অত্যন্ত আপন কিছু খুঁজবো বলে-
যতটা জলের কাছে গিয়েছিলাম, ততটাই আগুনে।
কেবল তুমিই দেখেছিলে, আমার ভেসে যাওয়া,
"ফিরিয়ে দেবে" প্রতিশ্রুতিতে,
শেষপর্যন্ত তোমার কাছে বেচে দিয়েছিলাম, আমার আগুন হৃদয়-
চোখ সমুদ্র।
একটা গাঢ় জীবনের মত,
রঙ্গীন
'দিন' একদিন আমারও ছিল,
অনুভবের একশোটা রঙ থেকে উজ্জ্বলতম রঙ টা নিয়ে
করেছিলাম কেয়ারী বাগান।
বাতাসে তোমার গায়ের কেয়াফুলের সুগন্ধ ছুঁয়ে
বুঝেছিলাম, আমার প্রাণ ধারণে-ও বাতাস কতটা জরুরী।
তোমার অমন গভীর চোখের স্পর্শ, আমাকে করেছিল- রঙধনুর আগুন।
আকাশটাকে তুমি ভেবে, বেশ ছিলাম-
একবার নিজেকে দেখবো বলে, নতজানু হয়ে-জলের গভীরে পা দিয়েছিলাম।
আমার আঁচল থেকে অম্নি তখন জলের ভেতর হারিয়ে গেল----
যতটা আগুনে পুড়েছিলাম, ঠিক ততটাই ভেসেছিলাম জলের মায়ায়..
আহা! সে কি ভেসে গেল?
দাও না খুঁজে, কেঁদেছিলাম।
"ফিরিয়ে দেবে" প্রতিশ্রুতিতে
শেষ পর্যন্ত তোমার কাছে বেচে দিয়ে ছিলাম, আমার অহঙ্কার, আমার সাতটা রঙ
জীবন পোড়া সুগন্ধী ধুপ।
খুঁজতে খুঁজতে জলের ধারে
আমি তখন ব হু প্রাচীন নার্সিসাস....
নিজের ছায়ায় কি খুঁজি রোজ?
সেই তোমাকে? তোমার ছায়া?
হয়তো হবে,
কেউ জানে না,
আমার গভীরতর ঘুমের ভেতর, অমন কালো জলের ভেতর
আমার সুখচাবিটা হারিয়ে গেছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:৫২