somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্রাদারহুডের মিশর জয়,আমাদের কী খবর?

২৯ শে জুন, ২০১২ রাত ১১:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




ব্রিটিশ শাসিত বাঙ্গালীদের জীবনাচরন,বীরত্ত্ব,ভীরুতা,সাংস্কৃতিক কাঠামো পর্যালোচনা করে জনৈক ব্রিটিশ লেখক মন্তব্য করেছিলে‌ন, “ বাঙ্গালীরা একাকী ভীরু অসহায় কিন্তু সম্মিলিতভাবে হিংস্র”। তখনকার প্রেক্ষাপটে কথাটি কতখানি সত্য তা আলোচনা সাপেক্ষ হলেও বর্তমান প্রেক্ষাপটে যে শতভাগ সত্য এ কথা নির্দ্বিধায় বলার জন্য ব্রিটিশ রাইটার হওয়া লাগেনা,এ দেশের নির্যাতিত আম জনতাই যথেষ্ঠ।আনন্দের উপলক্ষ্যে জড়ো হওয়া আমাদের “পবিত্র আত্না” গুলি যে প্রেতাত্না হয়ে ওঠে তা আমরা এদেশের নির্বাচন পরবর্তী বিজয়ী দলের উল্লাস বেঁধে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার মধ্যে টের পাই। টের পাই নির্যাতিত গার্মেন্টস্ শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে দল বেঁধে সংগ্রামের এক পর্যায়ে মার্কেট লুটের ঘটনায়। কিংবা পহেলা বৈশাখের বিজাতীয় উল্লাসে সম্মিলিত যুবতী ধর্ষনের ঘটনায়।
না, মিশরে এমন কিছুই ঘটেনি। ঘটার কথাও ছিলনা। কেননা ১৯২৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ইখওয়ানুল মুসলিমিনের দীর্ঘ সংস্কৃতি চর্চায় এ অপসংস্কৃতি ছিলনা। তাই মোহাম্মদ মুরসি বিজয় পরবর্তী তাহরীর স্কয়ারে সমবেত লক্ষ জনতার শান্ত-শিষ্ট,পবিত্র,সুন্দর বিজয় উল্লাস পৃথিবীর প্রকৃত শান্তিকামী জনতার মাঝে প্রচন্ড দাবদাহে বরফ শীতল হিমেল সুখের পরশ বইয়ে দিল। কবে সেই সৎ লোকের বিজয় আর আল্লাহর আইনের বার্তা নিয়ে আমরাও এক পবিত্র উল্লাসে কেঁপে উঠব ঢাকার আকাশে বাতাসে? কবে আসবে সেই দিন,যখন আমার কাধেঁ পতাকা হাতে নাছবে আমার দু’বছরের ভাগ্নী,আমার মা-বাবা বোনেরা? না, আমরা বৈশাখী মেলার নামে ভারতীয় হিন্দু সংস্কৃতি প্রসারের কু-উদ্দেশ্যে সুন্দর মুখে পেঁচার মুখোশ লাগিয়ে ঘুরবো না। দুর্গন্ধযুক্ত আওয়ামী-বিএনপি ক্যাডারের রাজপথ দখলের বিশ্রী আনন্দে মাতবো না। উচ্ছিষ্টভোগী বুদ্ধিবাজদের মতো ফোলা ফোলা চোখ মুখ নিয়ে আমরা তৈলমর্দিত আরোপিত কাব্য করবনা। কবে আসবে সেই দিন?

ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনের পদলেহী প্রধান নির্বাচন কমিশনার শামসুল হুদার চার কোটি ব্যাগ কেলেংকারীর মতোই অনুচ্চারিত একটি বিষয় ছিল তাদের অধীনের প্রথম পৌরসভা (বা অন্যকিছু)নির্বাচন। বিএনপির কট্টর মরহুম মহাসচিব সে নির্বাচন বয়কট করলে ক্ষমতালোভী নেতৃবৃন্দ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দীতা করে এবং আওয়ামী লীগের চেয়েও বেশি তারা নির্বাচিত হয়। আসলে বড়শি ফেলার আগে আঁধার দিয়ে যেমন টোপ ফেলা হয় এটাও তদ্রুপ।বলা বাহুল্য স্বতন্ত্র হয়েই যাদের এতো জয়,দলীয় সাপোর্টে যে তাদের জয় কেউ ঠেকাতে পারবেনা,হয়তো এ লোভেই সংসদ নির্বাচনে বিএনপি আসে এবং গো-হারা হেরে সেনা নায়কদের ফাঁদটা তারা দুঃখের সাথে আবিস্কার করে।
স্থান কাল পাত্র ভেদে মার্কিন এজেন্টদের কৌশল অনেকাংশেই মিলে যায়। তবে পিচের চরিত্র অনুযায়ী বোলিং এটাক পরিবর্তনেও তারা পারদর্শী। মিশরের সেনানায়কেরা পার্লামেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ বন্ধ রেখে মুসলিম ব্রাদারহুডের জন্য ফাঁদ পাতে।দেখা গেল সুস্পষ্ট সংখ্যাধিক্যে ব্রাদারহুড এবং অপর ইসলামী দলগুলো বিজয়ী হয়ে পার্লামেন্ট গঠন করল। ভুয়া বামপন্থী আর ভন্ড উদারপন্থীদের (এগুলো মার্কিন সার্টিফিকেট) টিকিটির সন্ধানও পাওয়া গেলনা সে নির্বাচনে। স্বভাবতই সে বিজয়ে উৎসাহিত হয়ে ব্রাদারহুড প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গাছে কাঁঠাল,গোঁফে তেল দিচ্ছিল। মোবারকের প্রেতাত্নারা অথবা বলা যায় ওবামার পেত্নীরা তখনই খেলা শুরু করে দিল। পার্লামেন্ট নির্বাচনে ৬০ শতাংশের বেশি ভোট পাওয়া ব্রাদারহুড প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নেমে আসে ২৪ শতাংশেরও নীচে মাত্র এক মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে। এত করেও যখন মার্কিন প্রেতাত্নারা দালাল অসাম্প্রদায়িক,বামপন্থী,উদার আহমেদ শফিককে প্রথম করাতে পারেননি,তখনই দিল মরন কামড়। ফাইনাল নির্বাচনের দিন এবং তার আগের দিন তাদের “শামসুদ্দিন মানিকেরা” সর্বশেষ পার্লামেন্ট নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষনা করে আসন্ন আরব বসন্তের মহা নায়ক মোহাম্মদ মুরসীকে “মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান” বানানোর প্রজেক্ট হাতে নেয়।সংসদ অবৈধ ঘোষনা করে আদালতের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে তাহরীর স্কয়ারের সর্বশেষ গন-জমায়েতে তথাকথিত বামপন্থীদের দেখা মেলেনি কেননা রাষ্ট্রীক স্বার্থ নয়, তাদের ব্যক্তিক স্বার্থ ততদিনে নীল নদে বিলীন হয়ে গিয়েছিল। যাই হোক ক্ষমতাহীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে মুরসী নির্বাচিত হন। আপাত দৃষ্টিতে সাম্রাজ্যবাদীদের প্রজেক্ট সাফল্য দিলেও স্বয়ং ওবামা নেতানিয়াহুরা সন্দেহের দোলাচলে দুলছে।(এখানেই পোষ্য বামপন্থী-উদারপন্থীদের সাথে প্রকৃত ইসলামপন্হীদের তফাত,পোষ্যদের নিয়ে কখনোই কোনকালে সাম্রাজ্যবাদীদের সন্দেহের দোলাচলে দুলতে হয়না।) কেননা,দীর্ঘ পোড় খাওয়া,তাদেরই হাতে নির্যাতিত,লান্ছিত,অপমানিত,ধর্ষিত,লাশ হয়ে বার বার ফিনিক্স পাখির মতো জেগে ওঠা ইখওয়ানুল মুসলিমিনকে তাদের ভয় পাওয়াটাই স্বাভাবিক।দল বেঁধে আজ খুনী ওবামা,খুনী আহমেদ শফিক আর খুনী ইসরায়েল যতই অভিনন্দন জানাক,কী করে মুরসী ভুলে যাবে জন্মাবধি লাখো শহীদের রক্তের শপথ?
শহীদ কুতুবকে ফাঁসির ঠিক পূর্ব মুহুর্তে কালেমা পড়াতে আসেন সেনাশাসিত সরকারের একজন চাকরীজীবী আলেম।শহীদ কুতুব বলেন,আমার কালেমার ব্যখ্যার জন্য আজ আমার ফাঁসি হচ্ছে আর তোমার কালেমার ব্যখ্যার জন্য তুমি বেতন পাও।কাজেই বুঝতে পারছো তোমার কালেমা আর আমার কালেমা এক নয়।তুমি চলে যাও।মোহাম্মদ মুরসী কী করে ভুলে যাবেন তার সেই দুঃসাহসী,আপোষহীন পূর্বোক্ত গুরুর আদর্শকে?
মধ্যেপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া,টিউমার ইসরাইলের দিনের পর দিন মাস্তানী করে,খুন-খারাবী করেও সুরক্ষা পেয়েছিল যেই ক্যাম্প ডেবিট চুক্তি দ্বারা,আর এই গাদ্দারীর জন্য মুসলিম শাসক আনোয়ার সাদাত শান্তিতে নোবেল পান,মুরসী কী করে টিকিয়ে রাখবেন সেই ক্যাম্প ডেবিট চুক্তি? ফিলিস্তিনি নারীর চোখের জল,কিশোরীর ইজ্জত আর হামাসের লাখো শহীদানের আত্নত্যাগ কী মোহাম্মদ মুরসি কে তাড়া করবেনা?
তিস্তার পানির লুটেরা মমতা বন্দোপাধ্যায়কে বিজয়ের পূর্বেই আমাদের “হুসনি মোবারকেরা” কূটনৈতিক রীতি ভেঙ্গে শুভেচ্ছা জানায়,ইলিশ পাঠায় কিন্তু মুরসীকে শুভেচ্ছা জানান না। যদিও এসব গাদ্দারদের শুভেচ্ছার জন্য তীর্থের কাকের মতো বিপ্লবী মুরসীরা বসে থাকেন না।
জামায়াতে ইসলামীর সূচনালগ্নে প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা মওদুদীর রাজনীতি বিষয়ক বইগুলো যখন সাড়া ফেলছিল তখন ইসলামী রাজনীতি বিরোধীরা উনাকে বইগুলো লেখার কৃতিত্ব দিতেও কার্পন্য করেন।সমালোচকরা বলত, ও তো (আল্লামা মওদুদী) মিশরের ইখওয়ানের হাসান আল বান্নার বই অনুবাদ করে নিজের নামে চালায়। কিন্তু বাস্তবতা হলো মিশরের ইসলাম বিরোধীরাও হাসান আল বান্নার সমালোচনা করে বলত ও তো (হাসান আল বান্না) বাংলাদেশের মওদুদীর বই অনুবাদ করে নিজের নামে চালায়।আসল ব্যাপার হলো মত ও পথ এক হলে ভাষা ও বক্তব্যও যে এক হয়ে যায়। তাই হলফ করে বলা যায়,ব্রাদারহুডের মিশর বিজয়ে আমাদের “আহমেদ শফিকেরা” মুষড়ে পড়লেও জামায়াত ও ইসলামপন্থী রাজনীতিকরা উজ্জীবিত,এটা নিঃসন্দেহ। মোহাম্মদ মুরসীর এই সংগ্রামী বিজয়ের ভেতর দিয়ে আমাদের কাছে কয়েকটা তথ্য পরিস্কার হয়ে গেছে, যা ভবিষ্যৎ পথ-চলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ টনিক হিসেবে কাজ করবে।

এক.
বিপ্লব, মিছিল,মিটিং,দাঙ্গা হাঙ্গামার ভেতর দিয়ে কোন দুবির্নীত শাসককে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করা গেলেও জনগন সেই অতি বিপ্লবীদের সমর্থক নাও হতে পারে।মনে রাখা দরকার তাহরীর স্কয়ারে সমবেত মোবারক বিরোধী বিপ্লবীরা ছাড়াও আরো কয়েকগুন বেশি জনতা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল সারা মিশরে ,যারা মূলতঃ অতি বিপ্লবী নয়,মুরসী- ব্রাদারহুডের সমর্থক। কাজেই যেকোন দেশ স্বাধীন হবার পর স্বাধীনতার নেতারা যেন ভেবে না বসেন দেশটা তারা ইজারা পেয়েছেন,তারাই দেশের প্রেসিডেন্ট। বরং উচিত স্বাধীন দেশে নতুন সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা,তা সে স্বাধীনতার নেতারাই আসুক অথবা অন্য কেউ আসুক।বলাবাহুল্য স্বাধীন বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনির্বাচিতভাবে বছর দেড়েক দেশ শাসন করেছে মুজিব বাহিনী।
দুই.
সাম্রাজ্যবাদীরা তথা তাবেদাররা হোক সে সেনানায়ক অথবা তথাকথিত গনতান্ত্রিক; তারা উদারপন্থী ,অসম্প্রদায়িক,ধর্মনিরপেক্ষ হবেই। কেননা উক্ত তিনটি ভাষা মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির কূটনৈতিক ভাষা। কাজেই দেশের অভ্যন্তর থেকে আসবে উক্ত তিনটি শব্দের বিপরীত শব্দ। যেহেতু তারা বহিঃশক্তির দালাল কাজেই বহির্ভাগের শব্দ তিনটি তাদের পোশাক।তাবেদাররা নির্যাতন করে দল-মত-ধর্ম নির্বিশেষে।এভাবেই তারা অসাম্প্রদায়িক,তারা ইসলাম বিদ্বেষী তাই তারা ধর্মনিরপেক্ষ ,তারা ইসরাইলের শান্তির জন্য চুক্তি করে তাই তারা মানবতাবাদী,তারা সংখ্যালঘু খ্রিষ্টানদের বাড়তি সুবিধা দেয় সংখ্যাগুরুকে বন্ছিত করে তাই তারা উদার।
তিন.
সমাজতন্ত্রীরা গলা ফাটিয়ে মার্কিন বিরোধীতা করবে বটে কিন্তু যদি দেখে আখের গোছানো যাচ্ছেনা,আখের চলে যাচ্ছে ধার্মিকদের হাতে তখন তারা সাম্রাজ্যবাদীদের পক্ষ নেয়। ইনসাফ,ন্যায়বিচার তখন তাদের বিবেকের লাটে ওঠে। মনে হয় তারা যতটা না সম্পদের সুষম বন্টনের নীতি আওড়ায় তার চেয়েও বেশি তারা নারীর শরীর বন্টনের নিশ্চয়তায় বিশ্বাসী। সমাজতন্ত্রীরা সাম্রাজ্যবাদের বিরোধীতা করে,কিন্তু সাম্রাজ্যবাদের প্রচারনার তথ্য মনে ধারন করে ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে নাটক,কবিতা,গান লেখে।ওরা হুজুরদের শত্রু জ্ঞান করে কিন্তু হুগো শ্যাভেজের আহমাদি নেজাদ প্রীতির কৌশলের ধারে কাছেও যায়না। এভাবেই তারা পান চিবানো হুজুরদের চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করে হুইস্কী খাওয়া স্যারদের পা চাটে। যদি ধরেও নিই মিশরের দ্বিতীয় দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আহমেদ শফিক সত্যি সত্যি পন্চাশ শতাংশ ভোট পেয়েছেন তবে সে ভোটগুলি কার? ভুয়া সমাজতন্ত্রী,উদারপন্থীদের নয়তো?
চার.
শুধু ওয়াজ মাহফিল,মসজিদ মাদ্রাসা আর পীর দরগায় বসে রাষ্ট্র নায়ক হওয়া যায়না অন্ততঃ মহাকাশ বিজয়ের এ মহাকালে। ইসলামকে উক্ত ক্ষেত্রগুলোতে সীমাবদ্ধ না রেখে ছড়িয়ে দিতে হবে রাষ্ট্র তথা জীবনযাপনের সর্বত্র। মোহাম্মদ মুরসী যেমন ছড়িয়ে পড়েছিলেন মার্কিন মহাকাশ গভেষনা সংস্থা নাসাতেও।
পাঁচ.
ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থার ক্ষমতায়ন হলে দেশে যে সুশাসন নিশ্চিত হবে তার স্বপ্ন না দেখিয়ে,দেশে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা কায়েম পরবর্তী কর্মীরা যা যা করবে তার নুমনা সাধ্যানুসারে অনৈসলামিক সমাজে প্রদর্শন করে বিরুদ্ধবাদীদের ভীতি দূর করতে হবে।
ছয়.
মোহাম্মদ মুরসীর উচিত রাষ্ট্রের আবর্জনাগুলো ডাষ্টবিনে ফেলে বৈদেশিক দালালীর চুক্তিগুলো বাতিল করা। ইরান কিংবা তুরস্কের আদলে ধীরে ধীরে শক্ত শিঁকড় গজানো,যাতে ভন্ডরা কোন কৌশলেও আর ফিরতে না পারে এবং সারা জাহানের নির্যাতিত নিপীড়িত জনগনকে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বুদ্ধিমত্তা ও জান-মাল দিয়ে সহায়তা করা। দালাল আরব জাহানের কলংক মুছে ইসলামী ক্ষমতাসীন ও ক্ষমতাহীন নেতাদের সঙ্গে ঐক্য গড়ে তুলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন,ন্যাটো,ইউরোর মতো কিছু করা।

এক দিকে সমুদ্র আর তিন দিক অনৈসলামিক দেশ দ্বারা বেষ্টিত আমাদের যুব সমাজ কী ভাবছে? আরব বসন্ত কেন তাদের হৃদয়ে দোলা দিতে পারলোনা? অন্ততঃ একটি মুসলিম প্রতিবেশীর অভাবে ইসলাম বিবর্জিত সংস্কৃতির আগ্রাসনে আমরা এতটাই কাহিল? কিন্তু এটা তো সত্য, বীরেরা দুর্বল প্রতিপক্ষে মজা পায়না লড়েই তারা জিততে ভালবাসে।


শরীফ হোসাইন মৌন
Email: [email protected]
Cell: 01757 123 007

২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

এখানে সেরা ইগো কার?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪






ব্লগারদের মাঝে কাদের ইগো জনিত সমস্যা আছে? ইগোককে আঘাত লাগলে কেউ কেউ আদিম রোমান শিল্ড ব্যবহার করে,নাহয় পুতিনের মত প্রটেকটেড বুলেটপ্রুফ গাড়ি ব্যবহার করে।ইগো আপনাকে কোথায় নিয়ে গিয়েছে, টের পেয়েছেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবং আপনারা যারা কবিতা শুনতে জানেন না।

লিখেছেন চারাগাছ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮

‘August is the cruelest month’ বিশ্বখ্যাত কবি টিএস এলিয়টের কালজয়ী কাব্যগ্রন্থ ‘The Westland’-র এ অমোঘ বাণী যে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এমন করে এক অনিবার্য নিয়তির মতো সত্য হয়ে উঠবে, তা বাঙালি... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মার্কিন নির্বাচনে এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪


আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×