আমাদের দীর্ঘশ্বাস হারিয়েছিল পুরনো এক জলো হাওয়ার রাতে। আরো এক পুরনো রাত, ভোর হয়েছিল তারাদের সাথে । তমসায় আচ্ছন্ন নদীতে সাতার কেটেছিল রুপালী মাছেরা। ছলছল চোখে, নদীর জলে আমি এক জালহীন জেলে। হায় রুপালী মাছ! টোপ ফেলতে নয়, টুপ করে চোখের জলের সাথে ঝরে পড়েছি আমিও।
দুরদেশে হারাবার চীরস্থায়ী দাগ রেখে চলে গেছে রুপালী মাছ আর পাতা ঝরার ব্যথা নিয়ে ঘোরাক্রান্ত হয়েছিল দিগন্ত। আমি সেই স্তব্ধ দিগন্তে হারিয়েছি হাড়ের অতীত। হে অপরের প্রিয়তমা, তুমিও ছুটে গেছ বিষন্ন শহরে। রক্তের গতিময়তায় জেনেছি, তুমি প্রেম দাওনি। তবু বিব্রত এক ফড়িংয়ের ডানায় মগ্ন আমি একে চলেছি ভাগ্যরেখা।
কোন এক ঘুমহীন ফুলেল রাতে কেঁদে উঠেছে চোখলাল কানাকুয়া। আরো একটি প্রভাতের রোদে সোহরাওয়ার্দীর উদ্যানে নাচবে বলে ইলেকট্রিক আলোর কাছে লুটিয়ে পড়েছে শহরের একদল ফড়িং । ডানা ঝাপটায়, ডানা ঝাপটাও বিব্রত ফড়িং!
সন্ধ্যায় আজ আমি ফড়িংয়ের সহোদর। একটুকরো ভেজা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে তুমি আমায় ডেকেছো কাছে, হে অপরের প্রিয়তমা। আমরা জলঝিড়ির জলে পা ভিজিয়ে উড়ে গেছি পুরনো দিনে। চাদেঁর আলো গলে গলে নেমেছে তোমার চোখে, তোমার ক্লান্ত মুখে। বলেছো আমায়, বন্ধুকেও দিতে পারোনি নির্জণ দমকা দুপুর। আহা! তোমার বন্ধুর যে মরন অসুখ।