ঝড় তুলে নাচে-
হরমোন সিক্রেশন জমে উঠা ক্লান্তি,
এসিডের আধিক্য,মাইগ্রেন ব্যাথা, ডিপ্রেসনের চাপ
আর তুমি হেঁটে যাও বিপ্লবী ছন্দে
না বলা কথাগুলো, কখনোই বলা হয়ে উঠে না।
মৃদু প্রদীপের আলোয় তোমার বুকে মুখ রেখে,
যা বলতে ইচ্ছে করে খুব ভালোবেসে।
থমকে যাওয়া কথাগুলো জমাট বাঁধে অভিমানে,
অন্ধকার আর মৃত গহ্বরে কাঁটা হয়ে-
ঘাই মারে হৃদয়ে মনে ও মননে।
বদলে যাওয়া সময় দেখি, নিদারুণ খরখরে চোখে-
প্রতিপল অনুক্ষণের বদলে যাওয়া অবলোকন করি
আর বিষন্নতার ঘেরা টোপে ডুব দেই হাবুডুবু খাই।
সময়ের ক্লান্তিতে বুড়িয়ে যাই মৃত্যুকে ভালোবাসি।
শরীরের কোষেকোষে জমে ব্যাথা। চোখে ধূ ধূ সাহারা।
ক্লান্তি আর বিষন্নতার সঙ্গী হয়ে গুণগুণিয়ে যাই আপন মনে
তোমাকে বলতে চাওয়া কথা-
যা কখনোই তোমাকে আর হয় না বলা, নিরালায় সুখে ভালোবাসায়।
দেখি তোমার চৌকস চলাফেরা।
আর গভীর ক্লান্তিতে ভেঙ্গে যায় শরীর ও মনের কাঠামো- অবহেলায়
বিছানায় সেটে থাকি। হরমোন সিক্রেশন যন্ত্রনায়
মাথা ব্যাথায় কাঁপি আর অসহ্য কষ্টে একা নীরবে ক্ষয়ে যাই।
এক দিন পর্দার ফাঁকে রোদ্দুর টোকা দেয় জীর্ণ শরীরে।
এক বেলা নীল আকাশ ডানা মেলে ডাকে।
একদিন ভুল করে প্রজাপতি ঢুকে পরে আমার অন্ধকার ঘরে।
বেলা অবেলার কথা বলে দূরন্ত সাহসে রঙিন পাখায়-
খোলা হাওয়ায় যাওয়ার পথ খুঁজে খুঁজে উড়ে অবিরাম
একচিলতে জানালার ফাঁকে, এক সময় পেয়ে যায় আকাশের অসীম।
সেদিন থেকে প্রজাপতির সাহসে
ছূঁড়ে দিয়েছি সমুদ্রজলে-
হরমোন সিক্রেশনে জমে উঠা ক্লান্তি
এসিডের আধিক্য ডিপ্রেসনের চাপ, মাইগ্রেন, থায়রয়েড
বা অকারণ ব্যাথা শরীর জুড়ে ।
থমকে থাকা ট্রমা হৃদয়ে ও মনে
এখন আমি মুক্ত মানবী হাওয়ায় ডানা মেলে উড়ি ভালোবাসায়।
অসংখ্য যন্ত্রনাকাতর নারীর উদ্দেশে.............সাহসী হও