somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অনুরোধের আসর

০৩ রা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হার জিত চিরদিন থাকবেই


আমার কৈশরে আমি কিছুদিন গ্রামের বাড়িতে ছিলাম। সময়টা অনেক সুন্দর ছিল। তখনও আমাদের গ্রামে বিদ্যুত যায়নি। পাড়ার মোড়ে মোড়ে ক্লাব ঘর উঠে উঠতি ছেলেরা জুয়ায় মেতে ওঠেনি। তখনও বুরকা পড়া মেয়েরা কাউকে পাগল করেনি বা মমতাজ ছড়িয়ে পড়েনি তার "যৌবন আমার ফাটা ডালিম" গান নিয়ে।:D
রাস্তায় যেতে যেতে মাইকে চীৎকার করে হিন্দি গান সহসাই বাজতো না।X( সন্ধ্যায় আবছা অন্ধকারে গ্রামের ছেলেরা তখনও নির্মল আড্ডা দিত। বাড়িতে বাড়িতে মেহমান অতিথ এরে পিঠা পুলি হর হামেশাই হত। গভীর রাতে চুলার পাড়ে বসে আগুনের আঁচে গরম গরম পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা ছিল।
আর গ্রামে পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে আমাদের বিনোদন ছিল একখানা রেডিও। আর সেই যন্ত্রটায় সবার প্রিয় অনুষ্ঠান ছিল "অনুরোধের আসর।" সেই সময় একমাত্র নামকরা কণ্ঠকার ছিলেন, বিখ্যাত নাজমুল হুসাইন। তিনি অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে সিনেমা প্রসঙ্গে নানা কথা বলতেন।
শুনতে কি যে ভালো লাগতো! সেই সময়কার কতগুলো গান আজ দেবার চেষ্টা করলাম। যেগুলো শুনতে শুনতে দাড়ি, কমা সেমিকোলন পর্যন্ত মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল।

এইটা বস নুশেরার জন্য

হায়রে মানুষ রঙীন ফানুস

একি বাঁধনে বলো জড়ালে আমায়

আমি রজনীগন্ধা ফুলের মত

দুঃখ আমার বাসর রাতের পালঙ্ক

আমি বৃষ্টির কাছ থেকে

আমার এ দুটি চোখ

বিমূর্ত এই রাত্রি আমার

আছেন আমার মোক্তার

পান খাইয়া ঠোঁট লাল এইটা রোবটের জন্য

যেওনা সাথী

এইটা আমাদের যুগের গান মেহরাব এর জন্য।

চুমকি চলেছে একা পথে
এইটা শাওন৩৫০৪ এর জন্য। ও আমাদের দলে খালি মিলমিশ খায়।
সাগরের তীর থেকে
এইটা সাজি আপুর জন্য। আসল শিল্পির গান পেলাম না।

কেউ কোনদিন আমারে তো কথা দিল না
এটা মুক্ত বয়ানের জন্য।
আয়নাতে ঐ মুখ দেখবে যখন
এটা ১ ডজন মম এর জন্য।
রামুর কাওয়ালী
[বন্ধু তোর বারত নিয়া আমি যাব
এইটা কাছিম এর জন্য।
আয় খুকু আয়
এটা আমার অপ্সরার জন্য।
একি সোনার আলোয়
এটা নির্ঝরিনীর জন্য।
আমার গরুর গাড়িতে
এটা ভাঙ্গা পেন্সিলের।
যারে যাবি যদি যা
এটা পারভেজ ভাইয়ের।
ও পাখি তোর যন্ত্রনা
এটা নবীন কালর্ষির জন্য। গান পুরাতন তবে নতুন মোড়কে।
এমন একটা ঝড়
এটা আকাশ অম্বরের জন্য। যে একটু আলাদা লেখে তার জন্য একটা আলাদা গান।
তুমি কি দেখেছ কভু
এটা হিমালয়৭৭৭ এর জন্য। ওর জন্য খুঁজেছিলাম আসলে "মানিক গঞ্জের বড় মিঞা গানটা কিন্তু পেলাম না। তাই আমার একটা প্রিয় গান দিলাম।

ও রে নীল দরিয়া
এটা তাজা কলমের জন্য।
সব সখীরে পার করিতে
এটা আমাদের জনপ্রিয় কবি আশরাফ মাহমুদের জন্য।
এই দুনিয়া এখন তো আর
এটা সহেলী'র জন্য।
যে টুকু সময় তুমি
এটা ছন্নছাড়ার জন্য, মানে এটা তো একে ছন্ন ছাড়া তায় আবার জুটিয়েছে আরেকজন উচ্ছৃঙ্খল কাউকে, কি যে করি-------------তাই দুটোকেই দিলাম।
যদি বউ সাজো গো
আমার স্নেহের তামিমকে, যার বান্দরবেলা আমি খুব পছন্দ করি এবং যার বান্দরবেলা বেশীরভাগই বউময়।
বড়বেলার বউ নিয়ে ছেলেটা সুখে থাকুক।
যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়
এটা শওকত হোসেন মাসুম ভাইয়ের জন্য। যিনি আমার অসম্ভব পছন্দের একজন মানুষ। আপনি আপনার পরিবার এবং আপনার ছোট্ট মা'কে নিয়ে অনেক ভালো থাকুন।

ইউটিউব থেকে একটা লিংক কিছুতেই যোগ হচ্ছে না। তবে এই গানটা শওকত হোসেন মাসুম ভাইয়ের জন্য খুব উপযুক্ত ।:P তারে উৎসর্গ করতে পারলে ধইন্য হইতাম। গানটা হল --জীবন থেকে নেওয়া ছবির গান, "এ খাঁচা ভাঙ্গবো আমি কেমন করে।"

গানটা ইউটিউবে আছে এবং ছবিটা আমার জীবনে দেখা বাংলা ছবির সেরা ছবি একটা। মাসুম ভাই অনুরোধ করার বহু আগে থেকেই চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু যোগ করতে পারিনি।
ইউটিউবের লিংক কি করে লেখায় যোগ করতে হয়?
কোন সহৃদয় বলবেন কি?
অনন্ত ভাই আমার কাঁদেনা। এই যে তোর জন্য গান নিয়ে এসেছি। তোর গার্লফ্রেন্ডকে মনে করে শুনিয়ে দিস কিন্তু্
আমার বুকের মধ্যেখানে
গানগুলো শুনছিলাম, আর ভাবছিলাম--গানগুলো এখনও আমাকে অনেক আন্দোলিত করে। আরও কিছু প্রিয় গান আরেক দিন শেয়ার করবো।
ইস! গান গুলো শুনে মনটা উদাস হয়ে গেল।

এই গানগুলো আমার স্নেহের ব্লগার ফারহানকে দিলাম। যে কিনা বাংলা ছিঃনেমা খুবই পছন্দ করে।;)
না না কালকে একটা লেখা লিখছিলাম, তাতে ফারহান ভাবছিল- আমি বুঝি বাংলা ছিঃনেমার কথা কিছু বলবো। তাই ওর নামটা উল্লেখ করেছি। আসলে সবাইকে আমার অনুরোধের আসরে আসার অনুরোধ রইলো।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:১৫
৪০টি মন্তব্য ২৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শিল্পী মমতাজ কিভাবে দশমাস আত্নগোপনে ছিলেন ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই মে, ২০২৫ রাত ৮:৩৩


'ফাইট্যা যায় বুকটা ফাইট্যা যায়' খ্যাত সংগীত শিল্পী গতকাল রাতে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। শিল্পী মমতাজ ফোক সংগীতের জন্য গ্রামে গঞ্জে বেশ নাম করেছিলেন। শিল্পী মমতাজ কে সবাই চিনে মূলত... ...বাকিটুকু পড়ুন

নৌকা ডুবার পর আওয়ামী সমর্থকরা গামছা পরে শরম ঢাকবে কি?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৩ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:৩৯



ছাত্র-জনতার তাড়া খেয়ে আওয়ামী লীগ পালিয়ে গেলে ছাত্র-জনতা তাদের সখের নৌকাখানা ডুবিয়ে দেয়। জলে ভিজে উঠে শরম ঢাকতে এখন তাদের গামছা প্রয়োজন।বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সন্তান বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির নাতির আমেরিকার নাগরিকত্ব গ্রহন

লিখেছেন ধূসর সন্ধ্যা, ১৩ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:৫১



কয়েকদিন আগে বাংলাদেশী পাসপোর্ট নিয়ে গর্ব করা সজিব জয় এখন মার্কিন নাগরিক। সারাদিন আমেরিকাকে গালি দিয়ে এখন সে হয়েছে আমেরিকার নাগরিক। ভন্ডামির সীমা কোথায়!

খবর থেকে - শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতে ওয়াকফ বিল: মুসলিম সম্পদের উপর হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসনের নতুন অধ্যায়

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৪ ই মে, ২০২৫ সকাল ৮:৩৭

ভারতে ওয়াকফ বিল: মুসলিম সম্পদের উপর হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসনের নতুন অধ্যায়

ছবিঃ এআই ব্যবহার করে তৈরিকৃত।

ভারতে মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর দমন-পীড়নের ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় এবার যুক্ত হলো একটি নতুন উপকরণ—ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৫।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতের নেতৃত্ব কী কাঁঠালপাতা খাচ্ছে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১:০৩



ভারতের এই কাঁঠালপাতা খেকো নেতৃত্ব তাদের দেশের ভিতর মুসলিম নির্যাতন, ওয়াকফ বিল অথবা অন্যকোন অপকর্মের কথা বললেই বলে এটা তাদের অভ্যন্তরীন বিষয় অথচ এরা প্রতিনিয়তই বাংলাদেশের অভ্যান্তরীন বিষয় নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×