বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি যে আজ কতটা অনিরাপদ তার বড় উদাহরণ মাগুরার নাজমা বেগমের গর্ভের অনাগত
সন্তান ‘বেবি অব নাজমা বেগম’র (হাসপাতালের খাতায় দেয়া নাম) মাতৃগর্ভে বুলেটবিদ্ধ হওয়া।
মাগুরার ‘বেবি অব নাজমা’ ইডিডি (এক্সপেক্টেড ডেট অব ডেলিভারি) বা জন্মের সম্ভাব্য সময়ের এক মাস আগে
দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে এই পৃথিবীতে এসেছে।
তার জন্মপূর্ব গুলিবিদ্ধ হওয়ার জন্য আমরা কাকে দায়ী করবো?
ছাত্রলীগের একপক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে নাজমা ও ‘বেবি অব নাজমা বেগম’ এর গুলিবিদ্ধ হওয়ার জন্য
ছাত্রলীগের ১৬ বা ১৭ জনের এক দঙ্গল আসামিকে আমরা কি এ ঘটনার জন্য দায়ী করবো, না ছাত্রলীগের হাতে
যারা খাতা-কলমের বদলে অস্ত্র তুলে দিয়েছে, বা যাদের অনুপ্রেরণায় এই ছাত্রলীগাররা অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছে
তাদেরকে দায়ী করবো?
কিভাবে তারা অস্ত্র পেল? কেন দেশজুড়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগসহ নানা লীগের নিজেদের মধ্যে খুনোখুনি চলছে?
আগে আওয়ামী লীগ-বিএনপি, আওয়ামী লীগ-জামায়াত, ছাত্রলীগ-ছাত্রদল, ছাত্রলীগ-শিবিরের মধ্যে যে গোলাগুলি,
খুনোখুনি হতো এখন তা প্রায় বন্ধের পথে। কিন্তু প্রকৃতিতে কিছুই শূন্য থাকে না।
যেখানে ‘শিশুরা সুন্দর মাতৃক্রোড়ে’, সেখানে জন্মের আগে বাংলাদেশে মাতৃগর্ভেও শিশু নিরাপদ নয়। বাংলাদেশের
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির এই হচ্ছে সার্বিক চিত্র। যেখানে কেউই এখন নিরাপদ নয়। স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৫