুল দিতে হয়ে ছিল। তবুও বঙ্গবন্ধু ছিলেন দলের প্রধান । তাই দলের নেতৃত্বের রদবদলের সিদ্ধান্ত তাঁর ছিল। ভুল হোক ঠিক হোক সেটা ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র । বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর প্রবাসে থাকা জীবনে বেঁচে যাওয়া বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে আজকের বাংলা দেশের প্রধান মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি জন নেত্রী শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধুর শূন্য আসনে ফিরে পেতে বহু বছর লেগেছে। দেশ সে সময়ে অনেক পিছিয়েছে। দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু কন্যাকেও দেশের ভিতর ও বাইরের বহু চাপ,ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আজকের মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছতে হয়েছে । আমরা ঘর পোড়া দেখা জাতি, ষড়যন্ত্রের সিঁদুরে মেঘ দেখলে আমদের ভয় হয় । সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও এল জি ডি আর ডি মন্ত্রী কে মন্ত্রনালয় থেকে অব্যাহতির ঘোষনায় খোদ আওয়ামী লীগ ও সমর্থক রাজনৈতিক মহলে কানাঘুষা চলছে। এ সিদ্ধান্তে ভবিষ্যতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব না তো ? সফল হাতে বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী দেশ পরিচালনা করে চলেছেন। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী , দলের স্বার্থে হোক আর দেশের স্বার্থে হোক প্রধান মন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতি আমরা সম্পুর্ন আস্থাশীল। বঙ্গবন্ধু কন্যার দৃঢ় নেতৃত্বে দেশ ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যাবে । দল-নেতৃত্ব –সিদ্ধান্ত সকল ক্ষেত্রে তিনি অটুট থাকবেন । জাতি আশঙ্কা মুক্ত হয়ে একদিন উন্নত আয় ও সমৃদ্ধির দেশে পৌছে যাবে ।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:০৪