অতঃপর ক্ষুধার্ত শিশুটি ক্যামেরাবন্দী হলো,
অসমাপ্ত ছবিটি ফ্রেমবন্দী হয়ে চলে গেল
আর্ট গ্যালারী অথবা সুসজ্জিত ছবির দোকানে,
দিস্তা দিস্তা কাগুজে টাকায়
বিক্রি হলো খুব,
সুসজ্জিত দোকান থেকে ছবি চলে গেলো
মর্যাদাপূর্ণ ড্রয়িং রুমে , জমকালো আসবাবের
পেছনের রঙিন দেয়ালে।
সম্ভ্রান্ত খাবার টেবিল থেকে গন্ধ ছোটে খুব
আস্ত মুরগির রোস্ট , চিনিগুড়া চালের সুগন্ধি পোলাওয়ের সুগন্ধ
বাতাসে ভেসে বেড়ায় ফ্রেমবন্দী শিশুটির আশেপাশে।
সভা - সেমিনার , জলযোগ - চা সিগারেট , ধোঁয়ার কুন্ডলী
গরদের পাঞ্জাবি আর তামাকের পাইপে আলোচনা ,
বড় বড় বুলি,
থুথুতে ভেজা মাউথ স্পিকার আর
প্যাকেট প্যাকেট বিরিয়ানী!
সবচে নিরাপদ আবদ্ধ ভূমি থেকে ভূমিষ্ট হওয়ার
গুরতর অপরাধে
অশ্রু ঝড়ালো কিছু মানুষ, কিছু কবি নিমেষেই পেয়ে গেল
কবিতার খাদ্য , রাইটার্স ব্লকে আক্রান্ত লিখিয়েরা
খুঁজে পেলো আবেগের কালি ;
কিন্তু শিশুটির অবস্থান আর অবস্থার
কোনই হেরফের হলো না তাতে।
কেবল বুকের হাড় অতিমাত্রায় দৃশ্যমান হয়,
কমতে থাকে পিঠ আর পেটের শারীরিক ব্যবধান,
এভাবেই রুপালী কোন এক রাতে
চাঁদের আলো চমৎকার ভাবে
উপভোগ্য হওয়ার আগেই মারা গেলো অভুক্ত শিশুটি।
ঠিক সেই মূহুর্তে
পর্নো সাইটে কমোড ভেজালো
কয়েকজন যুবক।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৯