তোমার জন্য লেখা কবিতাটা যখন তোমকে দিতে গেলাম
তুমি বললে - রেখে দিও সযতনে , চেয়ে নেবো একদিন।
এই একখান কবিতা লিখতে আমাকে জাগতে হয়েছে কয়েক রাত ,
সকালের নাস্তা বাঁসি হয়ে পড়ে ছিল টেবিলের এক কোনায় ,
অবলীলায় পড়ে থাকা গমের রুটিতে লাল পিঁপড়ের বিচরণ লক্ষণীয় ছিল খুব।
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলো
বিকেল আর সন্ধ্যের মিলনের আলো
নিভতে নিভতে আঁধার নামলো ঠান্ডা ভাতের থালায়।
তুমি বললে - সযতনে রেখে দিও, চেয়ে নেবো একদিন।
অতঃপর , তোমার জন্য লেখা কবিতাটা
বাক্সোবন্দী করি , সযতনে রাখি
গোপন থেকে গোপনতর কুঠিরে।
পাহারায় রাত জাগি আর দিনপঞ্জিতে বাড়তে থাকে লাল দাগের পরিমান।
এভাবে কেটে যায় দিনের পর দিন
মাস কিংবা বছরের পর বছর
অ্যান্টার্কটিকায় বরফ গুলো গলতে থাকে
সমুদ্রের তেলে ভেসে উঠে মৃত ডলফিন আর নীল তিমিদের দল
সাইবেরিয়ান পাখি গুলো উড়ে আসে শীতের আশায়
পৃথিবীর ফুসফুসে আগুন লাগে , ধোঁয়ায় নিমজ্জিত মহাপৃথিবী
অক্সিজেন হারায় প্রতিনিয়ত।
সেন্টমার্টিনে জমে উঠে পর্যটন আবর্জনা
ভেজে ওঠে প্লাস্টিক , পলিথিন আর চিপসের প্যাকেট
অনিয়ন্ত্রিত বাজারে টিসিবির লাইনে ক্রমশ বাড়তে থাকে মানুষের ভীড়
ফুটপাতে মাথা গোঁজা মানুষ গুলো
এই শীতে হাড়-জিরজিরে হাত বাড়ায় কয়েক ফালি উষ্ণতার আশায়।
আর আমি সামান্য কবিতার জন্য হাকাকার করি !
মাতম তুলি পূর্ব থেকে পশ্চিমে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩০