$$$$$ Dhaka Stock Exchange Outlook 2018 $$$$$
১। বর্তমানে অনেক ব্যাঙ্কের A/D(Advance/Deposit) ৮৫ এর বেশি। কারও কারও ৯০ এর কাছাকাছি। ব্যাঙ্কের(Private Commercial) A/D(Advance/Deposit) Ratio ৮৫ থেকে ৮৩.৫ করার কারনে ব্যঙ্কগুলাকে(যাদের A/D Ratio ৮৩.৫ এর বেশি) আরও অনেক বেশি আমানত (Deposit) গ্রহন করতে হবে। এবং তারা লোনও কমানোর চেষ্টা করবে শুধু A/D(Advance/Deposit) Ratio ঠিক ঠাক রাখার জন্য। যেহেতু বর্তমানে প্রাইভেট ব্যঙ্কে তারল্য সংকট আছে এবং সঞ্চয়পত্রে সুদের হার বেশি তাই জনসাধারনকে ব্যাঙ্কে টাকা রাখতে উৎসাহিত করতে সুদের হারও বারাতে হচ্ছে। এবং বেশি ইন্টারেষ্টে নেওয়া আমানত, ব্যাঙ্কগুলা(যাদের A/D Ratio ৮৩.৫ এর বেশি) ঋন দিতেও পারবে না A/D(Advance/Deposit) Ratio মেইনটেইন করার জন্য। তার মানে ব্যাঙ্কগুলার খরচ(Interest Expense) অনেক বেড়ে যাবে এবং এই খরচের বিপরীতে ব্যাঙ্ক গুলার কোন আয় হবে না। সুতরাং আগামি বছর ব্যাঙ্কের আয় কমার সব রকমের ব্যবস্থা করা হইছে। প্রাইভেট ব্যঙ্কে তারল্য সংকট আরও বেশি উষ্কে দিচ্ছে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো টাকা তুলে সরকারি ব্যাঙ্কে রাখার জন্য। Farmers Bank আমানতকারিদের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়াতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সাধারন মানুষের ভিতরও আতঙ্ক তৈরি হইছে যার কারনে Deposit Mobilize করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে গেছে। ব্যাংক এবং ফিনান্স কোম্পানির আয় আগামি বছর ২০১৭ এর মত এত ভাল না হওয়ার কথা। আয় কম মানে শেয়ারের প্রাইস কমবে।
২। সাধারনভাবে Interest Rate বাড়া কমার সাথে শেয়ার মারকেটের বিপরীতমুখী সম্পর্ক। মানে Interest Rate বাড়লে শেয়ার বাজার খারাপ হবে আবার Interest Rate কমলে শেয়ার বাজার ভাল হবে। Interest Rate বাড়লে Safe Investment এ বিশ্বাসীরা শেয়ার বাজার থেকে টাকা সরিয়ে ব্যাঙ্কে রাখবে। আবার অন্য ভাবে চিন্তা করলে কোম্পানিগুলো যারা লোন নিয়ে ব্যবসা করে তাদের Interest Expense বেড়ে যাবে যার কারনে তাদের EPS কমে যাবে। আবার এনালিষ্টের দৃষ্টিকোন থেকে দেখলে ইন্টারেষ্ট বারার কারনে Discount Rate বেরে যাওয়ার জন্য শেয়ারের ভ্যালুয়েশন কম আসবে। সুতরাং বড় ধরনের Interest Rate Hike শেয়ার বাজারের জন্য সব দিক থেকে নেতিবাচক।
৩। বর্তমানে ডলারের দাম ৮৩ এর আসে পাসে। আমাদের এক্সপোর্টের থেকে ইমপোর্ট অনেক বেশি। ডলারের(এবং অন্য বৈদেশিক মুদ্রা) দাম বাড়ার কারনে ইমপোর্টাররা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যেই সকল কোম্পানির কাচামাল বাইরে থেকে আমদানি করতে হয় তাদের খরচ বেরে যাবে যার কারনে আয় কমে যাবে।
- সিমেন্ট কোম্পানি গুলোকে লাইমস্টোন আমদানি করতে হয় সিমেন্ট তৈরির কাচামাল হিসাবে।
- যেই সকল পাওয়ার কোম্পানির মুল কাচামাল তেল, তাদেরও তেল আমদানি করতে হয়। Foreign Currency এর দামের পাশাপাশি এই সকল পাওয়ার কোম্পানিকে আন্তর্জাতিক বাজারে তেল এর দাম বৃদ্ধির ঝুকিও বহন করতে হয়। গত প্রায় ২ বছর থেকে তেলের দাম উর্ধমূখী যার নেতিবাচক প্রভাব আয়ের উপর পরবে।
- সিরামিক কোম্পানিগুলোকেও তার কাচামাল আমদানি করতে হয়।
- Foreign Currency এর দাম বাড়াতে টেক্সটাইল কোম্পানির জন্য সুবিধা হয়েছে। DSE তে লিস্টেড প্রায় সব টেক্সটাইল কোম্পানিই এক্সপোর্ট ওরিয়েনটেড। যদিও বেশির ভাগ টেক্সটাইল কোম্পানির সিংহভাগ কাচামাল ইম্পোর্ট করতে হয়। তার পরেও নেট রেজাল্টে Foreign Currency এর দাম বাড়া টেক্সটাইল কোম্পানির জন্য ভাল। কারন Sales সব সময় Cost of Goods Sold এর ভিতর Imported Raw Materials এর থেকে অনেক বেশিই হয়। আর যদি কোন কোম্পানি লোকাল Raw Materials ব্যাবহার করে পন্য উৎপাদন করে এক্সপোর্ট করতে পারে তাহলে সেইটা তার জন্য সব থেকে ভাল।
- আপাতত Foreign Currency এর দাম কমার কোন সুজোগ দেখতেছি না। কারনঃ
=>রেমিটেন্স আসা কমে যাচ্ছে। মানে Foreign Currency এর সাপ্লাই কমতেছে।
=>এক্সপোর্ট এবং ইম্পোর্ট গ্যাপ দিন দিন বারছে।
=>যেহেতু সামনে ইলেকশন তাই টাকা পাচার বারবে। সুতরাং Foreign Currency এর ডিমান্ড আরও বারবে।
=>বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক Foreign Currency বিক্রি করে আর্টিফিসিয়ালি টাকার দাম ধরে রাখতে চাচ্ছে। এই কাজ কন্টিনিউ করতে থাকলে একটা সময় রিজার্ভে টান পরবে। আর Foreign Currency বিক্রি করতে থাকলে অর্থনীতি থেকে তারল্য কমে যাবে।
=>সরকারি প্রকল্পের কাচামাল আনতে ইম্পোর্ট অনেক বেড়ে গেছে।
সুতরাই আপাতত সব কিছু টাকার মান আরও কমার দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
৪। টেক্সটাইল সেক্টর আপাতত সম্ভাবনাময় মনে হচ্ছে। তবে যেই সকল কোম্পানির লোন বেশি হবে তাদের বাড়তি ইন্টারেষ্টের বোঝা বহন করতে হবে যেহেতু ইন্টারেষ্ট রেট বারতেছে, যার কারনে আয় কমে যেতে পারে।
- Mutual Fund গুলা ডিভিডেন্ড ইল্ড এবং নেট এসেট ভ্যালু এর বেসিসে তুলনামুলকভাবে ঝুকিমুক্ত।
৫। বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক যেহেতু A/D Ratio এডজাষ্টমেন্টের সময় ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮ করছে, ব্যাঙ্কগুলো হয়ত খুব এগ্রেসিভ ডিপোজিট কালেকশনে যাবে না। যার কারনে হয়ত ইন্টারেষ্ট রেট আর খুব বেশি বারবে না।
-Dhaka Stock Exchange এর শেয়ার বিক্রি নিয়ে নাটকিয়তা কোন দিকে গড়ায় সেইটা একটা দেখার বিষয় হবে। Dhaka Stock Exchange এর শেয়ার Strategic Partner এর কাছে বিক্রি মার্কেটের জন্য একটি ভাল খবর। হয়তবা আমরা খুব তারাতারি Derivative এবং Commodity মার্কেট পেতে যাচ্ছি এবং সাথে নতুন ফরেন ইনভেষ্টমেন্ট।
বেশিরভাগ মৌলিক বিষয় গুলো আপাতত মার্কেটের ডাউন ট্রেন্ড ইন্ডিকেট করছে। এই সব সমস্যাগুলোকে আরও উস্কে দিতে পারে রাজনৈতিক অস্থিরতা। যেহেতু ইলেকশনের মৌলিক বিষয়গুলোর সমাধান এখনও হয়নি, রাজনৈতিক অস্থিরতা হলে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পরতে পারে।
তবে মার্কেট যেমনই থাকুক। সব সময়ই কিছু না কিছু সেক্টর/শেয়ার রিটার্ন দেয়। বুঝেশুনে বিনিয়োগ করতে পারলে রিটার্ন আনা সম্ভব।
The above statements are exclusively my personal opinion. No one is advised to follow my statements as my predictions can be wrong.
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯