।।১।।
"এই দুনিয়ায় ভাই সবই হয়
সব সত্যি, সব সত্যি।"
-- সুতরাং কি হচ্ছে কেন হচ্ছে তার তো কোনো উত্তর নেই। যদি দৃশ্যত অপছন্দের বা অসামঞ্জস্যপপূর্ণ কিছু হয় তবে দে সাহেবের গানটা বাজিয়ে শান্তি পেতে পারেন।
সেই ১৯০৫ থেকে এ অঞ্চলে সংখ্যালঘু নির্যাতন বড় আকারে দেখা দেয়, অনেকে অনেক কথা দিয়েছেন কিন্তু ক্ষমতায় গেলে গণেশটা ঠিকই উল্টে দিয়েছেন।
প্রতি মুহুর্তে নির্যাতন হচ্ছে, কেউ কিচ্ছু বলছে না। এটাও আপনার মেনে নিতে হবে। সংখ্যালঘু নির্যাতনের জন্য বাঙালীর নবীনতম আবিষ্কার 'ধর্মীয় অবমাননা'। বলি ধর্ম যে মহান ব্যক্তিটি সৃষ্টি করেছেন তার প্রতি বিশ্বাস এত ঠুকনো কেন? এতটুকু বিশ্বাস রাখতে পারেন না যে, যদু-মধু-কদু ধর্ম নিয়ে কিছু বললে বা লিখলে ধর্মের কিচ্ছু যায় আসে না! ধর্মের স্রষ্টা তো অপার মহিমা নিয়ে আছেনই, আপনি কেউ খড়গহস্ত হন? আপনি কি হন্তারক না মানুষ?
।।২।।
কথা বললে বা লিখলে অনুভূতিতে আঘাত লাগে, স্বীকার করি। কিন্তু অদ্ভুত বিশ্বাস যদি ধারণকরি যার আগা মাথা গোড়া কিচ্ছু নেই তবে তার সত্যটা কেন নিতে পারি না? এতটা অন্ধ কেন আমরা? যদি এভাবেই ধর্মীয় অবমাননা হয়, এবং তার যদি ঠিক বিচারের আয়োজন হতো তবে দেশটা কারাগারেই ভরে যেত।
হিন্দুদের দেব-দেবী, মহাপুরুষগন, অবতারগন যেভাবে রাত্রের মাইকে শব্দবাণে ধর্ষিত হন তার বিচার কেন হয় না? বিচারটাই বা করবে কে? যিনি বিচারক তিনি যথেষ্ট পুলক বোধ করেন এতে। অনেক বুজুর্গর আলোচনা রসময়গুপ্তকে ছাড়িয়ে গেছে।
দেশে এখনও কি শ্রীকৃষ্ণলীলা নিয়ে মিথ্যাচার, নষ্টামি, যথেচ্ছা ইতিহাস বলা নিয়ে একটাও বিচার হয়েছে? - হয় নি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক কিছুই এখন শোভা পায় না, নিজ ধর্ম প্রসঙ্গে যে অনুভূতি দেখান অন্য ধর্ম প্রসঙ্গে এর ছিটেফোঁটাও থাকে না, কিন্তু কেন? ক'দিন আগে হেফাজত আর ওলামালীগ যে সমাবেশ করল তাতে লি ব্যবস্থা নিয়েছেন? তারা তো প্রকাশ্যে হিন্দু পরিত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন, আপনি নিরব দর্শকের মত ছিলেন কিন্তু মনে হয় আপনিও পুলকিত। কষ্ট লাগে হাসু আপা কষ্ট লাগে! এতে একটুও লেগেছে কি আপনার? লাগে নি। যদি লাগতই তবে ঘাড়ধরে ওলামালীগ থেকে লীগ কেড়ে নিতেন, নেতৃস্থানীয়দের গ্রেফতার করতেন; হেফাজতের দশাও তাই হতো। কিন্তু আপনি পারেন নি। আপনি সংখ্যাগুরুদের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের হয়ে উঠতে পারেন নি।
বাঙালী অত্যন্ত নেতিবাচক মানষিকতার অধিকারী, তারা অন্ধবিশ্বাস পছন্দ করে। তাদের বিশ্বাসই সব আর অন্য শালাগো কোনো বিশ্বাস থাকবে না। আমি সেই বাঙালির কথা বলছি যারা বর্ণগুলি পাশাপাশি বসানো শেখা মাত্রই নতুন সমাজ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। নতুন সাহিত্য সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। ইতিহাস সাক্ষীদেয় তারা মোটেও এমনটা ছিলেন না, তাদের সৃজনশীল কোনো জ্ঞানই ছিল না। বরং এরা ছিল নপুংসক, এরা ইতিহাসের দায় না স্বীকার করে না মনে করে! কেননা এদের ইতিহাস করুন। দেশ বিদেশের পাঠাগার, শিক্ষাগুরু তাদের প্রধান লক্ষ্য! এরা হন্তারক!
...ভবিষ্যত্তোর পূরাণের সেই বিষয়ের অনুসারী।
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।
আমি এই দু'লাইন বলায় কেউ কি অসন্তুষ্ট??
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:৩৬