এই অপার্থিব শহরের কোলাহল ও উত্তাপ থেকে মুক্তির আশায় নির্জন কোথাও হারিয়ে যেতে মন চাইছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। অবশেষে মুক্তির বার্তা নিয়ে এলেন মামুন রশিদ ভাই। নিমন্ত্রণ পেলাম সিলেট বেড়াতে যাওয়ার। সাথে সাথে আমিনুর রহমান, কাণ্ডারি অথর্ব, কুনোব্যাঙ, কাল্পনিক_ভালোবাসা ও স্বপ্নবাজ অভির সাথে যোগাযোগ করলাম। বেশ উৎসাহ নিয়ে সকলেই রাজী হয়ে গেল স্বপ্নের হাতছানি দিয়ে ডাকা সিলেটের পথে নিরুদ্দেশ হওয়ার জন্য। শুধু কাণ্ডারি ভাই অফিসের কারণে বৃহস্পতিবার রাতে রওনা হয়ে সিলেট গিয়ে একত্রিত হবে বলে জানালেন। মোটামুটি আধা ঘণ্টার মধ্যে সকলে তৈরি হয়ে রাত সাড়ে দশটার দিকে যে যার মত করে উত্তরার বাস কাউন্টারে এসে একত্রিত হলাম। অতর্কিত এই ভ্রমণের জন্য সকলের ভেতর প্রচুর উচ্ছ্বাস কাজ করছিলো। কিন্তু বিপত্তি বাধল টিকেট কাটতে গিয়ে। বুধ বৃহস্পতিবার শ্রীমঙ্গল ও সিলেটের গাড়ির টিকেট পাওয়া নাকি খুব ঝামেলা তাই আমরা কোন টিকেট পেলাম না। উত্তরা থেকে এনা ছাড়া সিলেটের আর কোন বাস সার্ভিস নেই। চট জলদি এয়ারপোর্ট ট্রেন স্টেশনে গিয়ে আমরা উপস্থিত হই। এখানেও আমাদের জন্য দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছিলো। বুধবারে সিলেটগামী ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধ। একটা মালবাহী ট্রেন আছে কিন্তু কখন আসবে আর কখনইবা যাবে তার কোন ঠিক নেই। আমাদের জন্য শেষ ভরসার পথ হয়ে থাকলো সায়দাবাদ বাস স্ট্যান্ড। চরম বিরক্তি এবং অসীম ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে এয়ারপোর্ট থেকে একটা সিএনজি নিয়ে সোজা সায়দাবাদ। যখন পৌঁছলাম তখন রাত প্রায় বারোটা বেজে গেছে। আমাদের ভাগ্যে শেষ পর্যন্ত জুটল হানিফের নন এসি চেয়ার কোচ। অতীত অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি দূর্দান্ত গতিতে প্রাণকে হাতের মুঠোয় নিয়ে হানিফ কোচ সময়ের আগেই যাত্রীদের গন্তব্যে পৌছে দেয়। তাই কাল্পনিক ভাই এর নাম দিয়েছেন পঙ্খিরাজ। বাস চলতে শুরু করতেই এই নামকরনের স্বার্থকতা খুঁজে পেলাম।
তীব্র গতিতে ছুটে চলেছে বাস। তীব্র বাতাসের সাথে বাসের ভেতরে চাঁদের আলোর খেলা। অপার্থিব লাগছে চারিদিকে। হঠাৎ দেখি কাল্পনিক ভাই, প্যান্টের উপর লুঙ্গি পড়ে নাচানাচি করছেন। সে এক দেখার মত দৃশ্য!!! জিজ্ঞেস করলাম, করেন কি ভাই?
কাভা ভাই বললেন, আরে বেটা বাসে আমরা সহ যাত্রী মাত্র পনের জন। সুতরাং এই বাস আমগো। নাচ, গান গা, বিড়ি খা, যা মঞ্চায় কর, শুধু ড্রাইভারী করিস না।
কিছুক্ষন নাচানাচির পর ক্লান্ত হয়ে কাভা ভাই যখন মাত্র সিটে বসলেন, তখন স্বপ্নবাজ অভিও নাচার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করল। আমরা হাত তালি দিয়ে তাকে স্বাগত জানাতেই বাসের লাস্ট সিটের সামনে দাড়িয়ে অত্যন্ত দক্ষতা এবং দৃষ্টিনন্দনের সাথে কোমর দুলাতে লাগল। নাচ যখন সবে মাত্র জমে উঠেছে ঠিক তখন আমাদের বেরসিক বাস ড্রাইভার প্রচন্ড জোরে ব্রেক কষলেন। ধপ-ধপাস ! দুড়ুম !! ইয়াক!!! ভিসুম.......... ইত্যাদি টাইপের শব্দের মাঝে আমরা তীব্র গতিতে বাসের লাস্ট সিট থেকে সামনের সিটের দিকে কিছু একটা গড়িয়ে যেতে দেখলাম। কিছুটা আতংকের সাথে বাসের সকল যাত্রী নড়েচড়ে বসলেন। ড্রাইভার পিছনের বাতি জ্বালাতেই অভি বাসের সামনের সিটের কাছাকাছি থেকে উঠতে উঠতে বলল, নাহ! আমি কোন ব্যথা পাই নাই তো। তারপর এক সাথে উচ্চস্বরে অভি সহ সবাই মিলে পুরো বাস জুড়ে হাসির রোল পড়ে গেল । এত হাসি লাস্ট কবে হেসেছি আমার জানা নাই। এ সময় মুখে গামছা পেঁচানো এক ভদ্রলোক(কুনোব্যাঙ ভাই) আড়মোড়া দিয়ে ঘুম থেকে উঠে বিভ্রান্ত চোখে জিজ্ঞাসা করলেন, কি হয়েছে এখানে? সব শোনার পর আবারও উদাস দৃষ্টি নিয়ে গামছাটা চোখে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন। জাগতিক কোন কিছুই যেন এই লোকটাকে খুব সহজেই আকৃষ্ট করতে পারেনা। পুরো পথ জুড়েই পথ আর ঘুমকে চমৎকার ভাবে মানিয়ে নিয়েছেন কুনোব্যাঙ ভাই । তবে একটা কথা না বলেই পারছি না, কাভা ভাই কিন্তু খুব নিরীহ প্রকৃতির একজন মানুষ। পুরো ভ্রমনে তিনি অভিকে কিন্তু একদমই পচাননি।
সকাল পাঁচটায় আমরা শ্রীমঙ্গল গিয়ে উপস্থিত হই। শ্রীমঙ্গল প্রবেশের আগের রাস্তাটি কেউ মিস করবেন না। অত্যন্ত চমৎকার একটি রাস্তা। পারলে বাসের সামনে গিয়ে বসবেন। বাসের ছাদে বসতে পারলে আরও দুর্দান্ত হবে। একটা রেস্টুরেন্টে বসে চিড়া দই দিয়ে সকালের নাস্তা শেষ করে সকালের কোমল আবহাওয়াতে ঘুরে বেড়ানোর ইচ্ছে পোষণ করলো সবাই। তাই ঘুমকে এড়িয়ে আমারা ঘণ্টা হিসেবে একটা সিএনজি ঠিক করে ফেলি।
আমাদের উদ্দেশ্য লাউইয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের দিকে। প্রথমে চোখে পড়ল শ্রীমঙ্গল বধ্যভূমি। তাই দেরি না করে একনজর দেখে আসলাম হাজার শহীদের রক্ত বিজড়িত এই ভূমি।
বধ্যভূমি পার হয়ে যেতেই সবুজের গালিচা বিছিয়ে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিলো রাস্তার দু ধারের চা বাগান। আমারা কিছুক্ষণ চা বাগানে ঘুরঘুরি করলাম।
চা পাতা তুলতে ছুটেছে গাড়ি মালির দল বোঝায় করে।
চা বাগান পেরিয়ে একটু সামনে গিয়ে আমরা রাবার বাগান দেখে একটু চমকিত হলাম। তাই আবার যাত্রা বিরতি দেই।
সকালে তাজা ফল নিয়ে হাঁটে যাচ্ছে কৃষক।
কিছুক্ষণ পর আমারা আমাদের গন্তব্য লাউইয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে পৌঁছে গেলাম। লাউইয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ঠিক আগের জংলী রস্তাটি আপনাকে বেশ রোমাঞ্চিত করবে। উদ্যানে ঢুকার জন্য টিকেট লাগে। কিন্তু আমরা যখন সেখানে উপস্থিত হই তখন টিকেট কাউন্টার খোলে নাই। আমরা দেরি না করে উদ্যানের ভিতর প্রবেশ করলাম টিকেট ছাড়াই। সকালের হিমেল হাওয়া ও পাখির কলতানে এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। এ বনে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও প্রাণী।
ম্যাপ।
উদ্যানের প্রবেশ পথ।
পথিমধ্যে ঝড়ে পড়ছে নাম না জানা ফুল।
বনের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে একটি রেললাইন।
গাছের ঢালে হনুমান।
সংরক্ষিত এলাকা হলেও ঠিকি গাছ কাটা হচ্ছে। সামনে থেকে ছবি তুলতে নিষেদ করাই পিছন থেকে উঠানো।
বনের মাঝখানে একটি দোকান আছে। আপনারা বেশ আনন্দিত হবেন এই জেনে দোকানদার কে যখন জিজ্ঞেস করলাম বাড়ি কোথায়? উত্তরে দোকানদার বলল, নোয়াখালী। আমি আর কাভা ভাই বেশ গর্ভিত হলাম এই ভেবে, আমরা নেই কোথায়, রয়েছি জঙ্গল নামক গহীন অরণ্য মাঝে। নোয়াখাইল্লা জিন্দাবাদ।
সূর্যের প্রখরতা প্রকাশ পাওয়ার আগেই আমরা শ্রীমঙ্গল বাস স্ট্যান্ডে ফিরে এলাম। এবং বাসে করে দুপুর তিনটায় মামুন রশিদ ভাইয়ের অফিসের সামনে এসে পৌঁছালাম। মামুন ভাই আমাদের জন্য আগে থেকেই থাকার জায়গা ঠিক করে রেখেছিলেন। ইতিমধ্যে আমাদের সাথে যোগ হলেন সিলেটের ব্লগার মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় এবং দলছুট শুভ। আমরা ফ্রেশ হয়ে খেতে বের হলাম। খাওয়ার জন্য সিলেটের জিন্দাবাজারে বেশ ভালো তিনটি খাওয়ার হোটেল আছে। হোটেল গুলো হচ্ছে পাঁচ ভাই,পানশি ও পালকি। এগুলোতে প্রায় ২৯ প্রকারের ভর্তা আছে। যদিও আমরা কোনটিতেই ২৯ প্রকারের ভর্তা পেলাম না কোন বেলাতেই। কারণ হিসেবে প্রতিবারি ওয়েটার আমাদের দেরিতে আগমনের কথা জানালেন। খাওয়া শেষে বাসায় গিয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয়ার পর নিয়েল হিমুর আগমন ঘটে। সন্ধ্যার ঠিক আগে মামুন ভাই অফিস শেষ করে আমাদের সাথে যোগদেন। সিলেট হয়ে উঠলো একখণ্ড সামহোয়্যার ইন ব্লগ। মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় পরীক্ষার কারণে আমাদের কাছ থেকে বিদায় নেন। তিনি যদিও বারবার চাচ্ছিলেন পরীক্ষাটি তিনি মিস করবেন কিন্তু আমাদের সাথে এই ঘুরাঘুরির আনন্দ মিস করবেন না । কিন্তু জীবন বলে একটা কথা থাকার কারণে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়কে প্যাবিলিয়নে মানে বাসায় ফিরে পড়ালেখায় মনোনিবেশ করতে হল । সন্ধ্যায় আমারা এমসি কলেজের মাঠে ও শাহী ঈদগা মাঠে ভরপুর আড্ডা দিলাম। রাতে মামুন ভাইর বাসায় চমৎকার বৈশাখী খাওয়ার খেলাম। মামুন ভাই আমাদেরকে সকাল ৯টার ভিতর তৈরি হয়ে থাকতে বললেন জাফলং যাওয়ার জন্য। রাত বারটায় আমরা আমাদের থাকার জায়গায় ফিরলাম । একরাত একদিনের ভ্রমণে শরীর কিছুটা বিশ্রাম চাচ্ছিলো। কিন্তু বিপত্তি বাঁধালো আমাদের গোলাপ ভাই(আমিনুর রহমান)। উনি তাসের পেটি হাতে নিয়ে খেলার জন্য বসে পড়লেন। এই লোক বয়সটাকে বোধয় ষোল বছরেই আটকিয়ে রেখেছেন। তা না হলে এত এনার্জি পায় কোথায়? রাতের তিনটা পর্যন্ত তাস খেলে সবাই শুয়ে পড়লাম।
সকাল নয়টায় মামুন ভাই গাড়ি নিয়ে বাসার নিচে এসে উপস্থিত হলেন। ইতিমধ্যে আমাদের কাণ্ডারি অথর্ব ভাই সপরিবারে সিলেটে পৌঁছে গেছেন। তিনি মামুন ভাইর বাসায় ফ্রেস হয়ে আমাদের জন্য মাইক্রোতে অপেক্ষা করছিলেন। আমারা সবাই তৈরি হয়ে মাইক্রোতে করে জাফলং এর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। মামুন ভাইর বিশ্বস্ত ড্রাইভার কালা মিয়া পথের মধ্যেই কিছু দর্শনীয় জায়গা দেখাবেন বলে জানান দেন। ভ্রমণ বলে কথা! জাফলং যাওয়ার পথে বোনাস কিছু দেখতে পেলে সমস্যা কোথায়। তাই আমরা রাজি হয়ে গেলাম।
হরিপুর গ্যাস পুকুর। পুকুরের মধ্যে নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস উঠছে।
একটু সামনে গেলে দেখতে পাবেন পাহাড় থেকে গ্যাস উঠছে।
হাজার বছরের পুরানো রানি ইলাবতির ঘর। ইলাবতি জৈন্তার রানি ছিলেন। ঘরটির সঠিক কোন ইতিহাস জানিনা।
১২টায় আমরা জাফলং গিয়ে পৌঁছালাম। মামুন ভাইর দারুণ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে কম টাকায় একটি বোট ঠিক করে ফেলেন ডাওকীর উদ্দেশ্যে। কাভা ভাই বোটে উঠার সময় ধপাস করে পানিতে পড়ে যায় । তাই বাদ্ধ হয়ে বোট মাঝি আবারো পিছনে এসে তাকে তুলে নিতে হয় । চমৎকার পাথুরে নদী পিয়াইন। শীতল জ্বলের স্রোত বয়ে যায়। এই গরমে শরীরের প্রশান্তির জন্য এর চেয়ে ভালো পানি আর হতে পারেনা। তবে সবচাইতে কষ্টের বিষয় বাংলাদেশের পাশের নদীর সকল পাথর নাই হয়ে গেছে। কারণটা আপনারা সবাই জানেন আমাদের অভ্যাস এর জন্য দায়ি। সবাই ইচ্ছেমত সাতার কাটলাম আর গলাপানিতে বসে থাকলাম। সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে আমাদের কাণ্ডারি অথর্ব ভাই সাতার না জানায় তিনি হাঁটু পানিতে একটি পাথরের উপরে বসে আমাদের সাতার দেখে নিজের তৃপ্তি মিটিয়েছেন । জাফলং কে নোয়াখালীর বর্ষাকালীন রাজধানী ঘোষণা ও কুমিল্লা বোর্ডকে কুমিল্লার মানুষের জন্য নোয়াখাইল্লা হওয়ার জন্য কেন দেয়া হয়েছে এ বলে স্বপ্নবাজ অভিকে দেয়া পেরা দেয়ার সে গল্প অন্য কোনদিন করবো।
পথুরে নদী পিয়াইন।
ডাওকী ব্রিজ।
পাহাড়ের মধ্যে পাথরের টিলা।
এখান দিয়ে ভাদারা প্রবেশ করুণ
চমৎকার জাফলং ভ্রমেনের পর সন্ধায় আমরা সিলেট পৌঁছালাম। সন্ধ্যায় সিলেট স্টেডিয়াম গিয়ে বসে থাকলাম। রাতে আমাদের সাথে যোগ দেন ব্লগার জনৈক গন্ডমূর্খ। রাতের খাওায়ারের পর আমরা তাস খেলতে বসে গেলাম। সকালে লালাখাল যাওয়ার কথা থাকায় আমি আর কুনোব্যাঙ তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লাম সকলের কাছে বিদায় নিয়ে । কারণ আমিনুর রহমান, কাল্পনিক ভালোবাসা ও স্বপ্নবাজ অভি বিশেষ কাজ থাকায় সকাল পাঁচটার গাড়িতে ঢাকা ফিরে যাবে ।
সিলেট স্টেডিয়াম।
পাখির চোখে সিলেট শহর। স্টেডিয়ামের পাশের পাহাড় থেকে তোলা।
সকাল নয়টায় কাণ্ডারি অথর্ব ভাইয়ের ফোন পেয়ে ঘুম থেকে উঠলাম। তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে শাহী ঈদগার সামনে দাঁড়াতেই কাণ্ডারি ভাই সপরিবারে উপস্থিত হলেন। লালাখাল যাওয়ার জন্য রওনা হওয়ার আগে আমারা হযরত শাহজালালের ও হযরত শাহ পরানের দর্গাশরীফ ঘুরলাম। হযরত শাহ পরানের দর্গার গেইট থেকে লালাখালে যাওয়া আসার জন্য একটি সিএনজি ঠিক করে ফেললাম।
পথে সাত রঙের চা খেলাম। সিলেট আসলাম সাত রঙের চা খাবনা তা কি করে হয়।সিলেট গেলে আপনারা এই চা খাওয়া মিস করবেন না। না খাইলেও পস্তাবেন খাইলেও পস্তাবেন।
লালাখাল গিয়ে প্রথমে কন্টাকে একটা বোট ঠিক করে ফেললাম। চমৎকার ক্লাসিক একটি জায়গা।
জুন আপুর নির্দেশিত জায়গা।
লালাখালে নামার পথ।
যাত্রীদের জন্য অপেক্ষেয়মান বোট।
আমাদের বোট ছুটে চলেছে।
মনোমুগ্ধকর এক জায়গা।
জিরো পয়েন্ট থেকে বাংলাদেশের দিকে তোলা।
জিরো পয়েন্ট থেকে ভারতের দিকে তোলা।
ভিজবনা বলে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। কিন্তু পানির রঙ দেখে লোভ সামলাতে পারলাম না। আমি গামছা আর কাণ্ডারি ভাই ভাবির উড়না পরে পানিতে ঝাপ দিলাম । পানিতে নামার পর লালা খাল জিরো পয়েন্টের ওপার ভারত থেকে একটা ঝড়ের কবলেও পড়লাম। কিছু কটেজ ভাড়া পাওয়া যায়। ইচ্ছে আছে ভবিষ্যতে প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরে আসবো। লালখাল ঘুরার মাধ্যমে আমাদের সিলেট ভ্রমণের সমাপ্তি হল। সন্ধ্যায় ব্লগার এম হুসাইনের সাথে স্টেডিয়ামের সামনে কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম। রাতে মামুন রশিদ ভাই ও তার পরিবারের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে গাড়িতে উঠলাম।