বাইরে থেকে দেখতে আধুনিক কাঠামোর সুরম্য এক ভবন। ভেতরে গেলে যে কারও মনে ভয় ঢুকে যায়।
ভবনের একাংশ দেবে গেছে। অধিকাংশ কক্ষের দেয়ালে-মেঝেতে বড় বড় ফাটল। কক্ষগুলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় প্রবেশমুখে কাচের ফটক। বিমের ফাটলে বেঁকে গেছে কাচের ফটকও। খসে পড়ছে দেয়ালের ইট-সিমেন্টের আস্তরণ।
ভবনটি মৃত্তিকা উন্নয়ন ইনস্টিটিউট সিলেটের আঞ্চলিক গবেষণাগার (মৃত্তিকা ভবন)। প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশল বিভাগের তত্ত্বাবধানে ৫০ বছর মেয়াদি এই ভবন নির্মাণের চার বছরেই এ অবস্থা হয়েছে।
এক একর জায়গায় নির্মিত এ ভবন হস্তান্তর করা হয় ২০০৭ সালে। ভবন টেকসই থাকার মেয়াদ ছিল ৫০ বছর। কিন্তু চার বছরেই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এর কারণ বের করতে গণপূর্ত তদন্ত শুরু করে। প্রায় এক বছর ধরে তদন্ত চলছে। নিজস্ব ভবন ছেড়ে ভাড়া করা কার্যালয়ে মৃত্তিকা গবেষণাকাজ স্থানান্তরিত হয়েছে।
গণপূর্ত সিলেটের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী বিষয়টি তদন্তাধীন বলে ভবনের যাবতীয় কাগজপত্র বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে থাকার কথা স্বীকার করেন। তাঁদের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে নির্মাণত্রুটি মনে না হওয়ায় তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জানানো হয়নি বলে তিনি জানান। ভবনটি নির্মাণের টেকসই মেয়াদ ৫০ বছর থাকার কথা জানিয়ে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী বলেন, ‘আমাদের পর্যবেক্ষণ, এটা প্রাকৃতিক। মাটির কারণে এ রকম হয়েছে। ঠিকাদারের কোনো দোষ নেই—এ জন্য ঠিকাদারকে আর খোঁজা হচ্ছে না।’
এই কথাটি বলার জন্যে উনিও নিশ্চয় টাকা নিয়েছেন ওই ঠিকাদারের কাছ থেকে...!
চুয়াডাঙ্গার ভবন নির্মাণে লোহার রডের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহারের পর বুঝতে পারলাম এইটার ভিতরেও বাঁশ ঢুকাইছে...!
এখানে কারো কারো বক্তব্য এমনও হতে পারে যে মেহেরবানী করে সরকারের উন্নয়নের জোয়ারে বাঁশ ঢুকাবেন না। দুঃখিত ভাই উন্নয়নের জোয়ারে বাঁশ ঢুকানোর জন্য...!
বিঃদ্রঃ মৃত্তিকা উন্নয়ন ইনস্টিটিউট সিলেটের এই ঘটনাটি নিয়ে প্রথম আলো নিউজ ছেপেছিলো ২০১১ সালে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪৬