এই বাংলায় ফাগুন আসে, ভোরের কুয়াশা নামে তৃন,গুল্ম, বৃক্ষ শিরে।
রাতের শিশিরে সিক্ত হয় পথ ঘাট প্রান্তর, কৃষকের ফসলের মাঠ,
এখানে সুর্য ওঠে কৃষাণীর ঘুম ভাঙ্গা মৃদু চরণ শব্দে জেগে ওঠা ভোরে।
শিমুল, পলাশ, কৃষ্ণচুড়ার ডালে ডালে লাগে রক্ত রাঙা ফুলের আগুন ,
ফেব্রুয়ারীএলেই আসে বাঙালীর শহীদদিবস,আসে রক্ত ঝরানো ফাগুন।
ইতিহাসের এই দিনে মাতৃ ভাষার দাবীতে ঢাকার রাজপথে মিছিল নামে,
পাকিস্তানী শাসকের ১৪৪ ধারার নিষেধাজ্ঞা ভাঙে বিপ্লবী ছাত্র জনতা।
গুলি চলে ,রফিক, শফিক , বরকত , ছালাম সহ কত তরুনের বুকের
তাজা রক্তে ভিজে যায় রাজপথ , শহীদ হয় বাঙলার সুর্য সন্তানেরা ।
তারপর প্রতিবাদ আর বিক্ষোভে ফুসে ওঠে সারা দেশ , শুরু হয় অলিখিত যুদ্ধ।
প্রতিবাদে অচল হয়ে পড়ে দেশ , ৫৬- তে বাংলা রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি পেল,
শহীদের রক্তে ভেজা ঢাকার রাজপথে শহীদস্মরণে শহীদ মিনার বানানো হলো।
দিনটিকেপবিত্র শহীদদিবস হিসেবেপালনের অঙ্গীকারনিলো বাঙালীজাতি,
বাংলা ভাষা ও বাঙালী সংস্কৃতির এই চেতনা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে গেলো।
শেষে ১৯৯৯ সালে দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি পেলো।
ভাষা শহীদদের রক্তদান সার্থক হলো , বাঙালী জাতিপেলো অনন্য গৌরব ।
একুশ এলে তাই নগ্ন পায়ে ফুল হাতে শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে যাই,
একুশএলে তাই দেশ জুড়ে উৎসব শুরু হয়ে যায়, বাঙালী মাতে শহীদ স্মরনে ,
ব্যনার-ফেস্টুন-কালো ব্যাজ নিয়ে প্রভাতফেরিতে বেরিয়ে পড়ি বাংলার পথেপথে,
মুখেগান গাই আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২১ ফেব্রুয়ারী ,আমি কি ভুলিতে পারি।
আর ভাবি,একুশ নয় মাথা নোয়াবার ,উদ্ধত শিরে প্রতিবাদে ২১ আমার অহংকার।
,