হে নারী! বাঙ্গালী পুরুষকে খানিকটা পৌরুষ ধার দাও
হে বাঙ্গালী!
তোমার তুলনা হয়না!
তুমি না খেতে পেয়ে মরলে সরকার যখন বলে---
যে তুমি অনাহারে নয় অখাদ্য খেয়েই মরেছ!
তা শুনেই তোমার আত্মার মুক্তি হয়!
তোমার স্ত্রী, তোমার সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে
যখন হাস্পাতালের বেড না পেয়ে মাটিতে শুয়ে থাকে!
স্বাস্থ্ব্য মন্ত্রনালয়ের মহিলা আমলা তখন বলে---
মাত্র তো দু এক দিনের ব্যাপার! তেমন কোনো প্রবলেম তো হবার কথা নয়!
শুনে তোমার মন গভীর প্রশান্তিতে ভরে ওঠে!
হাস্পাতালে তোমাদের শিশুরা যখন মুরগীর মড়কের মত মরতে থাকে!
ডাক্তার মন্ত্রীর পরিসংখানে ব্যাপারটা নর্মাল---
শুনেই তুমি আশ্বস্ত হও!
প্রকাশ্য দিবালোকে মহিলার কাপড় টেনে ছিঁড়লেও,
যখন প্রশাসন বলেন---
এরকম তো কতই হয়!
তোমার বিক্ষুব্ধ মন শান্ত হয়ে যায়!
সারা মাস কাজ করে মাস শেষে মাইনে না দিয়ে কারখানা বন্ধ হলে
শ্রমিকরা দাবী জানালে তাদের মরতে হয় বুলেট খেয়ে...
শ্রমিক আর মালিকের সু-সম্পর্ক দেখাতে স্টেডিয়ামে আয়োজিত হয় কনসার্ট!
'শান্তিতে থাকার' জন্য বিপুল বহুমতে তাদেরই ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনো!
উন্নয়নের নামে ফুলবাড়ীর আবালবৃদ্ধবনিতাকে নির্মম প্রহার করে
তাদের জমি জোর করে কেড়ে নেবার চলন্ত ছবি দেখেও---
সংস্কৃতিবাণ প্রধানমন্ত্রী প্রশংসায় পঞ্চমুখ হও!
বিস্মিত এই নষ্ট কবির প্রশ্ন---
যারা এই পোড়া দেশে প্রতিবাদ করতে পথে নেমেছে
তাঁদের মধ্যে এত নারী কেন?
রাজ-কল্কের দমে বুঁদ সেই সংস্কৃতির ধামাধরা পুরুষরা কোথায়?
ওহো! তাঁরা তো সব সংস্কৃতিতে মশগুল!
তাঁদেরও গর্জে উঠতে দেখা যায়---
বিদেশে বা কোনো দূর প্রান্তে যখন অন্যায় করা হয়!
কিন্তু, এখন তাঁরা ব্যস্ত মেলার মেলায় ---
অগত্য নারীদেরই এগিয়ে এসে সবার লাজ রক্ষা করতে হচ্ছে!
জানিনা এত পৌরুষ এই নারীরা পেলেন কোথায়?
হে নারী!
এই ক্লীব, মানবেতর, বাঙ্গালী পুরুষকে খানিকটা পৌরুষ ধার দাও!