একটা মানুষ বুঝদার হয়ার পর থেকেই সে রাস্তায় বেরুতে পারে চলতে পারে।কিন্তু স্বাধীনতা সহীত নয়।বর্তমানে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ।পদ্মা সেতু হবে,২০২১ এ দেশ ডিজিটাল হবে। চলছে বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন। সব দিক থেকেই ডিজিটাল হয়েই যাচ্ছি দিন দিন।শুধু আমাদের সমস্যা অল্প কিছু জায়গায়।প্রথমত দেশে ধর্ষকদের প্রশ্রয় হচ্ছে,তারা আরো ধর্ষন করবে।শারীরিক চাহিদা মেটাতে নস্ট করবে ,অন্য কারো বোনের,অন্য কারো মেয়ের জীবন।যাক তাও ভাল মানুষগুলো শান্তি পাচ্ছে খুব।শারীরিক সুখটা একটা মানুষের জীবনে খুব সুখের।তাই সেই সুখের অনুভব আমরা বুঝি বলেই দেশে ধর্ষকদের বিচার হয়না।শারীরিক জ্বালা মেটানো তো আর অন্যায়ের মধ্যে পরেনা।সেটা ভাল কাজ।পবিত্র কাজ।
.
আমরা আসলেই ডিজিটাল দেশে বসবাস করছি।৮০০ কোটি টাকা খুঁজে পেলাম না।চলে গেছে কারো হাতে।আমাদের অর্থনীতিতে সমস্যা হবে না এই টাকার কারনে।শুনলাম এমনটাই।প্রত্যেকটা মানুষ,কামলাদের শ্রমের টাকা চলে যায় ব্যাংকে আর ব্যাংক থেকে চলে যায় অন্য দেশে, অন্য হাতে,বা নিজের দেশেরই ভিন্ন কিছু হাতে।হদিস পাইনি,নিজেদের শ্রমে অর্জিত টাকার। দরকার নেই সেইটার হদিস পাওয়ার।কারন আমরা ডিজিটাল হচ্ছি। টাকা কোন ফ্যাক্ট না।
.
শ্রমিকেরা মে ডে পালন করতেছে অথচ ব্যাপারটা হলো নেই সেই স্বাধীনতাটুকু।টাকা, শ্রম,শ্রমের অর্জিত অর্থ কিছুও ঠিক নেই।মে ডে পালনের আগেই তাদের টাকা গায়েব হয়ে গেছে।
.
৮০০ কোটি টাকা গায়েব হলো সমস্যা নাই।অর্থনীতিতে প্রভাব পরবে না বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আমাদের দেশে বহু মানুষ এখনো গরীব অথচ আমরা উন্নয়নশীল।অনেক পথশিশু দেখা যায় পথে ঘাটে।বুঝলাম আমাদের ৮০০ কোটি টাকা অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে না, কিন্তু ওই ৮০০ কোটি টাকা উদ্ধার করে যদি পথশিশুদের পাশে দাঁড়ানো হতো তারা শিক্ষিত হবার এবং দেশের উন্নয়নে পাশে থাকার একটা সুযোগ পেতো।আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ। সেই ভবিষ্যৎ না গড়তে পারলে ডিজিটাল বাংলাদেশ মিশন সম্ভব হবেনা কখনোই।শিক্ষার আলো জ্বালতে হবে।আর সেই ৮০০ কোটি টাকা গায়েবের ফলে যদি একটা শিশুও শিক্ষিত হয়া থেকে বাকি থাকে,একটা গরীব মানুষ থাকে তাহলে সেই শিশুটা আর বাদাম বিক্রি করা মানুষটাই ২০২১ এ প্রমান করবে ডিজিটাল হতে এখনো অনেক দেরি।মানুষ ডিজিটাল হলেই তো দেশ ডিজিটাল হবে।ইট, পাথর, বালু টানা পথশিশুদের পায়ের চিহ্ন যে দেশে থাকে সে দেশ আর যাই হোক, কোন ডিজিটাল দেশ হতে পারেনা।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০১৬ রাত ১০:১২