১/
বই-এর পৃষ্ঠার চেয়ে যে ছেলের দিগন্তকে পড়তে বেশি ভাল লাগে
স্কুলের গণ্ডি পেরুনোর আগেই তার
চোখের মধ্যে তৈরী হয় আরো একটি চোখ
চোখ বন্ধ করেই সে তখন দেখতে পায় আকাশ, নদী,ফুল, পাহাড়...
অথচ তিনটা স্কুল পরিবর্তন করার পরও আমার ছেলে
একটাও মাঠ পায় না
প্রতিদিন বাড়ি ফিরে কানা গলির চিপা দিয়ে
ও এখন যন্ত্রমানব তৈরী হওয়ার প্রক্রিয়ায় আছে
ইটে, পাথরে, টিভি, কম্পুটার, মোবাইলে...
২//
যে খালের পাড়ে দাঁড়িয়ে একদিন দিগন্তকে ছুঁয়ে দিতো আকাশ
তা এখন জলপরী স্বপ্নের ঠিকানা
সুলভ মূল্যে অথবা কিস্তিতে বিক্রি হয় স্বপ্ন
মাঠ, দিগন্ত এবং আকাশ দিয়ে আমরা এখন স্বপ্ন কিনি...
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৩