গত ৪.৫.১৬ তারিখে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির দণ্ড বহাল রেখেছে সর্বোচ্চ আদালত৷
যা কার্যকর করা হয় ১০.৫.১৬ মঙ্গলবার রাত ১২টা এক মিনিটে।
এই নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ চার নেত্রীবৃন্দের ফাঁসি কার্যকর করলো সরকার।
৪.৫.১৬ তারিখে ফাঁসির দণ্ড বহাল রাখার পর তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রেজেপ তাইয়্যেপ এরদোগান সমালোচনা করে বলেছেন, ‘নিজামী কোনো অপরাধ করে থাকতে পারেন বলে আমরা বিশ্বাস করি না। এভাবে ফাঁসির রায় দেয়ার বিষয়টিকে অগণতান্ত্রিক ও অন্যায় বলে আমরা মনে করি।’ তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সরকারি ওয়েবসাইটে সেই খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
২০১৩ সালের ডিসেম্বরে জামায়াতে ইসলামীর নেতা আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করে ফাঁসি স্থগিত রাখার অনুরোধ করেছিলেন তুরস্কের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এরদোগান।
বরাবরের মতো এবারো কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে পাকিস্তান। প্রতিবারের মত এবারো ইসলামাবাদ বাংলাদেশি হাইকমিশনারকে তলব করেছে। এর প্রতিবাদে ঢাকায় পাকিস্তানের হাইকমিশনার সুজা আলমকে তলব করেছে।
রায় কার্যকর করা হয় ১০.৫.১৬ মঙ্গলবার রাত ১২টা এক মিনিটে।
সকালেই দেখলাম ফেইসবুকে কে যেন পোস্ট করেছে পাকিস্তানের রাস্তায় এই ফাঁসির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল হচ্ছে। আবার ইসলামাবাদ বাংলাদেশি হাইকমিশনারকে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানায়। উত্তরে ঢাকাও পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে তলব করে প্রতিবাদ জানায়। এবং পাকিস্তানের আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি কূটনৈতিকপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে।
বরাবরের মতো এবারো পাকিস্তানের সাথে সকল কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি উঠছে সর্বমহলে!
ফাঁসির ঘটনায় দু:খ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনও। জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, জাতিসংঘ প্রধান যে কোন প্রেক্ষাপটেই মৃত্যুদণ্ডের মতো শাস্তির বিপক্ষে।
মুখপাত্র আরো বলেন, মামলাটি যেভাবে পরিচালিত হয়েছে তা নিয়ে জাতিসংঘ আগে থেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে।
১১ই মে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিজামীর ফাঁসি দেয়ায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে।
এবার শুধু প্রতিবাদ জানিয়েই খ্রান্ত হননি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেফ তাইয়্যেফ এরদোগান। নিজামীর ফাঁসির প্রতিবাদে ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকেই প্রত্যাহার করে নিলো দেশটি। বৃহস্পতিবার এরদোগান এই ঘোষণা দেন। খবর রয়টার্সের।
আমার প্রশ্ন আমাদের পররাষ্ট্রনীতির নিয়ে? পাকিস্তানের ব্যপারে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি এতো স্ট্রং আর তুরস্ক কিংবা জাতিসংঘের ব্যপারে এখনো কোন বিবৃতি নেই কেন?
পাকিস্তানের হাইকমিশনারের মতো জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধিকে কখন তলব করা হবে?
আমরা চাই এখনি তুরস্কের রাষ্ট্রপতির এইরকম আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয় একটা বিবৃতি দেক।
বিবৃতি আশা করবো জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের আচরণের বিরুদ্ধেও!
আমরা আমাদের দেশকে রাজাকার, আলবদর, আল-সামস মুক্ত করবোই সেটা যে কোন মূল্যে...!
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:১২