এ দেশ আমার মায়ের মত। স্নেহ -মমতায় বেড়ে ওঠা আমার শৈশবের খেলা
ঘর ,কৈশোরের দুরন্ত ছলনাময়ী আবেগ, যৌবনের অনন্ত স্বপ্ন ঘেরা সকাল,
আগামী সম্ভাব্য বার্ধ্যক্যের বারানসী। শৈশবের সব কথা মনে পড়ে না।
কৈশোরে স্বচক্ষে মাতৃভুমির স্বাধীনতার জন্য বাঙালী জাতির গৌরবময় সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি।৭১-সালে মুক্তিযুদ্ধের কারনে
মার্চ থেকে ডিসেম্বর দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ৭ম শ্রেনীতে
প্রথম হয়ে উত্তীর্ন হয়েও লেখা পড়া করা হয়ে ওঠেনি।ওখানে শিক্ষা জীবনে
এক বছর ঝরে গিয়েছিল। যদিও ক্লাশে ফার্স্টবয় হওয়ার সুবাদে ৭২-সালে
৮ম শ্রেণীতে হেডস্যার প্রমোশোন দিয়েছিলেন। ৭৫-সালে এস এস সি পরীক্ষা দিয়ে বসে আছি ।রেজাল্ট আউ্ট হয়নি ।৭৫-এর ১৫ই আগস্ট ভোরে
জাতির জনক আমার প্রিয় নেতা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করা হলো ।এক দেশপ্রেমিক খাটি
বাঙালী নেতাকে হত্যা করে বাঙালী জাতীয়তাবাদের চেতনাকে ধ্বংস করার সব চেষ্টা করা হলো। ৩রা নভেম্বর জেলখানায় ৪ জাতীয় দেশপ্রেমিক নেতাকে শাসক বেশী স্বাধীনতার শত্রুরা নির্মম্ ভাবে হত্যা করে দেশ প্রেমের সাথে
বেইমানী করে জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতার নয়া ইতিহাস সৃষ্টি করলো।
সেদিন অনেক দুঃখ পেলেও সেদিনের ১৫ বছরের এই বাঙালী কিশোর
কিছুই ভোলেনি। তারপর সব ঘটনার স্বাক্ষী আছে সময় ও ইতিহাস ।তারপর সরকারী ব্রজলাল বিস্ববিদ্যালয় কলেজে ভর্তি হয়ে শিক্ষা জীবনের
নতুন যাত্রা শুরু। শেষ হলো রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রী নিয়ে। একাধিক
সরকারী চাকরি ছেড়ে বর্তমানের কর্মস্থল একটি অনার্স- মাস্টার্স কোর্স
চালু থাকা কলেজে অনার্স বিভাগে পড়াই। কত সময় পেরিয়ে যায় ।কত স্বপ্ন দেখি দেশটাকে নিয়ে। স্বাধীন দেশে আমি সুখী মানুষ দেখতে চাই।
ভাবি কত কিছু হারিয়েও দেশটাকে ভালবাসি।পড়ানোর পাশাপাশি
সাংবাদিকতা করি। দেশের মানুষের কথা লিখি। যে কোন হত্যার
হত্যা কারীকে আমি মনে প্রানে ঘৃনা করি।আমার কাছে দেশপ্রেম সবার
চেয়ে বড়। এমনকি স্বপ্নের চেয়েও বড় ।