ব্যাপক নিরাপত্তা এবং দেশ ডিজিটালের লক্ষ্যে বায়োমেট্রিক সিম রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি চালু করা হলেও রেজিস্ট্রেশনের পরে বাংলালিংক এবং টেলিটক সিমের পারসোনাল ডাটাবেইস হ্যাক করেছে বাংলাদেশ ব্লাক হ্যাট হেকার্স টিম।তবে বাংলালিংক কতৃপক্ষ জানান ডাটাবেইস ফাঁস হয়ার বিষয় গুজব ব্যতিত আর কিছুইনা।
.
ব্লাক হ্যাট হ্যাকার্স টিম জানায় তাদের কাজ যেহেতু বাংলাদেশ নিরাপত্তা নিয়েই আর যেখানে শত শত মানুষ বায়োমেট্রিক করেছে এবং আরো বহু মানুষ বায়োমেট্রিক করবে সেহেতু এত মানুষের পারসোনাল ডাটাবেইসের একটা নিরাপত্তা থাকা দরকার ছিল।আরো বলে সেই নিরাপত্তা খুঁজার লক্ষেই তারা কাজ করে এবং পরে সেখানে প্রথম দিকেই বিশাল বড় ভুল খুঁজে পায় যার দ্বারা তারা অতি সহজেই সাইট নিজের কবলে করে নিয়ে তথ্য পায়।এবং বিদেশীরাও বা যে কেউ চালাক হলে সেই তথ্য নিয়ে যেকোন সাধারন মানুষের ক্ষতি করা সম্ভব।
.
দেশের জনগনের স্বার্থেই তারা ডাটাবেইস ফাঁস করেনি।তাছাড়া প্রমান স্বরুপ কিছু প্রমান তারা নিজেদের পেইজে দিয়েছে।যাতে করে যাবতীয় ভুল পাওয়া সম্ভব হয়।এবং তারা সংশোধন করার জন্য অল্প কিছু সাধারন প্রমান পেশ করে।
.
বায়োমেট্রিকে অধিক নিরাপত্তার নিশ্চিতের দায়িত্বে টিম লিডার ছিলেন বিবিএইচএইচ এর মর্ডারেটর "হোয়াইট ড্রাগন"। প্রথমে জানা যায় তারা নিরাপত্তা দেয়ার জন্য সর্বদা প্রস্তুত।
.
এসব ব্যাপারে জানতে বাংলালিংক এর চিফ কমার্শিয়াল অফিসার হিসেবে থাকা শিহাব আহমেদের নাম্বারে কন্টাক্ট করার চেস্টা করা হলে তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।এবং বাংলালিংকের কমিউনিকেশন এসিট্যান্ট এর কাছে জানতে চাওয়ার জন্য ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।এবং এমএসএস দিলে তার রিপ্লাই ও পাওয়া যায়নি।তাদের হেড অফ পিআর পার্থ সরকার জানান ব্যাপারটা গুজব ছাড়া আর কিছুই নয়।
.
এরপরে টেলিটক কম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গিয়াস উদ্দিন এবং মোবাইল অপারেটরের সংগঠন এসোসিয়েশন অফ মোবাইল টেলিকম অপারেটস অফ বাংলাদেশ ( এমটব) এর মহাসচিব নুরুল কবিরের সাথে যোগাযোগের চেস্টা করলে তার ফোন ধরলেও মিটিং আছে বলে জানান।বিআরটিসি সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোহাম্মাদ জাকির হোসেনের সাথে এবিষয়ে কথা বললে তিনি ব্যাপারটা খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।এবং আরো বলেন নিয়মের বাইরে কিছু ঘটলে সংশ্লিষ্টদের প্রতি কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
.
তবে কি সত্যিই আমাদের সব তথ্য বিদেশী নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে? বাংলাদেশ ব্লাক হ্যাট হ্যাকাররা আমাদের করা বায়োমেট্রিক তথ্য খুঁজে পেয়েছে এবং প্রমান করেছে কিছু স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে।ব্যাপারটা মেনে না নিলেও এটাই যদি হয় তাহলে ১৬ কোটি মানুষের দেশে অপরাধ কোন একজন করলে শাস্তি অন্য কেউ পাবে এমনটাও সম্ভব।কেননা কিছুদিন আগে বলা হয়েছে তনুর হত্যাকান্ডে তনুর শরীরে তিনজনের আঙ্গুলের ছাপ পাওয়া গেছে তাহলে সেটা যে সত্যিই যারা করেছে তাদের হবে কিনা তার কি নিশ্চয়তা? অধিক নিরাপত্তা বা দেশ ডিজিটাল করার জন্য যদি বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন করে পরে হতাশার সম্মুখীন হতে হয় তার দায় কে নিবে?
.
বিভিন্ন সিম কোম্পানি বিভিন্ন অফার দিচ্ছে সিম বায়োমেট্রিক করার ক্ষেত্রে।ইতোমধ্যে রবি ৩ জিবি ইন্টারনেটসহ আরো লক্ষ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষনা দিয়েছে বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন কারীদের জন্য। তাছাড়া বিভিন্ন সিমে ডাটা অফার তো আছেই।
.
আমি বুঝতে পারছিনা এখানে তাদের কি লাভ? নাকি উপরের কর্মকতারা প্রেসার দিয়েছেন? তবুও আমরা যদি সেই ঝুঁকির সম্মুখীন হই তবে তার দায়টাই বা কার! প্রশ্ন একটাই।সিম রেজিস্ট্রেশন না করেও আমরা হতাশার সম্মুখীন হয়েছি অনেক।আর এখন যদি দেশ ডিজিটাল করার ক্ষেত্রে আমাদের আরো বড় হতাশার সম্মুখীন হতে হয় তবে তো সেই ডিজিটাল না হয়াই আমাদের সাধারন জনগনের জন্য ভালো!!!! নয়ত কেউ ঢাকায় খুন হলে আর ঢাকার কেউই তাকে খুন করলে বায়োমেট্রিক অনুসারে পুলিশ বা সিআইডি যেই হোক এসে ধরবে নিরীহ খুলনার এক রিকশাওয়ালাকে!
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০১৬ রাত ১০:২৩