ছবি-গুগুল
- হ্যালো দীদা
- আরে রাফা দাদাভাই , কেমন আছ?
- ভালো
- তুমি ফোন দিতে শিখে গেছ?
- হুম! আম্মু পাশের ঘরে গিয়েছে, বেশি কথা বলতে পারব না কিন্তু।
- ঠিকাছে, তুমি রেখে দাও, তানাহলে আম্মু বকা দিবে তোমাকে।
- দীদা তোমার কথা খুব মনে পড়ছিল। তোমার কাছে নিয়ে যাও দীদা।
-তোমার স্কুল বন্ধ হলেই নিয়ে আসব দাদা ভাই।
- এসো কিন্তু মিথ্যে কথা বলো না যেনো।
- ঠিকাছে দাদা ভাই, তুমি মন দিয়ে পড়াশুনা করো।
ফিসফিসিয়ে রাফা বলে
- দীদা আম্মু চলে আসছে , রাখি বাই।
- আচ্ছা রেখে দাও।
রাফার দীদা নিরবে অশ্রু ফেলে। বার বার নাতির জন্য তার বুকের ভেতরটা কেমন ছটফট করছিল। শেষ বয়সে একমাত্র ছেলেকে ছেড়ে থাকা , সেই সাথে প্রিয় নাতিকে ছেড়ে থাকা তার জন্য খুব কষ্টকর ছিল। দূর থেকে একনজর ছেলেকে দেখে আসে, আর রাফার স্কুলের পথে দাঁড়িয়ে থেকে নাতিকে দেখে আসেন। প্রতি রাতেই নিরবে অশ্রু ফেলেন। রাফার জন্মের পর ছয় বছর একসাথে থাকার পর ছেলে মা কে ছেড়ে আলাদা হয়ে যায় । ছেলের জন্য যতটা কষ্ট হয় তার চেয়ে নাতির জন্য অনেক কষ্ট হয় রাবেয়া বেগমের। ভালোবাসাগুলো এভাবেই হয়ত ভাগ হয়ে যায়। নাতিকে ছাড়া যেন রাবেয়া বেগমের দিন যেতে চায় না।
চোখের জল মুছে দিন গুনে যায় রাবেয়া বেগম । হয়ত একদিন রাফাকে নিয়ে ফিরে আসবে তার ছেলে আর বলবে মাগো- তোমার সব আনন্দটুকু ফিরিয়ে দিতে এসেছি। এদিকে রাফাও স্বপ্ন দেখে তার দীদার সাথে খুব শীঘ্রই দেখা হবে। অনেকদিন দীদার সাথে থাকবে, খেলবে দীদার সাথে। অসীম আনন্দে তার ছোট্ট বুকটা ভরে উঠে।