আজ শনিবার। ইউনিভার্সিটিতে আজ আমার ক্লাস নেই। সকালে এক বন্ধু আসলে বের হই। ওকে নিয়ে মেইন রোডের পাশে মামার দোকানে চা খেতে ঢুকি। কিছুক্ষন পরে একটা শব্দে আমি রাস্তার দিকে তাকাই। একটা রিকসা একসিডেন্ট।ড্রাইবার রিকসার নিচে আর তিন জন যাত্রী রাস্তায় পড়ে আছে।কিছু লোকজন দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখছিল। আমি আর আমার বন্ধু গিয়ে রিকসার ড্রাইবারকে তুলে ফুটপাতে নিয়ে আসি।রিকসাওয়ালা ব্যথায় কাঁদতেছে। আমি তার বাম হাতের দিকে তাকিয়ে দেখি হাত থেকে রক্ত পড়তেছে। তারপরে দেখলাম রিকসাওয়ালার বাম হাতের কব্জির নিচে এক টুকরার মত মাংস নেই এবং ধুলাবালি মাখানো অবস্থায় রক্ত পড়ছে। পাশের দোকান থেকে পানি নিয়ে ধুলাবালি ধুয়ে দিই। আমার বন্ধু একটুকরো বরফ ক্ষত স্থানে ধরে রাখে। রিকসার চালককে ফোন নাম্বার এর কথা বললে তিনি রিকসার দিকে দেখিয়ে দেয়। আমি রিকসার পিছন থেকে নাম্বার নিয়ে মালিক দুর্ঘটনার কথা বললে তিনি একটা ভেন গাড়ি করে পাঠিয়ে দিতে বলে।
কিন্তু রিকসা ওয়ালার অবস্থা খারাপ থাকায় আমার তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। বেশি ভিড় না থাকায় সহজেই ডাক্তারের রুমে পাঠিয়ে দিই। কিছুক্ষন পরে চালক বের হয়ে আসেন। ডাক্তার হাতে ব্যন্ডেজ করে দেয়।
হাসপাতাল থেকে একটু পরে আমি বাসায় চলে আসি। হঠাৎ করে আমি হাতের দিকে দেখি আমার হাতে রক্ত লেগে আছে। পরে বুঝলাম এগুলা রিকশা চালকের রক্ত। ক্ষতস্থান থেকে বালি পরিষ্কার করার সময় অথবা হাসপাতালে নেবার সময় এ রক্ত আমার হাতে লেগেছিল।
দুর্ঘটনাটির কারন:
রামপুরার মেইন রাস্তায়(টিভি সেন্টারের একটু আগে) দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এ রাস্তার মাঝখানে একটি ম্যানহোলের ঢাকনা একপাশে থেকে অনেক ভেতরে ডেবে গেছে। কিন্তু ডেবে যাওয়া অংশ বালিতে ভরাট হওয়ায় দেখা এবং বুঝা যায়না।
রিকশার চালক তিনজন যাত্রী(মহিলা) নিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন রিকশার সামনের চাকা ডেবে যাওয়া বালির ভেতর পড়ে যায় । এতে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:১১