সারা বিশ্বের সাথে আজ বাংলাদেশে পালিত হলো বিশ্ব নারী দিবস। প্রতি
বছর ৮ই মার্চকে জাতিসংঘ এই দিনটিকে বিশ্ব নারী দিবস হিসেবে পালনের
ঘোষনা দিয়েছে। আমরা দিবসটি পালন করেছি। এবারও নিয়ম রক্ষা ছাড়া
তেমন বিশেষ কিছু চোখে পড়েনি। নারীর ক্ষমতায়নের সাথে দেশের উন্নয়ন
কতটা জড়িত কাগজে কলমে যতটা প্রচার সম্ভব বাস্তবে দেখা বা দেখানো
হয়তো ততটা সম্ভব নয়। মনটা ভারাক্রান্ত, কদিন আগে মুক্তমনা ব্লগার
হিসেবে পরিচিত আমেরিকা প্রবাসী প্রকৌশলী অভিজিৎ রায় ২১ শের বই
মেলা থেকে ফেরার পথে ভিন্নমতের শত্রুদের হাতে নির্মম হামলার শিকার
হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। একটি মৃত্যু একটি পরিবার তথা একটি
দেশের জন্য অভিশাপ হয়ে গেল। চিকিৎসক স্ত্রীর সামনে ঘাতকরা কুপিয়ে
কুপিয়ে পশুরমত একটা তরতাজা জীবনকে চিরকালের মত শেষ করে দিলো
অথচ কেউ তার চিৎকার শুনে এগিয়ে এলো না।স্ত্রী আহত হয়েও তার ভালোবাসার প্রিয় মানুষটিকে বাচাতে পারলো না।এ ব্যর্থতা শুধু অভিজিত
এর স্ত্রী ডাঃ রাফিদা আহমেদের নয়, এ ব্যর্থতা আমাদের সকলের।
এ ব্যর্থতা শুধু একজন নারীর নয় ,এ ব্যর্থতা গোটা নারীজাতির। আজ
বিশ্ব নারীদিবসে একজন নারীর নির্মল ভালোবাসার সুরক্ষা চাই। আমি
বিশ্বের সকল নারীর নিরাপদ ও সুখী জীবনের গ্যারান্টি চাই। নারীর
ক্ষমতায়নকে কাঁচের ফ্রেমে বাঁধানো কোনো ইমিটেশানের অলঙ্কার
হিসেবে দেখতে চাইনা। নারীর ভালোবাসা কে কোনো আস্তিক -নাস্তিকের
মল্লযুদ্ধের শিকারে পরিনত হয়ে ধ্বংস স্তুপে পরিনত হতে দিতে পারিনা।
প্রতিবাদ সেখানেই- যেখানে মানবতা অবরুদ্ধ,সভ্যতা অন্ধ দানবীয়
আবেগের কাছে শৃংখলিত, ধর্মান্ধতা সুস্থ সমাজ ব্যবস্থার অভিশাপ,
সে সমাজকে ঠিক করতেই হবে। নারীকে সু শিক্ষার পাশাপাশি, কর্ম ও
স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার দিতে হবে।সামাজিক নিরাপত্তা দিতে হবে।
স্বজনের সাথে শান্তিতে নিরাপদে থাকার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
আসুন নারীর সকল অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমরা সকলে শরীক হই ।
এই হোক এবারের বিশ্ব নারী দিবসের অঙ্গীকার।