সন্ধ্যায় লোডশেডিং !
ল্যাপটপের দিকে হাত বাড়াতেই তাতিয়ে উঠলো ডেক্সটপ- খবরদার, খবরদার বলছি, তুমি ওই জাপানি মেকআপ বক্স মার্কা ছুকড়িকে একদম স্পর্শ করবে না !
আমি নিরীহ গলায় বললাম, কী করবো? কারেন্ট নেই তো…
-কারেন্ট নেই তো কী হয়েছে? ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করো…
-একটা জরুরি কাজ ছিলো….
-তোমার জরুরি কাজ কী আমি বুঝি না? আগে যখন কারেন্ট যেতো তখন তুমি আমার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে অপেক্ষা করতে না? এখন সেটা পারো না কেন? সারাক্ষণ সাজুগুজু করে থাকা ওই জাপানি ছুকড়ি কী জাদু করেছে তোমাকে?
আমি দুর্বল গলায় বললাম, ও তো লিথিয়াম ব্যাটারিতে চলে…
কথা কেড়ে নিয়ে ঝামটা দিলো ডেক্সপি-
কিসের আম-জাম-লিথিয়াম? আমি বুঝি না কী হয়েছে? আগে যখন তোমার পাশে কেউ ছিলো না- তখন তো আমাকে নিয়েই পড়ে থাকতে ! আমার সারা শরীর গরমে জ্বালাপোড়া করতো, তবুও কী দিনরাত সার্ভিস দেই নাই? মানুষেরও তো ঘুমাতে হয়, বিশ্রাম নিতে হয় । এখন বিদ্যুতের অভাবে একটু সময় আমি অসহায় বলে তুমি আরেকজনের কাছে যাবে? ক’টা টাকা হয়েছে বলে বলা নেই কওয়া নেই- একটা জাপানি ছুকড়িকে ঘরে নিয়ে আসতে লজ্জা করলো না তোমার…
এসময় জাপানি সুন্দরী আমার পক্ষ নিয়ে বলল, থাক না দিদি… তোমার তো বয়স হয়েছে ! একা একা সব কাজ করতে কষ্ট হয় না বুঝি? তোমার ওপর যেন খুব বেশি প্রেশার না পড়ে সেজন্যই তো ও আমাকে এনেছে….
মুখে ঝামটা তুলে ডেক্সপি বলল, ওরে নাক চ্যাপ্টা জাপানি ছুকড়ি,
ওর কোলে বসে তোর আর বেশিদিন নাকি নাকি কথার সুর তুলতে হবে না ! ওকে আমি হাড়ে হাড়ে চিনি….
রাতের পর রাত ও আমার চোখে চোখ রেখে তাকিয়ে ছিলো…আর হাত যে কোথায় ছিলো সে আর নাইবা বললাম…
আমার কপাল পুড়িয়ে এই সুখ তোর সইবে না ! ওর চোখে আমি ইদানিং আমি অন্যকিছুর ছায়া দেখতে পাই !
দু’দিন বাদে ও তোকে ফেলে একটা কচি চাইনিজ ট্যাবকে ঘরে তুলবে !
এই তোকে বলে রাখলুম ! ঠিক ঠিক মিলিয়ে নিস !