ছবি : ইন্টারনেট থেকে
জল ফড়িং
শান্ত দুপুর
মাঝে মাঝে পাখিদের কলরব
চোখ দুটোকে আরো আড়ষ্ট করে তোলে।
ঘুম ঘুম চোখে পেরোয় সাত সমুদ্র , পেরোয় নদী।
আমি ঘুমাতে চাই না
কিছু দূরে আমাদের পুকুর
সেখানে মাছ খেলা করে ,
খেলা করে বাতাস
নুয়ে পরা গাছের ডালে
জলের তরঙ্গ !
বাড়ির পেছনের আম গাছে বাতাস ধাক্কা দেয়।
ঝিরিঝিরি শব্দে দুচোখ ভারী হয় আরো বেশি।
খানিক বাদে সূর্য হেলে পরবে খানিকটা পশ্চিমে
বদলে যাবে সূর্যের রং , আবছায়ারা বড় হবে।
জলাশয়ে বাড়বে ফড়িঙের আনাগোনা
পশ্চিম দিগন্তে আলোড়ন তুলে আমি ছুটে যাবো
এ প্রান্ত থেকে ওই প্রান্তে।
আমি ঘুমাতে চাইনা
আমি চাই পড়ন্ত বিকেল আমাকে ছুঁক।
বিকালের আলো মিশে যাক আমার শরীরে
ধান ক্ষেতের ধার ঘেঁষে ছুটন্ত কৈশোর
জলফড়িং , মাছ আর পাখিদের আলোকিত সম্ভারকে
সাথী করে সন্ধ্যার অপেক্ষায়।
অনতিবিলম্বে পেরিয়ে গেলো বেশ কয়েকটি
শীত অথবা হেমন্ত
ইংরেজি ক্যালেন্ডারের পাতা ,
বছরের পর বছর
বিকেলের পর বিকেল।
জলাশয়ে পানি নেই
মাছ , পানি আর ফড়িঙয়েরা বাড়িয়েছে দূরত্ব
নুয়ে পরা গাছকে নিয়ে বাতাস খেলে না আর ।
ধান ক্ষেত ,
জল ফড়িং
আর পাখিরা নিমেষেই হয়েছে মুঠোফোন বন্দী।
ছুটন্ত কৈশোর , বিকেলের মায়া রোদ
আর সন্ধ্যার আগমন
অন্য কারো অপেক্ষায় থাকে ইদানিং।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৭