১.মনটা বিক্ষিপ্ত চিন্তায় মগ্ন।বেশি কিছু লিখবনা। কত কিছু অতি দ্রুত ঘটে যাচ্ছে,লেখার সুযোগ কই।গ্রিক নগরী নিয়ে বোধহয় একটা প্রবাদ আছে,নগরীটি যখন পুড়ছিল,রানী তখন বাশী বাজাচ্ছিল।পুরোদেশ বাসী যখন আর্জেন্টেনা নাইজেরিয়ার খেলায় মগ্ন তখন ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির নিচে খবর আসছে মনমোহন আর হাছিনার চুক্তি সইয়ের খবর।হয়তো একদিন গোলামীর ইতিহাসে আমাদের উদাসীনতা অমার্জনীয় অপরাধ হিসেবে ভবিষ্যৎ প্রজম্নের কাছে গন্য হবে।আমরা খেলায় মগ্ন,আমাদের মগ্ন রেখে হাসিনা মনোমহন কিসে মগ্ন?
২.দুই ভাইয়ের তেমন মিল মিশ নেই। মৃত বাবার জমি নিয়েই বেশি ঝগড়া। প্রভাবশালী বড় ভাই কিছুতে ই ছোট ভাইকে দিতে রাজিনা। ওদিকে ছোটভাইয়ের নিজের টাকায় কেনা জমিটার গাছের ছায়া বড়টার উঠোনে যায়,এ নিয়ে ও ঝগড়া।শেষে ১৫ বছর পর বড় ভাই প্রস্তাব দিল,বাবার জমি এক শর্তে ভাগ করতে রাজি আছি যদি তোর কেনা জমিটার কিছু অংশ আমাকে ছেড়ে দেস। জানিসইতো ওটার ছায়ায় আমার উঠোন ভিজে থাকে।ছোট ভাই আকাশ থেকে পড়ল।ওটা তো্ বাবার জমি না,ওটাতো আমার টাকায় কেনা জমি।বড় ভাই বল্ল,দেখ ছোট,গ্রামের সবাই আমার পক্ষে শালিস দরবারে থাকে তা তুই জানিস,তাছাড়া তুই ছোট থাকতে অসুখে বিসুখে বহুত ডাক্তার ওষুধ খরচ আমি দিয়েছি।কিন্তু ছোট রাজিনা,এটা কোন কথা না।আমি রাজি না,তুমি শুধু সত্য মিথ্যার খতিয়ান দেখিয়ে লাভটা হাতিয়ে নিচ্ছ।আমি আমার মতো থাকবো,তুমি তোমার মত থাক,আমাকে বাবার জমিটা ভাগ করে দাও।
হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় ছোট ভাই শয্যাশায়ী হয়। ছোট বউ ঘর সংসার দেখাশোনা করে।কিন্তু কি যে হলো ছোট বউকে ভুলিয়ে বালিয়ে বড় ভাই ম্যানেজ করে ফেল্ল।বাবার জমি ও ভাগ হবে।একা ভোগদখল থেকে ছোটকে অংশ বিশেষ ছাড় দেবে বড় ভাই।আর ছোটর জমিটা ও কিছুটা বড়কে দিয়ে দেবে ছোট বউ।অথচ ছোট ভাই কিছুই জানলনা,তাকে কিছুই জানানোর প্রয়োজন মনে করলোনা ছোট বউ।ইদানিং বড় ভাইয়ের সাথে ছোটবউয়ের দৃষ্টি কটু মেলামেশা।অথচ বাপমা মরা মেয়েটাকে কত ভালবাসতো ছোট ভাই।
শালিশ ডেকে মুরব্বিরা বসল।
ছোটর কেনা জমিটা ভাগ হল।এবার বাবার জমি ভাগের পালা।বড় ভাই আবদার করল ওটা এখন থাক।বাবার জমিনে কয়েকটা আম গাছ আছে।বড় বউর আবার আমের আসক্তি।ভাগ হলে আমগাছগুলো হাতছাড়া হবে তাই বড় বউ গোস্বা করেছে।বড় ভাই বল্ল,এখন থাক পরে ঠিকই আমি উদ্যেগ নিয়ে ভাগ করে দেব।
ছোট ভাই এতই অসুষ্থযে,ঘরে থেকে সব শুনল কিন্তু কথা বলারও শক্তি পেলনা।হায়রে বড় ভাবী,বিয়ের পর ছোট ভাই তো ভাবিদি ভাবিদি ছাড়া কিছুই বলতনা। উনি কিনা? ছোট ভাই সবার এমনকি তার নিজ বউয়ের হাসি ঠাট্টার শব্দ শুনল,গায়ের মোড়ল মুরব্বিরা রুপালি ইলিশের ভোজন শেষে পান চিবুতে চিবুতে চলে গেল।
(পাঠক,এবার একটু অন্যভাবে নজর দিন...........বড় ভাই হলো ভারত,ছোট ভাই বাংলাদেশ,বড় বউ মমতা,ছোট বউ হাছিনা।বাবার সম্পত্তি হলো আন্তর্জাতিক নদী তিস্তার পানি।ছোট ভাইয়ের কেনা জমি হলো ফেনী নদীর পানি।ছোট ভাইয়ের শৈশবের অসুস্থতা মানে মুক্তিযুদ্ধ।গ্রামের মুরব্বী মানে পশ্চিমা দেশের রাষ্ট্রদুত গন। বড় বউর বিয়ের পর মানে মমতার ক্ষমতায় আসার পর মমতাদি মমতাদি করার হাসিনার বাতিক।
৩.উইকিলিকস গরম গরম সব ফাটাচ্ছে।প্রতিটা কাজ করে অনুগত কুত্তার মতো হাসিনা খালেদার লোকেরা কিভাবে গোপনে মাকিন রাষ্টদুতদের কাছে জবাবদিহি করে,তা এখন পত্রিকার পাতায় পাতায়।প্রথম আলো ,স্টার আলীগ ,বিএনপি না তবে মার্কিনপন্থী।যদিও প্রথম আলো নিউজটি ছাপানোর সততা দেখায় নি।লক্ষ্যনীয়,নয়াদিনগ্ত আমার দেশ বিএনপি,কিন্তু মার্কিনপন্থী না। অথচ আ.লীগ পন্থী সব পত্রিকাই মার্কিন ও ভারতপন্থী।সবার যেন ভবিষ্যতের জন্য এ স্বীকৃতি মনে থাকে। কার টাকায় কে চলে?
৩.খালেদা জিয়া যেন তেন ভাবে নির্বাচন দিয়ে হলেও ১২ /১৫ মাসের জন্য আরেকবার প্রধান মন্থী হতে চেয়েছেন।আর মিথ্যুক হাস্যকর হাসিনা কথায় কথায় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধাচারন করলেও তাদের আগমন স্বাগত জানিয়েছেন এরশাদের মতোই।বি এন পির ভেতর মার্কিন শুক্তশালী সোর্স আমলা কামাল সিদ্দীকী ঠিক হাসিনার ভাষায় তারেকের দুনীতি নিয়ে মার্কিন রাষ্টুদুতের কাছে রিপোর্ট করেছেন। পরবতীতে উনি এলডিপিতে চলে যান।বলা বাহুল্য,তার বাতাটি মার্কিন রাষ্টদুতের না,তার কাছে বলা কামাল সিদ্দিকীর।আমলীগ এটা নিয়ে এখন তেল ভাজা করবে।কিন্তু কেনা জানে তারেক জয় রেহানা দুনীতিবাজ।তারা দুনিতী করবে নাতো আমি আপনি করবো?
৪.খালেদার ঘনিষ্ঠ সহচরদের ১৭ জনের নাম ছেপেছে উইকিলিকস।তারা তিন ক্যাটাগরির যেমন-কাছের মানুষ,মোটামুটি কাছের,অতি কাছের।
১৭ জনের মধ্যে ১২ জন আমেরিকার হাতে ছিল,মার্কিন রাষ্টদুতের দাবী।বাকী ৫ জনের মধ্যে ৪ জনও আমেরিকা পন্থী।শুধু একজনের উপর আমেরিকা নিশ্চিন্ত না। মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী। আলহামদুলিল্লাহ।ইসলামপন্থীদের এমনই হওয়া উচিত। সম্ভবত এজন্যই জেলে আছেন।
কথা হচ্ছে এই যদি হয় বিএনপি তো আ.লীগের কি অবস্থা।সেখানে তো ক্যাটাগরি আরো কয়েকভাবে হবে।যেমন মার্কিন ও ভারতপন্থী,মার্কিনপন্থী,ভারতপন্ী ইত্যাদি।পাঠক এই যে নৌকা আর ধান গাছ নিয়া লাফান তাদের সিংহভাগই হলো বাহিরের দালাল।কেউ কম কেউ বেশিনা।
৫.মনোমহনের সাথে সম্পাদিত চুক্তির ব্যাপারে বিএনপির নিষ্ক্রিয়তাকে তাচ্ছিল্য করে এ সময়ের সাহসী দেশপ্রেমিক মাহমুদুর রহমান বলেছেন....ভারতকে তোয়াজ করে বিএনপি ক্ষমতায় যেতে পারবেনা।কারেক্ট।আসুন জনতাকে তোয়াজ করে এমন দল খুজি অথবা জনতাকে তোয়াজ করতে দুনীতিবাজ দলগুলোকে বাধ্য করি।
০১৭৫৭১২৩০০
[পর সমাচার এই যে ফেনী নদী এবং ট্রানজিট চুক্তি না হওয়ায় ছোট বউকে আন্তরিক ধন্যবাদ।তবে এটা যেন কোন চালাকি না হয়।কেন জানি মনে হচ্ছে তিস্তার বিপরীতে ট্রানজিট দেয়ার মানসিকতা সৃষ্টির অপপ্রয়াস চলছে।আমি কিছুতেই বুঝিনা গরুর বিনিময়ে কিভাবে মুরগী দেয়া হয়?]