শাসক মহাত্রাস!
শুধু আমিই থাকবো, আমি!
এই শোনো মোর বাণী!
আর কেউ যদি দেশে মাথা তোলে,
অথবা অন্য কোনো মত-এ চলে,
জেনে রাখো ---
তার ঘুচে যাবে বসবাস!
আমি শাসক মহাত্রাস!
আম-জনতার দরবারে গিয়ে,
হাত জোড় ক’রে, নাকে খত দিয়ে,
হয় সোজা পথে, নয় পেশি দেখিয়ে,
অথবা কুহক-মায়াজাল দিয়ে,
ভোট কে করেছি দাস!
আমি শাসক মহাত্রাস!
সেই মানুষেরই জীবন পুড়িয়ে,
“উন্নয়ন”-এর ফানুস উড়িয়ে,
গ্যাস-বন্দর বিদেশীদেরদিয়ে দেখো---
নারকীয় উল্লাস!
আমি শাসক মহাত্রাস!
আমার অবাধ্য যত নর নারী,
তাদের ঠেঙিয়ে জমিজমা কাড়ি,
পড়িয়েছি আমি শিশুদেরও পায়ে
মামলার নাগপাশ!
আমি শাসক মহাত্রাস!
শুধু আমিই থাকবো, আমি!
শোনো অন্তর্যামী!
এতকাল আমি বিরোধীরে মেরে,
তাদের রক্তে জয়স্নান সেরে,
চির-বিজয়ীর ভূষণে তেড়ে
মাতিয়েছি লালাকাশ!
আমি শাসক মহাত্রাস!
এখন, যত “সহ-শাসক”!
চাই না, তারা উদ্ধত হোক!
হোক না তারা শরিক মোদের,
ঝরাই রক্ত নিমেষে তাদেরও,
নাহি ক’রে হাহুতাস!
আমি শাসক মহাত্রাস!
আমার পুলিশে, বেশিটাই আজ
আমাতেই মশগুল!
তাদের ট্রিগারে আঙ্গুল!
সুস্বাদু-প্রজা-রক্ত ঝরাতে
তারা যে শার্দুল!
পায়ের বদলে মাথায় নিশানা
দাগে সদা, নির্ভুল!
তিরিশ বছরে দেওয়া-নেওয়া ফলে
করেছি দলদাস!
আমি শাসক মহাত্রাস!
নষ্ট কবি যতই করুক
কুত্সা, পরিহাস!
আমি দিচ্ছি এ আশ্বাস!
আমার রাজ্যে যদি কেউ ভুলে,
যদি কোনো দিন কেউ মাথা তোলে,
জেনে রাখো তার জ্বালাবো হাড়মাস!
”লাইফ হেল” করে তার পরিনতি---
অখণ্ড নরক-বাস!
আমি শাসক মহাত্রাস!