দেখা-অদেখা ছবি (পর্ব - ৭)
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
ইউরোপের অনেক দেশেই সীমানারেখা বাড়িঘরের ভিতর দিয়ে চলে গেছে। যেমন নিচের ছবিতে যেই বিল্ডিংটি দেখছেন সেটির নাম হচ্ছে Eurode Business Centre. জার্মানি এবং নেদারল্যান্ডের সীমানা রেখা এই বিল্ডিঙয়ের ভিতর দিয়ে অতিক্রম করেছে। বিল্ডিঙটি তাই jointly operated Dutch-German police station হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এটি পৃথিবীর সব থেকে ছোট আন্তঃসীমান্ত ব্রীজ। কাঠের ব্রীজের একপাশে স্পেন, আরেকপাশে পর্তুগাল।
গুহারটির নাম ‘বাঁশির গুহা’। প্রায় ১,২০০ বছর আগে প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেয় চীনের এই গুহাটি। এটি সব সময়ই ভরে থাকে নানা রকম আলোয়। এ এক অদ্ভুত ঘটনা বৈকি! এ আলোর উৎস আসলে ভেতরে জমে থাকা চুনাপাথরের স্তর। এই বিচিত্র আলোর গুহার রূপে মানুষের মুগ্ধ হওয়ার শুরু সেই ৭৯২ সালে। তখন চীনে চলছে থাং রাজত্ব। এখনও কেবল চীনবাসীই নয়, এর রূপে মুগ্ধ হয়ে আছে সমগ্র বিশ্ববাসী। কিন্তু প্রশ্ন হল, এর নাম আলোর গুহা না হয়ে কেন বাঁশির গুহা হল? খুব সোজা, কেবল আলোই না, এই গুহাটির আছে আরও একটা বিশেষ গুণ। এর ভেতরে জন্মে এক ধরনের নলখাগড়া। সেই নলখাগড়া দিয়ে ভীষণ সুন্দর আর মিষ্টি সুরের বাঁশি বানানো যায়। আর সে জন্যই এই ২৪০ মিটার দৈর্ঘ্যরে গুহাটির নাম হয়ে গেছে বাঁশির গুহা।
এটি চীনের একটি মুরগির প্রজাতি। মুরগিটি দেখতে সাদা হলেও এর মাংস কালো রঙের। চীনে এই মুরগিগুলো ব্যবহার করা হয় মুখরোচক খাবার হিসেবে। এছাড়া এই মুরগিগুলো ডিমও দেয় প্রচুর। চীনে এই মুরগি ‘wu gu ji’ নামেও পরিচিত। এর অর্থ হচ্ছে মুরগির হাড় কালো।
বিশ্বের ভয়ংকর রোডগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে দ্যা সাইবেরিয়ান রোড। স্থানীয় পর্যায়ে এই রোডটিকে , 'হাইওয়ে ফ্রম হেল' বলা হয়ে থাকে। এই রোডটি মূলত সাইবেরিয়ান একটি শহর Yakutsk এর সাথে রাশিয়ার যোগাযোগের একটি মাত্র রাস্তা। এই প্রসংগে বলা যেতে পারে, Yakutsk পৃথিবীর অন্যতম ঠান্ডা শহর। শীতকালে এখানের গড় তাপমাত্রা -৪৫ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড। এই রাস্তাটির পাশেই আছে, লেনা নদী। এই লেনা নদীর নাম অনুসারে এই হাইওয়ের অফিসিয়াল নাম হচ্ছে লেনা হাইওয়ে। বছরের বেশিরভাগ সময় নদীর উপর বরফের কঠিন আস্তরন থাকে। অনেক গাড়ী তখন ঝুঁকি নিয়ে নদীর উপর দিয়েই যাতায়াত করে। কিন্তু যখন গরমের সময় আসতে থাকে তখন শুরু হয় বিপদ। তখন পুরো পথটি ২/৩ ফুট গভীর কাদার নিচে চলে যায়। হাজার হাজার গাড়ি আটকা পড়ে। অনেক সময় গাড়ি আটকা পড়ে গেলে, খাবার, পানি এবং তেল ইত্যাদি শেষ হয়ে যায়। অনেক মানুষ মারা যায়। এইখানে উদ্ধার কার্য অনেক কঠিন একটি ব্যাপার। অনেক সময় ৫ দিন /৭ দিন লেগে যায় এই পথটি পার হতে।
** এ ধরনের আরও হাজার হাজার ছবির সংগ্রহ রয়েছে এই লিংকে
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
=বেলা যে যায় চলে=
রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।
সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন
মার্কিন নির্বাচনে এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন
সত্যি বলছি, চাইবো না
সত্যি বলছি, এভাবে আর চাইবো না।
ধূসর মরুর বুকের তপ্ত বালির শপথ ,
বালির গভীরে অবহেলায় লুকানো মৃত পথিকের... ...বাকিটুকু পড়ুন
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা কি 'কিংস পার্টি' গঠনের চেষ্টা করছেন ?
শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামক সংগঠন টি রাজনৈতিক দল গঠন করবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছেই।... ...বাকিটুকু পড়ুন
শেখস্থান.....
শেখস্থান.....
বহু বছর পর সম্প্রতি ঢাকা-পিরোজপু সড়ক পথে যাতায়াত করেছিলাম। গোপালগঞ্জ- টুংগীপাড়া এবং সংলগ্ন উপজেলা/ থানা- কোটালিপাড়া, কাশিয়ানী, মকসুদপুর অতিক্রম করার সময় সড়কের দুইপাশে শুধু শেখ পরিবারের নামে বিভিন্ন স্থাপনা দেখে... ...বাকিটুকু পড়ুন