চাকুরী জীবনে অনেক সময় বসরা অধঃস্থন কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সমস্যা সমাধানে বা তাদের পারফরম্যান্স রিভিউ করতে আলাদা ভাবে বসেন। এটাকে 'ওয়ান টু ওয়ান' মিটিং বলা হয়ে থাকে। কিন্তু, অনেক সময় এই মিটিংগুলো কোন পজিটিভ ফল বয়ে আনে না। মিটিং শেষে দেখা যায়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অধঃস্থন কর্মকর্তা/কর্মচারীরা অনুপ্রাণিত না হয়ে বসের প্রতি হতাশা প্রকাশ করেন। কেন এমন হয়? সম্প্রতি এমন কিছু ঘটনা আমার জীবনে ঘটেছে। তারপরেই, লিংকডইনে একটি ট্রেনিং নেওয়ার পরে বুঝতে পারলাম এর পিছনের কারণগুলো।
ওয়ান টু ওয়ান মিটিংগুলোতে ভালো করতে হলে প্রথমেই নিজের মানসিকতা ঠিক করতে হবে- আপনি সেই মিটিং সম্পর্কে কি চিন্তা করছেন তা আগে থেকেই বুঝে নিতে হবে। এরপরে, আপনি যার সাথে মিটিং করতে যাচ্ছেন তার মানসিকতা কেমন সে সম্পর্কে ভালো ভাবে খোঁজ-খবর নেওয়া উচিৎ। এটা করতে না পারলে যার সাথে আপনি মিটিং করতে যাচ্ছেন, তা কোন কাজেই দিবে না।
'ওয়ান টু ওয়ান' মিটিংগুলো কঠিন হয় কেন?
আপনি হয়তো ভাবছেন- মিটিং কঠিন হবে কেন! গেলাম-বসলাম-কথা বললাম-উঠে চলে আসলাম...ব্যস! হয়ে গেলো মিটিং! কিন্তু, সেটা যার সাথে মিটিং করছেন তার জন্যে ফলদায়ক হলো কি না সেটা চিন্তা না করলে চলবে কি? চলবে না। বরং, দুজনেরই সময় নষ্ট হবে।
এমন হতে পারে, আপনি একটি মিটিং ডেকেছেন যেখানে আপনার অধীনস্থ কাউকে বলতে হবে যে সে তার কাজে ভালো করছে না। আপনি হয়তো খুব রাগ করে সেই মিটিং-এ গেলেন। এক পর্যায়ে বলে ফেললেন- তার চাকরী নট! আপনি হয়তো তা বলতে চাননি বা তা বলার এখতিয়ার আপনার নেই। কিন্তু আপনি তা বলে ফেলেছেন!
আবার, এমনও হতে পারে, আপনি হয়তো মনে করছেন, একজন ম্যানেজার হিসেবে আপনি ভালো করছেন। কিন্তু, সেটা হয়তো ঠিক নয়। কয়েকটি ওয়ান টু ওয়ান মিটিং করার পরে আপনি বুঝতে পারলেন, আপনার ধারণা ভুল!
অনেক সময় এমন হতে পারে, হায়ার ম্যানেজমেন্ট থেকে আপনাকে এমন কোন ম্যাসেজ দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যা আপনি নিজেই সমর্থন করতে পারছেন না। তখন, আপনার পক্ষে এমন ওয়ান টু ওয়ান মিটিং করা কঠিন হয়ে পরে।
সেজন্যেই, এই ধরণের মিটিং করার জন্যে সঠিক মানসিকতা থাকাটা জরুরী। এই মিটিং কিভাবে ভালো ভাবে করা যায় তা আমি ধারাবাহিক ভাবে আপনাদের জানাবো। সবশেষে, একটি ছক দিবো যা আপনাকে এমন মিটিং-গুলোতে সফলতা বয়ে নিয়ে আসবে।
=====পর্ব-১=====
==============
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৫৭