=> ডিসকো বান্দরঃ ডিসকো চাচা সকালে ঘুম থেকেই উঠেই কোন দিকে না তাকিয়ে পিসি অন করে দিলো। বউকে ডেকে গান ছেড়ে দিয়ে সে কি নাচ " আমার পান্জাবীটা জোস তোমার 'শীলা কি জাওয়ানী' ও সুন্দর, তাই সাত সকালে হলাম আমরা ডিসকো বান্দর।" ডিসকো চাচা মাঝে মাঝে বেশী জোস পেয়ে "ডিসকোওওওওওও" বলে ফাল পাড়তে লাগলো। কিন্তু ফাল পাড়া দীর্ঘস্থায়ী হইলো না, কারন ডিসকো চাচা ভুইলা গেছিল যে ডিস্কো চাচীর ড্রেস শীলা কি জাওয়ানী না, ওইটা ছিল মুন্নি বদনাম হূয়ী! তাই চাচীর চোখ রাঙ্গানিগানি খাইয়া চুপসাইয়া গেসিল, পরে অবশ্য ডিস্কো চাচা তার অভিনব কায়দায় চাচীরে আদর কইরা রক্ষা পাইছে!


=> জিকসেসঃ ভাই সকালে ঘুম থেকে উঠার পরে মনে হলো আরে মেসিরা তো কলকাতায় চলে এসেছে। কয়দিন পরতো ঢাকায় আসবে। কিসের ঈদ? খেলা দেখতে হবে নাহলে সামুতে পোষ্ট নাজিল করবো কেমনে? আর তাই ঈদে কেনা ঢিন্কা চিকা পান্জাবীটা পরে আয়নার সামনে ট্রায়াল দেয়া শুরু করলো। যদিও পাঞ্জাবি তার দেহের তুলনায় খানিকটা ছোট হইছিলো, তাও ঈদের খুশিতে মুখ দিয়ে বিচিত্র একটা শব্দ করতে লাগলো।


অনেকটা এমন:
"ঢিন্কা চিকা ইয়াহহহহহহহহ"


=> জাহাজী পোলাঃ সকালে ঘুম থেকে উঠেই জাহাজী মাইয়াকে ফোন দিয়ে শুরু করলো:
‘’দেশে আইছি তো হইছে কি?
জাহাজ নাই পালতোলা নৌকা উড়াইছি
কাছে আসো ওগো সুন্দরী!
এই মন তোমারে সুধায়
উঠবা নি আমার এই নৌকায়
বলনাআআআআআআআআআআ’’ :!> :#>
=> হাসান মাহবুবঃ সারারাত ঘুমাতে না পেরে সকালের দিকে নতুন লেখায় মনোনিবেশ করলো। লেখা শুরু করলো এভাবে:
ঘুমাতে যাবো ভেবে যাইনি বিস্মৃতির অতল গহ্বরে। তন্তু ও বস্ত্রে লেগে গেলো গিট। অতঃপর গিট গিট গিট। অতঃপর গিট গিট গিট। এটুকু লিখে আপন মনে বলতে লাগলো নাহ মন্দ হয় নাই! লেখার গিট গুলা স্বযতনে চেক কইরা মিজের পিঠ থুক্কু বুক চাপড়াইয়া কইলো, পোলাপাইনের মাথার ৩ কি.মি. উপ্রে দিয়া যাইবো।


=> রাজসোহানঃ সেই ভোর ৬ টায় ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে যে ঢুকছে বের হবার নাম নেই। ঘন্টা খানেক পর মুচকি মুচকি হাসতে হাসতে বের হতে না হতেই বন্ধুর ফোন।
বন্ধু-- দোস্ত নামাজ পরে টি.এস.সি চলে আয়।
রাজসোহান-- সে হেঁটেছে সারারাত আমার নিঝুম স্বপ্নপথে। ডুন ডিস্টাপ।
বন্ধু-- মানে কি?
রাজসোহান-- প্যাক প্যাক প্যাক।
বন্ধু-- কাহিনী কি?
রাজসোহান-- প্যাক প্যাক প্যাক বলতে বলতে মোবাইল বন্ধ করে দিলো।


=> জিসান শা ইকরামঃ সকালে নামাজ পড়ে বাসায় আসার সময় একদল যুবক উনাকে রাস্তায় ঘিরে ধরলো। তাদেরকে বিদায় করে নিজের উপর ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে বলতে লাগলেন, পোলাপাইন চাচ্চু মাম্মা কইয়া এমন বাঁশ মারছে সেটা নাইবা বললাম। কোন কুলক্ষনে যে এত ভাগিনা ভাতিজা বানাইতে গেলাম?


=> আসিফ মহিউদ্দীনঃ সকালে ঘুম থেকে উঠে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে পান্জাবীটা পড়ে বের হতে হতে নিজ মনে বলতে লাগলো, ধর্মে বিশ্বাসী নই বলে যে ঈদ পালন করবো না এমনটি নয়। ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। এটা ভাবতে ভাবতে রাস্তায় বন্ধুর সাথে দেখা, আসো বন্ধু কোলাকুলি করি।


=> রিয়েল ডেমোনঃ গতকাল ফেইসবুকে ঈদের সালামী আদায়ের জন্য বড় ভাই বোনগুলারে ট্যাগ করে কত আকুতি মিনতি কিন্তু সবাই শিং মাছের মত পিছলাইয়া গেলো। বেচারা প্রবাসে আছে বলে ছাই দিয়া ধরতে পারে নাই আফসুস। এই দুঃখে সারারাত চিন্তা কইরা সকালে ফেবুতে ঘোষনা কইরা দিলো, "ঈদের সালামী আদায়ে ব্যর্থ হওয়ায় আগামী দশবছর দেশে ফিরবোনা বলে ঠিক করেছি। সময় সীমা পরিবর্তনও হতে পারে সেটা নির্ভর করবে নেক্সট ছ্যাকা খাওয়ার উপ্রে।


=> আহমেদ আরিফঃ সকালে ঘুম থেকে হঠাৎ হারিয়ে গেলো, গুপুন সুত্রে খবর পাওয়া গেলো জানারে নিয়া কমেন্ট চালাচালি করতে গিয়া ব্যান খাওয়া এই নারী বিদ্বেষী নাকি সম্প্রতি বিয়া কইরা ঈদের দিন বিকালে চন্দ্রিমার লেকে বইসা বইসা বউ রে বাদাম ছিলা খাওয়াইছে!! আর মনের সুখে গান গাইছে ‘’যদি বউ সাজ গো, বড় সুন্দর লাগছে গো!!’’ :!> :#>
=> সবাকঃ সকালে ঘুম থেকে উঠে সামুতে লগইন করে একটা পোষ্ট পড়া শুরু করলো। ঈদের দিন বলে আধ্যাত্তিক কমেন্ট না করে খুব নরম্যাল একটা কমেন্ট করায় যার পোষ্ট সে একটু যেনো সুযোগ পেয়েছে ভেবে একটু খোঁচা মারলো। এর পর পরই সবাই ভাইয়ের কমেন্ট:
তুই টুট টুট টুট। তোর টুট টুট টুট। ঈদের দিন বইলা মুখ খারাপ করলাম না। ভদ্র ভাষায় বুঝাইয়া বললাম।


=> শশী হিমুঃ গোপন সূত্রে খবর পাইছিলাম হিমু ভাই নাকি এইবার ঈদে দাবাং আন্ডারও্যার কিনছে। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই আন্ডু পরে আয়নার সামনে গিয়ে নাচা শুরু করলো "হুর দাবাং দাবাং''। আন্ডুর ট্রায়াল দিতে দিতে বিকাল হয়ে যাবার পর তার হুঁশ হলো বাহিরে যেতে হবে তখন কোন রকমে জামাকাপড় পরে মারজানী মারজানী গামছাটা গলায় পেঁচিয়ে বাহিরের উদ্দেশ্যে হাঁটা দিলো।


=> নোমান নমিঃ চাঁদ রাইতে চুরি চামারি কইরা বেচারা সারাদিন মরার মত ঘুমাইছে তেমন বিশেষ কিছু বলার নাই। কি আর করবে বলেন, বেচারারে বেকুব পাইয়া ইয়া লম্বা লম্বা গাছে উঠাইছে, বেচারা চুরির মাল শান্তিতে খাইতেও পারে নাই। মনে বেরাট আপ্সুস লইয়া ঘুমাইছে!


=> নীরব 009: ফেইসবুকে "লুল দ্যা গ্রেট", "লুলধিপতি", "লুলগুরু" উপাধি পাবার পর থেকে কেমন যেনো এক রহস্যময় চরিত্র হয়ে গেছে। উনাকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। যতদূর জানা গেছে উনি নাকি রহস্যময়য় কোন এক ডিব্বার ভিতরে ঢুইকা বইসা দিন কাটায়!! আপনার ব্যাপারটা আপনি নিজেই খোলাসা কইরা বলেন।


=> ত্রিনিত্রিঃ খাদ্য বিশারদ ত্রিনিত্রি সকালেই ঘুম থেকে উঠে আগে রান্না ঘরে উঁকি মেরে দেখেন কি কি রান্না হইলো, তারপর মনে মনে একটা রুটিন ঠিক করলেন কোন বেলা কি খাবেন! এক পিরিচ সেমাইয়ের কথা বলে কয়েক পিরিচ সেমাই আর পায়েস খেয়ে বাইরে বেরিয়ে পড়লেন! বাইরে গিয়েও স্থির নাই, মনে মনে ভাবতে লাগলেন বাসায় গিয়ে সামুর জন্য পোস্ট কিভাবে লিখবেন!


=> তেরোঃ ভয়ঙ্কর তেরো নামে পরিচিত (ভূতের গল্প লিখেন বলে) এই ব্লগার সকালেই খানিকটা ফরমাল হবার চেষ্টা করলেন কিন্তু মোবাইলের নেটওয়ার্ক তাকে আর ফরমাল হইতে দিলনা!! কারন মবাইল নেটওয়ার্কের জ্যাম আর এইজন্য কাউকে মেসেজ দিলেও সেটা নেটওয়ার্কের কাঁটাতারে ঝুইলা গেলো! জ্যামের কারন উদ্ধার করতে গিয়ে তিনি "মোবাইল নেটওয়ার্কে ভূত" নামের এক পোস্ট লিখে ফেললেন!


=> রেজওয়ানাঃ সকালে রান্না বান্না করে সব খাবারের ছবি তুলে রাখলেন! গত রাতে সোহামনি যে পুডিং টা ভেঙ্গে ফেলেছিল সেটার ছবিও তুললেন!! সামুতে পোস্ট দিতে হবে না?!! খবর পাওয়া গেছে ৩০ টাকা সালামিও পেয়েছেন!!


=> চশমখোরঃ সারারাত মশার কামড়ে ঘুমাইতে না পেরে বসে ছিল বেচারা। তখন হঠাৎ করে পোষ্ট লেখার কথা মাথায় আসলো শেষমেষ লিখেই ফেলল। সকাল ১১.৩০ এ ঘর থেকে বের হয়ে সারাদিন দৌড়ের উপ্রে থেকে একটু আগে বাসায় ফিরলো। জেবনডা তেজপাতা হইয়া গেলো। সকালে পেইচবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিল ‘’ আজকের প্ল্যান হলো একটু পর বের হয়ে ছিনেমা হলে গিয়া ছাকিপ খানের ছিনেমা দেখা . . . পুরাই লুল . . .




## মেয়েদের নিয়ে আর বেশি কিছু লিখলাম না। এর কারন হলো তারা সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠার পর মেকআপ করতে করতে সকাল থেকে দুপুর, দুপুর থেকে বিকাল। বাকিটা বুইঝা লন। :-<

অ.টঃ এটা একটা আতলামি মার্কা ফানপোষ্ট। কোন রকম ক্যাচালের উদ্দেশ্যে এই পোষ্ট দেয়া হয়নি। এই পোষ্টে একটা মেসেজ বা ইঙ্গিত রয়েছে যদি বুঝতে পারেন তাহলে ভালো। আর না বুঝলে আরো ভালো।


পোষ্টটি সামুর যত ব্লগার আছে সবাইকে উৎসর্গ করলাম। সবাইকে ধন্যবাদ এবং ঈদ মুবারাক।


সর্বশেষ এডিট : ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৪৫