somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চবিতে কোরবানি হয়নি ফায়দা নিয়েছে শিবির !!! এখানেই কবি নিরব ;)

১৪ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঈদুল আজহা উপলক্ষে তিন দিন ধরে পোলাও-মাংসসহ বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা ছিল চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে। বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা ছিল এতিমখানাগুলোতে পর্যন্ত। কিন্তু বিশেষ কোনো ব্যবস্থা তো দূরে থাক এক টুকরো মাংসের ব্যবস্থা পর্যন্ত করা হয়নি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য।

পরীক্ষার কারণে চবির আবাসিক হল ও বেসরকারি ছাত্রাবাসের (কটেজ) প্রায় সহস্র শিক্ষার্থীকে এবার কোরবানির ঈদ উদযাপন করতে হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। দু'দশকের নিয়মের বাইরে গিয়ে এ বছর আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য কোরবানির মাংসের ব্যবস্থা করেনি চবি কর্তৃপক্ষ। এদিকে কর্তৃপক্ষের এ উদাসীনতাকে ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে ছাত্রশিবির। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি আবাসিক হলের জন্য তারা বরাদ্দ করে তিন লাখ টাকা মূল্যের ছয়টি গরু। বেশ ধুমধাম করে এ আয়োজনের সঙ্গে তারা ক্যাম্পাসজুড়ে চালিয়ে যায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডও।
জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গরু ও ছাগল জবাই করে কোরবানির ব্যবস্থা করলেও এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। কোরবানির দিন টোকেনের বিনিময়ে ছোট্ট এক টুকরো মুরগির মাংস ও সবজি দিয়ে শিক্ষার্থীদের রাতের খাবারের আয়োজন করে হল কর্তৃপক্ষ। আবার তাও জোটেনি অনেক শিক্ষার্থীর ভাগ্যে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খাবারের টোকেন সংগ্রহ করতে না পারায় তাদের থাকতে হয়েছে না খেয়ে। পেট ভরে খেতে পারেনি বেসরকারি ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীরাও। ঈদ উপলক্ষে বন্ধ ছিল ক্যাম্পাসের ব্যক্তিমালিকানাধীন সব দোকান, হোটেল ও ক্যান্টিন। আবার হল ডাইনিংয়েও খাবারের ব্যবস্থা ছিল না তাদের। তাই ঈদের দিন তাদের একপ্রকার উপোস থেকেই কাটাতে হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে তাদের মধ্যে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী একটি কটেজে থাকা শিক্ষার্থী রবিউল ক্ষোভ প্রকাশ করে সমকালকে বলেন, 'আমরা কটেজের শিক্ষার্থীরা কোথায় খাব এ মানবিক দিকটুকু বিবেচনা করেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমন আচরণ আমরা প্রশাসনের কাছ থেকে আশা করিনি।'

অন্য কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, 'ঈদে বাড়ি যেতে না পারা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বল্পসংখ্যক আবাসিক শিক্ষার্থীর জন্য প্রশাসন এক বেলা ভালো খাবারের ব্যবস্থা করতে না পারায় এর রাজনৈতিক সুবিধা নিয়েছে মৌলবাদী ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির, যা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জন্য লজ্জাজনক।'
তারা জানান, '১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী চবি একটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আইন অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ সব শিক্ষার্থীকে হলে সিট দিতে বাধ্য। সীমাবদ্ধতা থাকায় তারা সিট দিতে পারেনি। তাই বলে কি খাবারও বন্ধ করে দেবে? আমরা যারা কটেজে থাকি তারা অনাবাসিক শিক্ষার্থী, কিন্তু অবৈধ তো নই।'

এদিকে বরাদ্দ না থাকায় চবি কর্তৃপক্ষের একটি ছাগল পর্যন্ত কেনার সামর্থ্য নেই বলে উল্লেখ করেন প্রভোস্ট কমিটির আহ্বায়ক ড. মোঃ কলিম উদ্দিন ভূইঞা। তিনি সমকালকে বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে কোরবানি দেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি কর্তৃপক্ষ।'
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক হল প্রভোস্ট বলেন, 'প্রতিষ্ঠান কখনও কোরবানি করে না। কোরবানি করে ব্যক্তি। তা ছাড়া প্রতিটি হলেই ঈদে অবস্থান করে ১০-১৫ জন শিক্ষার্থী। তাদের আপ্যায়নের জন্য একটি ছাগলের প্রয়োজন হয় না।

গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে স্ব-স্ব হল কর্তৃপক্ষ অন্তত একটি করে ছাগল কোরবানি দিত। এবারই শুধু এর ব্যতিক্রম হয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে আলাওল হলের আবাসিক ছাত্র আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, 'কারাগারের কয়েদিদের চেয়েও প্রশাসনের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মূল্য কম। তাই আমাদের জন্য প্রশাসন ছোট্ট এক টুকরো মুরগি ও সবজি দিয়ে বিশেষ খাবারের আয়োজন করেছে। যে বিশেষ খাবার আমরা প্রতিদিনই খেয়ে থাকি।'
এদিকে চবি কর্তৃপক্ষ কোরবানি না করলেও ঈদের পরদিন শিবির ক্যাম্পাসে তিন লাখ টাকা মূল্যের ছয়টি গরু কোরবানি দেয়। চবি ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরুল হাসানের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ আয়োজন করে। ক্যাম্পাসে রান্না করার অনুমতি না পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী জোবরা গ্রামে তারা রান্নার আয়োজন করে। এরপর বেশ ঘটা করে দাওয়াত দেয় হলে থাকা আবাসিক শিক্ষার্থী ও কটেজের শিক্ষার্থীদের। চবি কর্তৃপক্ষের সামনেই রাতের বেলা প্রত্যেক হলের শিবির নিয়ন্ত্রিত কক্ষে সাধারণ শিক্ষার্থীদের এনে খাওয়ানো হয় পোলাও-মাংস। এরপর তারা শিবিরের বিভিন্ন প্রকাশনা তুলে দেয় শিক্ষার্থীদের হাতে। এসবের মাঝে অনুষ্ঠিত হয় দাওয়াতি সভাও। এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে চবি ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম সমকালকে বলেন, 'প্রতিবারের মতো এবারও আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা শিক্ষার্থী ও দুস্থদের জন্য কোরবানির আয়োজন করেছি। এতে আমাদের কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না।
ফরহান অভি, চবি


অনেকে এর সমালোচনা করলেও খাবার সময় কিন্তু তাদের কে আগে আগেই দেখা গেছে
সবাই কিন্তু মজা করে খাইছে গরু থেকে কিন্তু রাজাকার রাজাকার গন্ধ আসে নাই।;);)

একেবারে সমকালের খবর

চবিতে কোরবানি হয়নি ফায়দা নিয়েছে শিবির
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:২৫
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শীঘ্রই হাসিনার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৮


পেক্ষার প্রহর শেষ। আর দুই থেকে তিন মাস বাকি। বিশ্ব মানবতার কন্যা, বিশ্ব নেত্রী, মমতাময়ী জননী, শেখ মুজিবের সুয়োগ্য কন্যা, আপোসহীন নেত্রী হযরত শেখ হাসিনা শীগ্রই ক্ষমতার নরম তুলতুলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাছে থেকে আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬

আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

২০০১ সালের কথা। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটা আন্তর্জাতিক দরপত্রে অংশ গ্রহণ করে আমার কোম্পানি টেকনিক্যাল অফারে উত্তীর্ণ হয়ে কমার্শিয়াল অফারেও লোয়েস্ট হয়েছে। সেকেন্ড লোয়েস্টের সাথে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সংস্কারের জন্য টাকার অভাব হবে না, ড. ইউনূসকে ইইউ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এবং সফররত এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক পাওলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নারী বুকের খাতায় লিখে রাখে তার জয়ী হওয়ার গল্প (জীবন গদ্য)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩২



বুকে উচ্ছাস নিয়ে বাঁচতে গিয়ে দেখি! চারদিকে কাঁটায় ঘেরা পথ, হাঁটতে গেলেই বাঁধা, চলতে গেলেই হোঁচট, নারীদের ইচ্ছেগুলো ডিমের ভিতর কুসুম যেমন! কেউ ভেঙ্গে দিয়ে স্বপ্ন, মন ঢেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×