কাতুর সাথে কুতু দিয়ে হচ্ছো পগারপাড়,
ফের যদি আসো কাছে বলবো- 'খবরদার!'
একটু হেসে, কাছে এসে, দিচ্ছো বুঝি কাশি,
ঝুলিয়ে দাড়ি, যাচ্ছো বাড়ি, যেথায় আছেন মাসি।
তোমার সাথে, দুধে-ভাতে, গপ্প করছি কত,
তবু কেন, ঘন ঘন, কাতুকুতুুয়ে রত!
চোখ পাকিয়ে, হাত ঝাকিয়ে, যতই বাঁচতে চাই,
পাই না উপায়, তোমার চাপায়, শুধু হাঁসি তাই।
গল্প বলে, গুজব তুলে, যাচ্ছো যথা-তথা,
দিয়ে হাঁসি, রাশি রাশি, শুনচি আজব কথা।
নাই যে মাথা, ব্যাঙের ছাতা, আছে কি কোন মানে?
এসব বলে, যাচ্ছো চলে, দূর-দেশ কোন পানে?
তবু যদি, খেয়ে দধি, গল্প বলে যেতে,
তা না করে, একটু জোরে, মারছো গুতো তেতে।
মজা পেয়ে, দূরে যেয়ে, হাসছো হাঃ হাঃ হাঃ,
লজ্জায় আমি, কর্দম চুমি, হলাম পুরো হাঁদা।
ঘামছে মাথা, চোখের পাতা, দিচ্ছি হাঁসি হাঁদার,
শেষ কি তবে, উচ্চ রবে, সময় হলো কাঁদার!
এসব শুনে, সদোরবনে, পাখী যত আছে,
দল বেঁধে, উড়লো জেদে, বসছে গিয়ে গাছে।
হুতুম পেঁচি, বলছে চেঁচি, এসব হচ্ছে কি!
দিন-দুপুরে, আমার ঘরে, দিচ্ছো কেন ঝাঁকি।
এরচেয়ে ভালো, আকাশ কালো, মেঘ করে যখন,
কাতুকুতু, দিলে কিন্তু, আমিও হাসবো তখন।
তাই তো এথায়, বুকের ব্যথায়, উড়ছে সবুজ টিয়ে,
বিড়াল মাসী, সর্বনাশী, করবে আরেকটা বিয়ে!
খবর শুনে, রক্ত-খুনে, মশা ঝাঁকে ঝাঁকে,
গুতো দিয়ে, কুতকুতিয়ে, মারছে কামড় টাকে।
উৎসর্গঃ সুকুমার রায়
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৯