বিশ্বের চলচ্চিত্র জগতের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড যা অস্কার নামেই বেশি পরিচিত। এই সম্মাননায় সাদা চামড়ার আমেরিকান বা ইউরোপীয়দের বরাবর আধিপত্য থাকার কারণে এ নিয়ে বিতর্ক কম বেশি রয়েছে।
এছাড়া এ পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেয় হলিউডের সঙ্গে গভীরভাবে সংশ্লিষ্ট একটি টিম। এই টিমের সদস্যদের ভোটেই নির্বাচতি হয় বছরের সেরা চলচ্চিত্র, সেরা অভিনেতা-অভিনেত্রী।
তবে সম্প্রতি এমন একটি তথ্য পাওয়া গেছে যাতে মনে হতেই পারে, মনোনয়ন দানকারী গ্রুপটিই অনেক বেশি মনোনীত।
যুক্তরাষ্ট্র দৈনিক দ্য লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের এক জরিপে দেখা গেছে, অস্কারে মনোনয়নের জন্য ভোট দাতা রয়েছে পাঁচ হাজার ৭৬৫ জন সদস্য। এর মধ্যে ৯৪ শতাংশ ককেসীয়, ৭৭ শতাংশ পুরুষ। এদের মধ্যে আবার মাত্র ১৪ শতাংশের বয়স ৫০ বছরের কম যাদের মধ্যে মাত্র ২ শতাংশ আফ্রিকান-আমেরিকান এবং ২ শতাংশ লাতিন।
সুতরাং কেউ যদি এই একাডেমিকে প্রথমত পুরুষ এবং শ্বেতাঙ্গদের সংগঠন বলে আখ্যায়িত করতে চায় তাহলে বিস্ময় প্রকাশের কিছু নেই। একাডেমির প্রেসিডেন্ট টম শিরাক অবশ্য সে কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, এটা অবশ্য একটা সমস্যা।
একাডেমিতে বৈচিত্র আনার জন্য অনেকবার তিনি চেষ্টাও করেছেন বলে জানান। কিন্তু প্রতিবারই বাধার মুখে পড়েছেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এটা (একাডেমি) খুব বেশি শ্বেতাঙ্গ শিল্পেরই একটি প্রতিবিম্ব।
এ ব্যাপারে একাডেমির গভর্নর ফিল আলডেন রবিনসন বলেন, ‘একটা সম্পূর্ণ শিল্প হিসেবে যদি এটি দৃষ্টি প্রসারিত না করে তাহলে আমাদের সদস্যদের মধ্যে বৈচিত্র আনার কাজটা খুব কঠিন হবে।’
তবে শিরাকের আশা, নানা বৈচিত্রের মানুষ এখন থেকে একাডেমির সদস্য পদ পাওয়ার জন্য আবেদন করবেন।
উল্লেখ্য, এবার সেরা চলচ্চিত্র, সেরা অভিনেতা ও সেরা পরিচালকসহ পাচঁটি শাখায় একাডেমি অ্যাওয়ার্ড (অস্কার) জিতেছে নির্বাক চলচ্চিত্র ‘দ্য আর্টিস্ট’।
সূত্র:
canberratimes.com.au
theweek.com
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৩৪